অ্যালটোনিল

মানবদেহে দুই ধরণের অ্যালটোনিল রিসেপ্টর চিহ্নিত করা গিয়েছে- MT₁ এবং MT₂. রিসেপ্টরগুলির অবস্থান প্রধানতঃ মস্তিষ্কে এবং কিছু প্রান্তিক অংগে । MT₁ সাব-টাইপের অবস্থান হচ্ছে পিটুইটারি গ্রন্থির পারস্ টিউবারালিস-এ এবং হাইপােথ্যালামাসের সুপ্রাকায়াজাম্যাটিক নিউক্লিয়াইতে। MT₂ সাব-টাইপের অবস্থান প্রধানতঃ রেটিনা। মেলাটোনির মাত্রা বৃদ্ধি শরীরে স্নায়বিক ও এন্ডােক্রিন সিগনাল শুরু করে ফলে বিভিন্ন নিউরােট্রান্সমিটারের মাত্রা সবচেয়ে অনুকুলে আসে। যেমন- সেরােটোনিন ও GABA এর মাত্রা বৃদ্ধি এবং ডােপামিন এর মাত্রা হ্রাস। এই অবস্থা ঘুমিয়ে পড়া ও ঘুমকে প্রলম্বিত করতে সাহায্য করে।

ব্যবহার

অ্যালটোনিল মূলত ঘুমের জটিলতা এবং জেট ল্যাগ এর চিকিৎসায় ব্যবহার্য। নিদ্রহীনতা জেট ল্যাগ, দৃষ্টিশক্তির দুর্বলতা অথবা রাত্রিকালীন কাজের কারনে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে বিভিন্ন মানসিক রােগে শরীরে মেলাইনিনের পরিমান কমে গেলে ঘুম কম হওয়ার দরুন সে সমস্ত শিশুর পড়াশুনায় ব্যাঘাত ঘটছে। অস্টিওপােরােসিস ফিলফ্রেশ অস্টিওবাস্ট নামক কোসের পরিমান বাড়িয়ে শরীরে হাড়ের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। মেনােপােজ এই সময়ে মহিলাদের নিদ্রা সম্পর্কিত জটিলতায় ফিলফ্রেশ সাহায্য করে। ক্ষুধামন্দা সারকয়েডােসিস এ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার এ্যাকটিভ ডিসঅর্ডার (ADHD) এই রােগে আক্রান্ত শিশুদের ঘুমের জটিলতায় অ্যালটোনিল কার্যকরী।

অ্যালটোনিল এর দাম কত? অ্যালটোনিল এর দাম

সুচিপত্র

• অ্যালটোনিল
• কাজ
• খাওয়ার নিয়ম
• পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
• সতর্কতা
• মিথস্ক্রিয়া
• গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার
• তীব্র ওভারডোজ
• অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া
• বৈপরীত্য
• সংরক্ষণ

খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

অ্যালটোনিল খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

• প্রাপ্ত বয়স্ক দ্রিাহীনতা: ৩-৬ মি.গ্রা. হিসাবে ঘুমাতে যাবার ১ ঘন্টা আগে সেব্য।
• জেট ল্যাগ: সর্বশেষ গন্তব্যে পৌছানাের পর ০.৫-৫ মি.গ্রা. হিসাবে ঘুমাতে যাবার ১ ঘন্টা আগে। পূর্বদিকে ভ্রমণ করলে- ভ্রমণের আগের রাত থেকে শুরু করে ভ্রমণ পরবর্তী ৪ দিন ঘুমাতে যাবার আগে ।
• পশ্চিম দিকে ভ্রমণ করলে- নতুন জায়গায় পৌছানাের পর পরবর্তী ৪ দিন ঘুমাতে যাবার আগে।
• সারকয়েডােসিস: প্রতিদিন ২০ মি.গ্রা. হিসাবে ৪ থেকে ২০ মাস। বিষন্নতা: ০.১২৫ মি.গ্রা. করে দিনে ২ বার, ৪ ঘন্টার ব্যবধানে সেব্য।
• ঘুম পাওয়ার সমস্যা হলে: ঘুমাতে যাবার ৩ থেকে ৪ঘন্টা আগে ৫ মি.গ্রা. হিসাবে ৪ সপ্তাহ।
• শিশু: (৬ মাস থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত): ০.৩ মি.গ্রা./ দৈনিক হিসাবে।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

মাথাব্যথা, বিষন্নতা, তন্দ্রাচ্ছন্নতা।

সতর্কতা

ক্যাফেইন এবং ফুভােক্সামিন অ্যালটোনিলের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে অ্যালটোনিল নিফেডিপিনের কার্যকারিতা কমায়।

মিথস্ক্রিয়া

এ্যান্টি ডিপ্রেসেন্ট ওষুধের সাথে: অ্যালটোনিল ডেসিপ্রামিন এবং ফ্লুয়ােক্সেটিন এর কার্যকারিতা হ্রাস করে।

এ্যান্টি সাইকোটিক ওষুধের সাথে: সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত রােগীকে এ্যান্টিসাইকোটিক ওষুধের সাথে অ্যালটোনিল দিলে তার ট্র্যাকিভ ডিসকাইনেসিয়ায় ভােগার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।

বেনজোডায়াজিপাইন: অ্যালটোনিল ট্রায়াজোলামের কার্যকারিতা বাড়িয়ে ঘুমের উন্নতি ঘটায়।

উচ্চ রক্তচাপে ব্যবহৃত ওষুধ: অ্যালটোনিল মেথােক্সামাইন ও কোনিডিন এর কার্যকারিতা কমায়। অন্যদিকে ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার, বিটা ব্লকার ইত্যাদি শরীরে অ্যালটোনিলের পরিমাণ হ্রাস করে।

রক্ত জমাট বাধাদানকারী ওষুধ: এ সমস্ত ওষুধের সাথে অ্যালটোনিল ব্যবহৃত হলে রক্তপাতের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

ইন্টারলিউকিন-২: ক্যান্সার রােগীদের ক্ষেত্রে ইন্টারলিউকিন-২ এর সাথে অ্যালটোনিলের ব্যবহার এর কার্যকারিতা বাড়ায়।

নন-স্টেরয়েডাল এ্যান্টি ইনফ্লামেটরী ওষুধ (NSAIDS): ইহা শরীরে অ্যালটোনিলের পরিমাণ কমায়।

স্টেরয়েড এবং ইমিউনােসাপ্রেসেন্ট ওষুধ: একত্রে ব্যবহার প্রযােজ্য নয়।

ট্যামােক্সিফেন: একত্রে ব্যবহার রােগীর জন্য অধিক কার্যকরী।

অন্যান্য: ক্যাফেইন, তামাক এবং এ্যালকোহল শরীরে অ্যালটোনিলের পরিমাণ কমায়। আবার কোকেইন এবং এ্যাম্ফিটামিন অ্যালটোনিলের পরিমাণ বাড়ায়।

গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার

এই সময় অ্যালটোনিলের নিরাপদ ও কার্যকরী ব্যবহারের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

বৈপরীত্য

যে সব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না: ক্যাফেইন এবং ফুভােক্সামিন অ্যালটোনিলের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে অ্যালটোনিল নিফেডিপিনের কার্যকারিতা কমায়।

অতিরিক্ত সতর্কতা

তীব্র ওভারডোজ

There is little or no evidence of any major toxicities with melatonin, even at high doses.

অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া

এ্যান্টি ডিপ্রেসেন্ট ওষুধের সাথে অ্যালটোনিল ডেসিরপ্রামিন এবং ফুয়ােক্সেটিন এর কার্যকারিতা হ্রাস পায়। এ্যান্টি সাইকোটিক ওষুধের সাথে সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত রােগীকে এ্যান্টিসাইকোটিক ওষুধের সাথে অ্যালটোনিল দিলে তার ট্র্যাকিভ ডিসকাইনেসিয়ায় ভােগার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। বেনজোডায়াজিপাইনস অ্যালটোনিল ট্রায়াজোলামের কার্যকারিতা বাড়িয়ে ঘুমের উন্নতি ঘটায়। উচ্চ রক্তচাপে ব্যবহৃত ওষুধ অ্যালটোনিল মেথােক্সামাইন ও কোনিডিন এর কার্যকারিতা কমায়। অন্যদিকে ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার, বিটা ব্লকার ইত্যাদি শরীরে অ্যালটোনিলের পরিমাণ হ্রাস করে। রক্ত জমাট বাধাদানকারী ওষুধ এ সমস্ত ওষুধের সাথে মেলাইনিন ব্যবহৃত হলে রক্তপাতের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

ইন্টারলিউকিন-২: ক্যান্সার রােগীদের ক্ষেত্রে ইন্টারলিউকিন-২ এর সাথে অ্যালটোনিলের ব্যবহার এর কার্যকারিতা বাড়ায়। নন স্টেরয়েডাল এ্যান্টি ইনফুমেটরী ওষুধ (NSAID) শরীরে অ্যালটোনিলের পরিমান কমায় । স্টেরয়েড এবং ইমিউনােসাপ্রেসেন্ট ওষুধ একত্রে ব্যবহার প্রযােজ্য নয়।

সংরক্ষণ

Store in a cool & dry place, protected from light & moisture.