এ্যারাইভ এর কাজ, খাওয়ার নিয়ম, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, সতর্কতা - MedicineBangla

এ্যারাইভ

গাবা-বি রিসেপ্টরকে উদ্দীপ্ত করার মাধ্যমে ব্যাক্লোফেন সাধারণত মনোসিনেপটিক ও পলিসিনেপটিক রিফ্লেক্সকে প্রতিহত করে যা গ্লুটামেট ও এসপারটেট এর সংশ্লেষণে বাধা দান করে। উপরন্তু ব্যাক্লোফেন কশেরুকার মধ্যবর্তী স্থানে কাজ করার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে অবসাদ করে দেয়। ব্যাক্লোফেন নসিসেপটিভ উদ্দীপনাকেও প্রতিহত করে।

ব্যবহার

স্পাজম,পেশী সংকোচন,ঘুমের সমস্যা, মূত্রথলির ও স্ফিংটারের কার্যক্ষমতায় এবং ডেকুবিটাস আলসার। মাল্টিপল স্কেরােসিস জনিত স্পাসটিসিটি। মেরুদন্ডের আঘাত ও মেরুদন্ডে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা। সেরেব্রাল জনিত মাংসপেশীর সংকোচন বিশেষতঃ ইনফেন্টাইল সেরেব্রাল পালসী দূর্ঘটনাজনিত সেরেব্রোভাসকুলার সমস্যা বা নিওপ্লাসটিক অথবা ব্রেইনের বিভিন্ন অসুখ। টেনশন টাইপ মাথাব্যথা।

এ্যারাইভ এর দাম কত? এ্যারাইভ এর দাম

এ্যারাইভ in Bangla
Arive in bangla
বাণিজ্যিক নাম এ্যারাইভ
জেনেরিক বেকলােফেন
ধরণ ট্যাবলেট
পরিমাপ
দাম
চিকিৎসাগত শ্রেণি Centrally acting Skeletal Muscle Relaxants
উৎপাদনকারী Alkem Laboratories Ltd
উপলভ্য দেশ India
সর্বশেষ সম্পাদনা September 19, 2023 at 7:00 am

খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

এ্যারাইভ খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

  • এ্যারাইভ পানি ও খাবারের সাথে খেতে হয়।
  • এ্যারাইভ সাধারণত: বয়স্কদের ক্ষেত্রে দিনে ৩ বার এবং বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দিনে ৪ বার দিতে হয়।
  • এ্যারাইভ সর্বনিম্ন কার্যকরী মাত্রায় দেয়া উচিত।
  • প্রশমন প্রক্রিয়ার জন্য নিচের মাত্রা অনুসরণ করা উচিত৫ মি.গ্রা. দিনে ৩ বার ৩ দিন।
  • ১০ মি.গ্রা. দিনে ৩ বার ৩ দিন ১৫ মি.গ্রা. দিনে ৩ বার ৩ দিন ২০ মি.গ্রা. দিনে ৩ বার ৩ দিন পরবর্তীতে মাত্রা আরাে বাড়ানাের প্রয়ােজন হতে পারে কিন্তু দৈনিক মােট সর্বোচ্চ মাত্রা ৮০ মি.গ্রা. হতে পারে কিন্তু ক্ষেত্র বিশেষে হাসপাতালে ভর্তি রােগীর ক্ষেত্রে এ্যারাইভ দিনে ১০০ থেকে ১২০ মি.গ্রা. প্রয়ােজন হতে পারে।
  • শিশু: সর্বনিম্ন মাত্রায় চিকিৎসা শুরু করা উচিত (০.৩ মি.গ্রা./কেজি/দিন, বিভক্ত মাত্রায়)।
  • সাবধানতার সাথে ১-২ সপ্তাহ বিরতিতে শিশুর প্রয়ােজন বিশেষে মাত্রা বাড়ানাে উচিত।
  • সাধারণত ০.৭৫ মি.গ্রা.২.০০ মি.গ্রা./কেজি/দিন বিভক্ত মাত্রায় ওষুধটি চলতে থাকে
  • ১০ বছরের অধিক বয়সের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দিনে সর্বোচ্চ ২.৫ মি.গ্রা./কেজি দেয়া যেতে পারে।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে তন্দ্রালুতা, ঘুমঘুম ভাব, ঝিমুনি, দূর্বলতা ও অবসাদ। স্নায়ু: মাথাব্যথা, নিদ্রাহীনতা এবং সামান্য উত্তেজনা, হতাশা, বিভ্রান্তি, পেশীর ব্যথা, খিচুনি ইত্যাদি।

  • রক্ত সঞ্চালন: হাইপােটেনশন এবং খুব কম ক্ষেত্রে ঘন ঘন শ্বাস নেয়া, বুক ধড়ফড় করা, বুকে ব্যথা ও মুছা। যাওয়া।
  • পরিপাক তন্ত্র: ক্ষুধামন্দা, কোষ্ঠকাঠিন্য, মুখের শুষ্কতা, স্বাদহীনতা, অ্যাবডােমিনাল ব্যথা, বমিবমি ভাব, ডায়রিয়া, স্টোলে অকাল্টবাড থাকা।
  • মূত্রথলি: বার বার প্রস্রাবভাব হওয়া, মূত্র না বের হওয়া, যৌন সমস্যা, ইজাকুলেশন না হওয়া, রাত্রে বার বার প্রস্রাব হওয়া এবং প্রস্রাবে রক্ত আসা। অন্যান্য র্যাশ, চুলকানি, ফোলা, ওজনবৃদ্ধি, নাক বদ্ধতা, চোখে ঝাপসা দেখা, হেপাটিক সমস্যা ইত্যাদি।
  • পেশীর টান এমন হতে পারে যে হাঁটা চলায় সমস্যা হয় তখন মাত্রা পুনঃনির্ধারণ করা উচিত। এজন্য দিনের বেলায় কম মাত্রা দিয়ে রাত্রে বেশী মাত্রা দেয়া উচিত।

সতর্কতা

  • রেনাল ইমপেয়ারমেন্টের রোগীদের এবং যারা দীর্ঘদিন হিমোডায়ালাইসিস নিচ্ছে তাদেরকে সতর্কতার সাথে দিনে ৫ মি.গ্রা. দেয়া উচিত।
  • যারা স্পাজম ছাড়াও অন্যান্য মানসিক সমস্যা, পাগলামি, হতাশা, অস্থিরতায় ভূগছে তাদেরকে সতর্কতার সাথে ওষুধটি দেয়া উচিত যেহেতু তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাগুলির অবনতি হতে পারে।
  • খিঁচুনির রোগীদের ক্ষেত্রে বেকলোফেনের সাথে পর্যাপ্ত খিঁচুনির ওষুধ দিতে হবে এবং বিশেষ সতর্কতার সাথে অবস্থা পর্যালোচনা করতে হবে। বেকলোফেন দিয়ে চিকিৎসার পর সহজেই খিঁচুনি হতে পারে যা বেকলোফেন দিয়ে চিকিৎসার পর আরও অবনতি হতে পারে।
  • যাদের আলসার, সেরেব্রোভাসকুলার ডিজিজ, হেপাটিক বা রেনাল বা শ্বাস নালীর সমস্যা আছে তাদেরকে সতর্কতার সাথে বেকলোফেন দিতে হবে।
  • যাদের কার্ডিওপালমোনারী বা শ্বাসনালীর পেশীর দূর্বলতা রয়েছে তাদেরও সতর্কতার সাথে দিতে হবে।
  • বেকলোফেন দিয়ে চিকিৎসার সময় স্নায়ূতন্ত্রের সমস্যার উন্নতি হতে পারে যা মূত্রথলির নিঃসরণ সহজ করে। তারপরও এটা স্ফিংটারে বেশী চাপ এবং হঠাৎ মূত্রথলিতে মূত্রাধিক্য ঘটাতে পারে। এসব ক্ষেত্রে বেকলোফেন সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত।
  • স্ট্রোকের রোগীদের জন্য বেকলোফেন খুব বেশি উপকারী নয়। এসব রোগীরা সাধারণত এই ওষুধে কম সহনীয় হয়।
  • হেপাটিক ও ডায়াবেটিসের রোগীদের সঠিক ল্যাবরেটরী পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা উচিত যে বেকলোফেন এসব রোগের অবনতি ঘটাচ্ছে না।

মিথস্ক্রিয়া

  • স্নায়ূতন্ত্রের উপর কাজ করে এমন কোন কিছু যেমন- অ্যালকোহল, অপিয়েট ইত্যাদির সাথে বেকলোফেন ঘুম আরো বাড়ায়। এতে শ্বাসনালীর সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
  • এন্টিহাইপারটেনসিভ ওষুধের সাথে গ্রহণ করলে রক্তচাপ কমে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে এন্টিহাইপারটেনসিভ ওষুধের মাত্রা পুননির্ধারণ করা উচিত।
  • বেকলোফেন এবং ট্রাইসাইক্লিক এন্টিডিপ্রেসেন্ট এক সাথে খেলে বেকলোফেনের কার্যকারিতা বেড়ে যায় যার ফলে মাসকুলার হাইপারটোনিয়া হতে পারে।
  • পার্কিনসনের রোগীদের ক্ষেত্রে বেকলোফেন এবং লেভোডোপা বা কার্বিডোপা একসাথে দিলে মানসিক বিভ্রান্তি, ভুল বুঝা, মাথাব্যথা,ক্ষুধামন্দা ও উত্তেজনা হতে পারে।
  • মনো অ্যামাইনো অক্সিডেজের সাথে বেকলোফেন স্নায়ুর নিস্তেজতা ঘটায়। এক্ষেত্রে সতর্কতা সহ মাত্রা পুননির্ধারণ করা উচিত ।
  • বেকলোফেন ম্যাগনেসিয়ামের সাথে বা অন্য কোন পদার্থ যা নিউরোমাস্‌কুলার ব্লকিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে, একসাথে খেলে কার্যকারিতা বেড়ে যাওয়ার কথা।

গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার

প্রেগন্যানসি ক্যাটাগরি বি। গর্ভাবস্থায় এ্যারাইভের নিরাপদ ব্যবহার প্রতিষ্ঠিত নয়। এ্যারাইভ প্লাসেন্টা অতিক্রম করে। ঝুকির চেয়ে উপকারিতা বেশী হলেই কেবল গর্ভাবস্থায় ব্যবহার করা যায় যা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শে হতে হবে।

মাতৃদুগ্ধে এত সামান্য নিঃসরিত হয় যে তা কোন ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটার জন্য যথেষ্ট নয়। মনাে অ্যামাইনাে অক্সিডেজের সাথে এ্যারাইভ স্নায়ুর নিস্তেজতা ঘটায়। এক্ষেত্রে সতর্কতা সহ মাত্রা পুননির্ধারণ করা উচিত।

বৈপরীত্য

এ্যারাইভের প্রতি সংবেদনশীল রােগীদের জন্য এটা প্রতিনির্দেশিত।

অতিরিক্ত সতর্কতা

রেনাল অপর্যাপ্ততা: ব্যাকলোফেন মূলত প্রস্রাবে অপরিবর্তিত ওষুধ হিসাবে নির্গত হয়। তাই প্রতিবন্ধী রেনাল ফাংশনযুক্ত রোগীদের মধ্যে ডোজ কমিয়ে আনা প্রয়োজন হতে পারে।

তীব্র ওভারডোজ

কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের হতাশার লক্ষণ দিতে পারে। ব্যাকলোফেনের কোনও নির্দিষ্ট প্রতিষেধক জানা যায় না। জিআই ট্র্যাক্ট থেকে এজেন্টের নির্মূলকরণ, কৃত্রিম শ্বসন, একটি মূত্রবর্ধক এবং ডায়ালাইসিস সহ তরল প্রশাসন বিবেচনা করা উচিত।

অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া

  1. ট্রাইসাইক্লিক এন্টিডিপ্রেসেন্ট এর সাথে বেক্লোফেন গ্রহন করলে দুর্বলতা বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।
  2. উচ্চ রক্তচাপ রোধী ঔষধের সাথে বেক্লোফেন ব্যবহার করলে নিম্ন রক্তচাপের প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে।

সংরক্ষণ

বাচ্চাদের থেকে দূরে শীতল ও শুকনো জায়গায় সংরক্ষণ করুন।

*** Taking medicines without doctor's advice can cause long-term problems.
Share