এসকোয়েল

কফ দমনে এসকোয়েল মস্তিষ্কের কফ সেন্টারে সরাসরি কাজ করে। এসকোয়েল নিরাপদ এবং নন-সিডেটিভ যা রাসায়নিকভাবে বা ফার্মাকোলজিক্যালি অপিয়াম অ্যালকালয়েডের সাথে সম্পর্কযুক্ত নয়। মুখে খাওয়ার পর ইহা দ্রুত এবং সম্পূর্ণরূপে শোষিত হয়। সাসটেইনড্ রিলিজ ট্যাবলেট এর ক্ষেত্রে ৯ ঘন্টায় সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছায়। ইহার প্রোটিন বন্ধন ক্ষমতা বেশী এবং প্লাজমা নিঃসরণ হাফ-লাইফ হচ্ছে ১৩ ঘন্টা। এসকোয়েল এর বিপাকীয় দ্রব্যেরও কফ নিরোধক ক্ষমতা আছে।

ব্যবহার

(এসকোয়েল) শুষ্ক কফ (নন-প্রােডাক্টিভ) থেকে মুক্তির জন্য ব্যবহৃত হয়। সাম্প্রতিক কোন ভাইরাল ইনফেকশনের জন্য শুষ্ক কফ হতে পারে। যেকোন কারণে সৃষ্ট তাৎক্ষণিক কফ শল্য চিকিৎসার আগে ও পরে কফ নিরােধে এবং ব্রংকোস্কোপিতেও মিরাকফ নির্দেশিত। শ্বাসতন্ত্রের নিম্নাংশের সংক্রমণ (ট্রাকিয়াইটিস, ল্যারিনজাইটিস, ব্রংকাইটিস ইত্যাদি) সৃষ্ট কফ এবং হুপিং কফেও ইহা নির্দেশিত।

এসকোয়েল এর দাম কত? এসকোয়েল এর দাম

এসকোয়েল in Bangla
Askorel in bangla
বাণিজ্যিক নাম এসকোয়েল
জেনেরিক বিউটামিরেট সাইট্রেট
ধরণ সিরাপ, ট্যাবলেট (সাস্টেইনড রিলিজ), পেডিয়াটিক ড্রপস
পরিমাপ 7.5mg/5ml, 50mg, 5mg/ml
দাম
চিকিৎসাগত শ্রেণি Cough suppressant
উৎপাদনকারী Incepta Pharmaceuticals Limited
উপলভ্য দেশ Bangladesh
সর্বশেষ সম্পাদনা September 19, 2023 at 7:00 am

খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

এসকোয়েল খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

  • ট্যাবলেট: ১২ বছরের বেশী বাড়ন্তদের জন্য: প্রতিদিন ১-২টি ট্যাবলেট।
  • বয়স্কদের জন্য: ২-৩টি ট্যাবলেট ৮-১২ ঘন্টার ব্যবধানে।
  • সিরাপ: প্রাপ্ত বয়স্ক: ১৫ মি.লি. করে দিনে ৩ বার।
  • শিশু (৬-১২ বছর): ১০ মি.লি. করে দিনে ৩ বার।
  • শিশু (৩-৬ বছর): ১০ মি.লি. করে দিনে ৩ বার।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

এসকোয়েল খুবই সহনীয়। কখনও কখনও ফুসকুড়ি, বমি বমি ভাব, ঝাপসাভাব এর রিপাের্ট পাওয়া গেছে। মাত্রা কমালে বা ওষুধ সেবন বন্ধ করলে এ সকল প্রতিক্রিয়া দূরীভূত হয়।

সতর্কতা

এসকোয়েল কাশি দমন করে বিধায় একই সাথে এক্সপেকটোরেন্ট এর ব্যবহার থেকে বিরত থাকা উচিত, যেহেতু এটা শ্বাসনালিতে মিউকাস ধরে রাখতে পারে যা ব্রঙ্কসপাসম এবং শ্বাসযন্ত্রের ইনফেকশনের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। যদি কাশি ৭ দিনেরও বেশি সময় ধরে অব্যাহত থাকে (১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে ৩ দিনের বেশি) চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত ৷

মিথস্ক্রিয়া

এক্সপেকটোরেন্ট এর সাথে প্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে হবে।

গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার

এসকোয়েল গর্ভাবস্থায় প্রথম তিনমাস ব্যবহার করা যাবে না। গর্ভকালীন বাকি সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শে সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা যেতে পারে। যেহেতু বুকের দুধে কার্যকরী উপাদানের নিঃসরণের উপর কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। সেহেতু ওষুধ ব্যবহারে প্রত্যাশিত সুবিধা সম্ভাব্য ঝুঁকি হতে অধিকতর বিবেচিত হলে স্তন্যদানকালে ব্যবহার করা যেতে পারে।

বৈপরীত্য

কার্যকরী উপাদানের প্রতি অতি সংবেদনশীলতা থাকলে।

অতিরিক্ত সতর্কতা

তীব্র ওভারডোজ

  • এসকোয়েলের অতিরিক্ত মাত্রায় সেবনের ফলে ঘুমঘুম ভাব, বমি, ডায়রিয়া, ঝাপসাভাব এবং নিম্নরক্তচাপ হতে পারে। প্রচলিত জরুরী ব্যবস্থাদির মধ্যে অ্যাক্টিভেটেড চারকোল, ল্যাভেটভ স্যালাইন দিতে হবে আর প্রচলিত কার্ডিও-রেসপিরেটরি চিকিৎসা দিতে হবে।

অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া

সংরক্ষণ

আলাে ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, ৩০° সে. তাপমাত্রার নীচে রাখুন। সকল ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

*** Taking medicines without doctor's advice can cause long-term problems.
Share