ব্যবহার
এই সিরাপ কফ ও কফ জনিত কনজেশন এর উপসর্গ নিরাময়ে নির্দেশিত। এছাড়াও ইহা নাক দিয়ে পানি ঝরা, হাঁচি, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখ/নাক/গলা চুলকানি এবং অন্যান্য এলার্জির উপসর্গ নিরাময়ে নির্দেশিত।
Benylin Chesty Coughs (Original) এর দাম কত? Benylin Chesty Coughs (Original) এর দাম
খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম
Benylin Chesty Coughs (Original) খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম
প্রাপ্তবয়স্ক ও ১২ বছরের শিশুদের ক্ষেত্রে: ১০ মিলি করে দিনে ৪ বার। দৈনিক সর্বোচ্চ সেবনমাত্রা ৪০ মিলি।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
ডাইফেনহাইড্রামিন সেবনে মাথা ঘুরানো, ঘুম ঘুম ভাব, পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা, মুখ ও গলা শুকিয়ে যাওয়া এবং মূত্র ত্যাগে জ্বালাপোড়া অথবা চোখে ঝাপসা ইত্যাদি দেখা যেতে পারে।
সতর্কতা
এই সিরাপ সেবনে তন্দ্রাচ্ছন্নতা হতে পারে। লিভার এবং কিডনির সমস্যাজনিত রোগীদের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ন্যারো এঙ্গেল গ্লুকোমা অথবা সিম্পটোম্যাটিক প্রোস্ট্যাটিক হাইপারট্রফিতে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে ডাইফেনহাইড্রামিন ব্যবহার করা উচিত নয়।
মিথস্ক্রিয়া
ডাইফেনহাইড্রামিন এলকোহল, কোডেইন, সিএনএস ডিপ্রেসেন্ট, এন্টিকোলিনার্জিক (যেমন: সাইকোট্রপিক ড্রাগ এবং এট্রোপিন) এবং অন্যান্য এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধের কার্যকারীতা বাড়িয়ে দিতে পারে। মনোঅ্যামাইন অক্সিডেজ ইনহিবিটর এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধের এন্টিকোলিনার্জিক কার্যকারীতা বাড়িয়ে দেয়।
গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার
কোন রকম বিরূপ প্রতিক্রিয়া ছাড়াই গর্ভাবস্থায় ডাইফেনহাইড্রামিন বহু বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যেহেতু ইহা প্লাসেন্টা অতিক্রম করে এবং মাতৃদুগ্ধে নিঃসরিত হয় তাই একান্ত প্রয়োজনব্যতিত গৰ্ভবর্তী ও দুগ্ধদানকারী মায়েদের ইহা সেবন করা উচিত নয়।
বৈপরীত্য
এই সিরাপের যে কোন একটি উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে এবং যারা দীর্ঘদিন ধরে কাশি অথবা শ্বাসকষ্টজনীত রোগ যেমন- অ্যাজমা আক্রান্ত তাদের ক্ষেত্রে প্রতিনির্দেশিত। মনোঅ্যামাইন অক্সিডেজ ইনহিবিটর গ্রহণকারী অথবা যারা বিগত দুই সপ্তাহের মধ্যে মনোঅ্যামাইন অক্সিডেজ ইনহিবিটর সেবন করেছেন তাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা উচিত নয়।
অতিরিক্ত সতর্কতা
তীব্র ওভারডোজ
অতিমাত্রায় সেবনে তন্দ্রাভাব, শরীরে অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং এন্টিকোলিনার্জিক ইফেক্ট দেখা দিতে পারে। এছাড়া মস্তিস্কের উক্তেজনা যেমন হ্যালুসিনেশন, অচেতনতা বা হৃদপিন্ডের কার্যক্রম বন্ধ হতে পারে। অতিমাত্রার চিকিৎসা সাধারণত উপসর্গ অনুসারে নিতে হবে। এই সিরাপ ব্যবহার করে পাকস্থলি খালি অথবা এক্টিভেটেড চারকোল ব্যবহার করা যেতে পারে। ডায়াজিপাম বা থিওপেন্টল সোডিয়াম দ্বারা খিচুনি এবং ফাইসস্টিগমিন আইভি প্রয়োগের মাধ্যমে এন্টিকোলিনার্জিক উপসর্গ সমূহকে প্রশমিত করা সম্ভব।
অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া
সংরক্ষণ
আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, ৩০ ডিগ্রী সেঃ তাপমাত্রার নীচে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।