এসিফ্লোসিন
জেমিফ্লক্সাসি মিসাইলেট মুখে খাবার জন্য একটি সিনথেটিক ব্রড-স্পেকট্রাম এন্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট। এসিফ্লোসিন, ফ্লোরকুইনোলন শ্রেণীর এন্টিবায়োটিকের সাথে সম্পর্কযুক্ত, মিসাইলেট লবণ হিসেবে সেসকুইহাইড্রেট ফর্মে বর্তমান।
ব্যবহার
এসিফ্লোসিন প্রাপ্ত বয়স্কদের নিম্নোক্ত ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের চিকিৎসায় নির্দেশিত' শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ: কমিউনিটি অ্যাকুয়ার্ড নিউমােনিয়া- যা স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমােনি, ক্লামাইডিয়া নিউমােনি, মাইকোপ্লাজমা নিউমােনি, হিমােফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা, মােরাক্সিলা ক্যাটারলিস, লেজিওনেলা নিউমােফিলা দ্বারা ঘটে।
দীর্ঘদিনের ব্রংকাইটিসের হঠাৎ বৃদ্ধি- হিমােফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা, মােরাক্সিলা ক্যাটারলিস, স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমােনি দ্বারা ঘটে। তীব্র ব্যাকটেরিয়াল সাইনুসাইটিস- যা স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমােনি, হিমােফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা, মােরক্সিলা ক্যাটারলিস, স্ট্যাফাইলােকক্কাস অরিয়াস দ্বারা ঘটে। মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণ। তীব্র অজটিল বৃক্কের প্রদাহ- যা ইসচেরিসিয়া কোলাই, ক্লেবসিয়েলা নিউমােনি দ্বারা সংঘটিত হয়। মহিলাদের অজটিল মূত্রনালীর সংক্রমণ- যা ইসচেরিসিয়া কোলাই, কেবসিয়েলা নিউমােনি দ্বারা সংঘটিত হয়।
এসিফ্লোসিন এর দাম কত? এসিফ্লোসিন এর দাম
সুচিপত্র
বাণিজ্যিক নাম | এসিফ্লোসিন |
জেনেরিক | জেমিফ্লক্সাসিন |
ধরণ | ট্যাবলেট |
পরিমাপ | 320mg |
দাম | |
চিকিৎসাগত শ্রেণি | 4-Quinolone preparations |
উৎপাদনকারী | Asiatic Laboratories Ltd |
উপলভ্য দেশ | Bangladesh |
সর্বশেষ সম্পাদনা | September 19, 2023 at 7:00 am |
খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম
এসিফ্লোসিন খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম
- ফ্যাক্টিসিন আহারের পূর্বে বা পরে খাওয়া যেতে পারে এবং খাওয়ার পর প্রচুর পরিমানে পানি পান করতে হবে।
- ফ্যাক্টিসিন-এর নির্ধারিত মাত্রা হল- দৈনিক ৩২০ মি.গ্রা. যা নিচে দেয়া হল নির্দেশনা মাত্রা সময়কাল দীর্ঘদিনের ব্রংকাইটিসের হঠাৎ বৃদ্ধি দৈনিক ৩২০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট ৫ দিন তীব্র ব্যাকটেরিয়াল সাইনুসাইটিস দৈনিক ৩২০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট ৫ দিন।
- কমিউনিটি অ্যাকুয়ার্ড নিউমােনিয়া দৈনিক ৩২০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট ৭ দিন।
- মহিলাদের অজটিল মূত্রনালীর সংক্রমণ দৈনিক ৩২০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট ৩ দিন।
- তীব্র অজটিল বৃক্কের প্রদাহ দৈনিক ৩২০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট ১০ দিন।
- মারাত্মক নিউমােনিয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসার ১৪ দিন পর্যন্ত বর্ধিত করা যেতে পারে।
- বৃক্ক জটিলতার রােগীদের ক্ষেত্রে: মৃদু থেকে মধ্যম বৃক্ক জটিলতার রােগীদের ক্ষেত্রে মাত্রা পূনঃনির্ধারন করার প্রয়ােজন নেই।
- মারাত্মক বৃক্ক অকার্যকর রােগীদের ক্ষেত্রে মাত্রার কিছু পরিবর্তন করা যায়/নির্দেশনা আছে। যদি ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স > ৪০ মি.লি./ মিনিট হয় তাহলে সাধারণ মাত্রাই যথেষ্ট। ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স যদি < ৪০ মি.লি./মিনিট হয় তাহলে দৈনিক ১৬০ মি.গ্রা. করে দিতে হবে।
- যে সমস্ত রােগী হিমােডায়ালাইসিস অথবা নিয়মিত পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস করিয়ে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে দৈনিক ১৬০ মি.গ্রা. করে দিতে হবে।
- যকৃতের জটিলতার রােগীদের ক্ষেত্রে: যকৃতের জটিলতার রােগীদের ক্ষেত্রে মাত্রা পূনঃনির্ধারণ না করেই ওষুধটি দেয়া যেতে পারে। বয়ষ্ক রােগীদের ক্ষেত্রে: মাত্রা পূনঃনির্ধারনের দরকার নেই।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া, মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব, বমি এবং ফুসকুড়ি। কিছু বিরল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে ছত্রাকের মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি, মাথা ঘােরা, অনিদ্রা, চুলকানি এবং ম্যাকুললাপ্যাপুলার ইরাইদেমেটোস স্কিন র্যাশ। এসিফ্লোসিন ব্যবহারে যদি ফুসকুড়ি দেখা দেয় তাহলে চিকিৎসা বন্ধ করে দিতে হবে।
সতর্কতা
যে কোন বয়স সীমার রােগীরা যারা এসিফ্লোসিন ব্যবহার করেছেন বিশেষ করে এসিফ্লোসিন পাশাপাশি কর্টিকোস্টেরয়েড ব্যবহার করছেন তাদের ক্ষেত্রে টেনডােনের প্রদাহ ঘটতে পারে বা টেনডােন ছিড়ে যেতে পারে। টেনডােনের প্রদাহ সন্দেহ হলে এসিফ্লোসিন বন্ধ করে দিতে হবে অথবা পায়ে ব্যথা বা প্রদাহের প্রথম লক্ষণ পাওয়া মাত্রই এসিফ্লোসিন বন্ধ করতে হবে।
ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা থেকে দেখা গেছে এসিফ্লোসিন খুব সামান্য পরিমানে গড় QTG ব্যবধান বাড়িয়ে দিতে পারে। যে সকল রােগী QTc ব্যবধান বৃদ্ধির জন্য ওষুধ নিচ্ছে অথবা যাদের পূর্বেই QTC ব্যবধান বেড়ে গেছে তাদের ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে এসিফ্লোসিন ব্যবহার করতে হবে। মৃগী রােগীদের ক্ষেত্রে এসিফ্লোসিন ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে।
এ্যালুমিনিয়াম বা ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ এন্টাসিড এবং আয়রণ সল্ট একই সাথে ব্যবহার করলে এসিফ্লোসিন এর শােষন তাৎপর্যপূর্নভাবে কমে যায়। এ সমস্ত ওষুধ ব্যবহারে কমপক্ষে দুই ঘন্টা আগে বা তিন ঘন্টা পরে এসিফ্লোসিন নেয়া উচিত। সুক্রালফেট খাওয়ার কমপক্ষে দুই ঘন্টা আগে এসিফ্লোসিন খাওয়া উচিত।
মিথস্ক্রিয়া
এসিফ্লোসিন শোষণ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায় যখন অ্যালুমিনিয়াম বা ম্যাগনেসিয়াম ধারণকারী অ্যান্টাসিড এবং আয়রন লবণ একযোগে পরিচালিত হয়। এসিফ্লোসিন এই এজেন্টগুলির কমপক্ষে 2 ঘন্টা আগে বা 3 ঘন্টা পরে নেওয়া উচিত। সুক্রালফেট প্রশাসনের কমপক্ষে 2 ঘন্টা আগে এসিফ্লোসিন গ্রহণ করা উচিত। ওমেপ্রাজল থিওফাইলিন, ডিগক্সিন, ওয়ারফারিন এবং মৌখিক গর্ভনিরোধকগুলির সাথে এসিফ্লোসিন সহ-প্রশাসিত হওয়ার সময় কোনও চিকিত্সাগতভাবে উল্লেখযোগ্য মিথস্ক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়নি।
গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার
এসিফ্লোসিন গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার করা যাবে। গর্ভবতী ও স্তন্যদায়ী মহিলাদের ক্ষেত্রে এসিফ্লোসিনের ব্যবহার নিরাপদ এবং কার্যকর বলে প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
বৈপরীত্য
এসিফ্লোসিন ও অন্যান্য কুইনােলােন জাতীয় ওষুধের প্রতি অতিসংবেদনশীল এবং যে সকল রােগীর পূর্বে ফ্লুরােকুইনােলােন ব্যবহারজনিত কারনে টেনডােন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না। এসিফ্লোসিন ১৮ বছরের কম বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা উচিত নয়।
অতিরিক্ত সতর্কতা
রেনাল বৈকল্য: হালকা/মাঝারি রেনাল বৈকল্য সহ রোগীদের ক্ষেত্রে ডোজ সামঞ্জস্যের প্রয়োজন নেই। গুরুতর রেনাল ডিসফাংশন রোগীদের জন্য ডোজ কিছু পরিবর্তন সুপারিশ করা হয়. নিম্নলিখিত সারণীটি কিডনি প্রতিবন্ধী রোগীদের ব্যবহারের জন্য ডোজ নির্দেশিকা প্রদান করে:
ক্রিটিনাইন ক্লিয়ারেন্স (>40 মিলি/মিনিট): সাধারণ ডোজ দেখুন
ক্রিটিনাইন ক্লিয়ারেন্স (<40 মিলি/ ন্যূনতম): প্রতিদিন একবার 160 মিলিগ্রাম
হেমোডায়ালাইসিস বা ক্রমাগত অ্যাম্বুলেটরি পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস থেরাপির রোগীদের প্রতিদিন একবার 160 মিলিগ্রাম গ্রহণ করা উচিত
হেপাটিক দুর্বলতা: এসিফ্লোসিন দেওয়া যেতে পারে হেপাটিক প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য, ডোজ সামঞ্জস্যের প্রয়োজন নেই।
বয়স্ক রোগীদের: ডোজ সামঞ্জস্যের প্রয়োজন নেই।
তীব্র ওভারডোজ
নির্দিষ্ট কোন এন্টিডােট নেই। ডায়ালাইসিস পর্যাপ্ত পরিমান ওষুধটি দুর করার জন্য যথেষ্ট নয়। তীব্র মাত্রাতিরিক্ত প্রয়ােগের ক্ষেত্রে বমি অথবা গ্যাস্ট্রিক লেভেজের মাধ্যমে পাকস্থলী খালি করতে হবে। রােগীকে সতর্কতার সাথে পর্যবেন করতে হবে এবং লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা দিতে হবে।
অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া
রক্ত পাতলাকারক (ইনসুলিন), প্রোবেনেসিড, জীবন্ত ভ্যাকসিনের সাথে পারস্পরিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া করতে পারে। এসিফ্লোসিনের সাথে ড্রাগের ব্যবহারের ফলে সিজারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
সংরক্ষণ
হালকা এবং আর্দ্রতা থেকে সুরক্ষিত একটি শীতল এবং শুকনো জায়গায় সংরক্ষণ করুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
https://www.ebi.ac.uk/chebi/searchId.do?chebiId=CHEBI:101853
http://www.hmdb.ca/metabolites/HMDB0015286
http://www.genome.jp/dbget-bin/www_bget?drug:D08012
https://pubchem.ncbi.nlm.nih.gov/summary/summary.cgi?cid=9571107
https://pubchem.ncbi.nlm.nih.gov/summary/summary.cgi?sid=46507905
https://www.chemspider.com/Chemical-Structure.7845573.html
http://www.bindingdb.org/bind/chemsearch/marvin/MolStructure.jsp?monomerid=50178917
https://mor.nlm.nih.gov/RxNav/search?searchBy=RXCUI&searchTerm=138099
https://www.ebi.ac.uk/chebi/searchId.do?chebiId=101853
https://www.ebi.ac.uk/chembldb/index.php/compound/inspect/CHEMBL430
http://bidd.nus.edu.sg/group/cjttd/ZFTTDDRUG.asp?ID=DAP000851
http://www.pharmgkb.org/drug/PA10088
http://www.rxlist.com/cgi/generic3/factive.htm
https://www.drugs.com/cdi/gemifloxacin.html
http://www.pdrhealth.com/drug_info/rxdrugprofiles/drugs/fac1662.shtml
https://en.wikipedia.org/wiki/Gemifloxacin