এটরম্যাক

এটরভাসটাটিন HMG-CoA রিডাকটেজ এর একটি সুনির্দিষ্ট প্রতিবন্ধক। এই এনজাইম বিক্রিয়ার গতি নির্দেশক একটি এনজাইম যা HMG-CoA কে মেভালোনেট-এ রূপান্তর করে। মেভালোনেট কোলেস্টেরল সহ অন্যান্য স্টেরল তৈরীর একটি পূর্ববর্তী উপাদান। এটরভাসটাটিন HMG-CoA রিডাকটেজকে বাধা প্রদান করে কোলেস্টেরল তৈরী হ্রাসের মাধ্যমে এবং যকৃতে LDL এর অধিঃগ্রহণ ও অপচিতিক্রিয়া বৃদ্ধির জন্য যকৃত কোষের পৃষ্টদেশে LDL রিসেপ্টরের সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে রক্তরসে কোলেস্টেরল ও লিপোপ্রোটিনের পরিমাণ কমায়।

ব্যবহার

  • এনজিটর নির্দেশনার আগে রােগীকে কোলেস্টেরল কমানাের খাদ্য তালিকা দিতে হবে।
  • সাধারণ নির্দেশনামাত্রা অনুযায়ী সকল ক্ষেত্রে প্রারম্ভিক মাত্রা ১০ মি.গ্রা. দিনে একবার।
  • নির্দেশনামাত্রা এলডিএল এর প্রারম্ভিক মাত্রা, লক্ষ্যমাত্রা এবং রােগীর উপর কার্যকারিতার উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করতে হবে। মাত্রা পুনঃনির্ধারণ এর ক্ষেত্রে চার সপ্তাহ বা তার বেশি ব্যবধান রাখতে হবে।
  • ওষুধ দিনের যে কোন সময় খাবারের সাথে অথবা খাবার সময় ছাড়া সেবন করা যাবে।
  • সর্বোচ্চ মাত্রা হল দৈনিক ৮০ মি.গ্রা.।
  • বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে: (>৭০ বছর) ৭০ বছরের বেশী বয়স্ক রােগীর দেহে এনজিটর (৮০ মি.গ্রা./দিন পর্যন্ত) ৭০ বছরের কম বয়স্ক রােগীদের মতই কার্যকর ও নিরাপদ।
  • বৃক্কের অকার্যকারিতা: মাত্রা পুন: নির্ধারনের প্রয়ােজন নেই।

এটরম্যাক এর দাম কত? এটরম্যাক এর দাম

এটরম্যাক in Bangla
Atormac in bangla
বাণিজ্যিক নাম এটরম্যাক
জেনেরিক এট্রোভাস্টাটিন ক্যালসিয়াম
ধরণ ট্যাবলেট
পরিমাপ
দাম
চিকিৎসাগত শ্রেণি Other Anti-anginal & Anti-ischaemic drugs, Statins
উৎপাদনকারী Macleods Pharmaceuticals
উপলভ্য দেশ India
সর্বশেষ সম্পাদনা September 19, 2023 at 7:00 am

খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

এটরম্যাক খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

প্রাইমারী হাইপারকোলেস্টেরলেমিয়া এবং কম্বাইন্ড হাইপার লিপিডেমিয়া: সাধারণত ১০ মিগ্রা দিনে ১ বার। প্রয়োজনে এ মাত্রা ৪ সপ্তাহ ব্যবধানে সর্বোচ্চ ৮০ মিগ্রা. পর্যন্ত দিনে ১ বার বাড়ানো যেতে পারে।

(১০-১৭) বছর বয়সের ক্ষেত্রে: সাধারণত ১০ মিগ্রা দিনে ১ বার।

ফ্যামিলিয়ার হাইপার কোলেস্টেরলেমিয়াঃ শুরুতে ১০ মিগ্রা দিনে ১ বার, ৪ সপ্তাহ ব্যবধানে সর্বোচ্চ ৪০ মিগ্রা দিনে ১ বার, প্রয়োজনে মাত্রা বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৮০ মিগ্রা দিনে ১ বার পর্যন্ত দেয়া যেতে পারে।

১০-১৭ বছর বয়স: ২০ মিগ্রা পর্যন্ত দিনে ১ বার। অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

  • এটোরভাসটেটিন সাধারণত সহনশীল।
  • পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সমুহ সাময়িক ও মৃদু।
  • রিভারসিবল মায়ােসাইটিস স্ট্যাটিন সমূহের প্রধান পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া যা বিরল ক্ষেত্রে দেখা যায়।
  • এছাড়াও স্ট্যাটিন সমূহে মাথাব্যথা, পেট ফাপা, ডাইরিয়া, বমিবমিভাব এবং বমি হতে পারে।
  • থ্রম্বােসাইটোপেনিয়া, র্যাশ এবং অতিসংবেদনশীলতা খুব বিরল ক্ষেত্রে দেখা যায়।
  • এটোরভাসটেটিন থেরাপির অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সমূহের মধ্যে হলঅনিদ্রা, এনজিওএডিমা,ক্ষুধামন্দা, এসথেনিয়া, পেরিফেরাল নিউরােপ্যাথি, টাকপড়া, প্রুরিটাস, র্যাশ, ইমপােটেন্স, বুকব্যথা, হাইপােগ্লাইসেমিয়া এবং হাইপারগ্লাইসেমিয়া।

সতর্কতা

যকৃতের উপর প্রভাবঃ চিকিৎসা শুরুর আগে এবং চিকিৎসা শুরুর পরে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে যকৃতের কার্যকারিতার পরীক্ষাগুলো করতে হবে। যাদের যকৃতের রোগ আছে অথবা যারা অতিরিক্ত পরিমাণে এলকোহল সেবন করে তাদের ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে এটরভাসটাটিন ব্যবহার করতে হবে। CPK লেভেল অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেলে অথবা মায়োপ্যাথি দেখা দিলে বা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকলে এটরভাসটাটিন থেরাপি বন্ধ করতে হবে।

মিথস্ক্রিয়া

এটরভাসটাটিনের সাথে সাইক্লোস্পোরিন, ফিব্রিক এসিড ডেরিভেটিভ, এরিথ্রোমাইসিন, এজোল এন্টিফাংগাল এবং নিয়াসিন প্রদান করলে মায়োপ্যাথি হবার ঝুঁকি বেড়ে যায়। উচ্চ রক্তচাপ বিরোধী অথবা হাইপোগ্লাইসেমিক ঔষধের সাথে এটরভাসটাটিনের কোন উল্লেখযোগ্য ক্লিনিক্যাল প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। এটরভাসটাটিনের সাথে ডিগক্সিন, এরিথ্রোমাইসিন, ওরাল কন্ট্রাসেপটিভ, কলেস্টিপল, এন্টাসিড এবং ওয়ারফারিন দেয়া হলে রোগীকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।

গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার

গর্ভধারণ ও মাতৃদুগ্ধদানকালে এটোরভাসটেটিন প্রতিনির্দেশিত। সন্তান ধারণে সক্ষম নারীদেরকে এটোরভাসটেটিন থেরাপি দেবার সময় পর্যাপ্ত জন্মবিরতিকরণ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এটোরভাসটেটিন থেরাপি চলাকালে কেউ গর্ভধারণ করলে এটোরভাসটেটিন থেরাপি বন্ধ করতে হবে।

বৈপরীত্য

এটোরভাসটেটিনের অথবা এর যে কোন উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা, একটিভ লিভার ডিজিজ অথবা অবিশেষ্য বিদ্যমান সেরাম ট্রান্সএমাইনেজের বৃদ্ধি, গর্ভধারণ, মাতৃদুগ্ধ দানকালে এবং সন্তানধারণে সম বয়সের নারী যারা পর্যাপ্ত জন্মবিরােধীকরণ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি তাদের ক্ষেত্রে প্রতিনির্দেশিত।

অতিরিক্ত সতর্কতা

তীব্র ওভারডোজ

অটোর্ভাস্ট্যাটিন ওভারডোজের জন্য নির্দিষ্ট চিকিত্সা উপলব্ধ নয়। ওভারডোজ হলে, রোগীর লক্ষণগতভাবে চিকিত্সা করা উচিত এবং প্রয়োজন অনুসারে সহায়ক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। লিভার ফাংশন পরীক্ষা এবং সিরাম CPK মাত্রা নিরীক্ষণ করা উচিত। প্লাজমা প্রোটিনের সাথে ওষুধের ব্যাপক আবদ্ধতার কারণে, হেমোডায়ালাইসিস উল্লেখযোগ্যভাবে Atorvastatin ক্লিয়ারেন্স বাড়াবে বলে আশা করা যায় না।

অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া

এই শ্রেণীর অন্যান্য ওষুধের সাথে সাইক্লোসপরিন, ফাইব্রিক এসিড ডেরিভেটিভ, এরিথ্রোমাইসিন, এজোল এন্টিফাংগাল এবং নিয়াসিন প্রদান করলে মায়ােপাথি হবার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এটোরভাসটেটিনের সাথে উক্ত ওষুধ সমূহ যােগ করলেও একই ধরনের ঝুঁকি বাড়তে পারে। উচ্চ রক্তচাপ বিরােধী অথবা হাইপােগ্লাইসেমিক ওষুধের সাথে এটোরভাসটেটিন প্রভাব জানা যায়নি। এটোরভাসটেটিনের এর সাথে ডিগক্সিন, এরিথ্রোমাইসিন, ওরাল কন্ট্রাসেপটিভ, কলেটিপল, এন্টাসিড এবং ওয়ারফারিনের সাথে এটোরভাসটেটিন দেয়া হলে রােগীকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। সিমেটিডিনের সাথে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

সংরক্ষণ

আলো থেকে সুরক্ষিত একটি শীতল এবং শুষ্ক জায়গায় সংরক্ষণ করুন। এই ওষুধটি শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন৷


*** Taking medicines without doctor's advice can cause long-term problems.
Share