ক্যালসিয়াম

ক্যালসিয়াম শরীরের একটি প্রয়োজনীয় ইলেকট্রোলাইট। ইহা মাংসপেশী ও স্নায়ুর স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা, হৃদপিন্ডের কার্যকারিতা এবং রক্তের জমাট বাঁধা প্রক্রিয়া ইত্যাদির সাথে জড়িত।

Calcium carbonate reacts with gastric acid to produce a salt and water. For calcium carbonate the postulated chemical reaction is:

CaCO3 + 2HCl = CaCl2 + H2O + CO2

ক্যালসিয়াম কার্বনেটের তিনটি প্রধান কাজ হচ্ছে:

  1. খাদ্যে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ কর।
  2. পেপটিক আলসার রোগে অতিরিক্ত এসিডকে প্রশমন করা।
  3. দীর্ঘস্থায়ী কিডনী জটিলতায় অন্ত্রে ফসফরাস একত্রিত করে শরীরে ফসফেটের পরিমাণ কমানো।

ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনীয়তা বয়সের সাথে সম্পর্কিত এবং শৈশব, গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে এর প্রয়োজনীয়তা অপেক্ষাকৃত বেশি, কারণ এ সময় ক্যালসিয়ামের চাহিদা বেশি। বৃদ্ধ বয়সে ক্যালসিয়ামের শোষন বিঘ্নিত হয়, ফলে বয়োবৃদ্ধদের ক্ষেত্রে এর চাহিদা বেশি হয় এবং রেনাল ফেইলিওর রোগীদের ফসফেট বাইন্ডার হিসেবে বেশি ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন হয়।ক্যালসিয়ামের শোষণ বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে, যেমন ক্যালসিয়ামের ও অন্যান্য খাদ্য উপাদান গ্রহণের পরিমাণ, গর্ভাবস্থায়, স্তন্যদানকালীন, শরীরে ক্যালসিয়ামের ভারসাম্য এবং শরীরে ভিটামিন ডি এর পরিমাণ ইত্যাদি।

ব্যবহার

এটি হাইপারএসিডিটি সংক্রান্ত বিভিন্ন লক্ষণ উপশম করে। তাছাড়া বদহজম, বুক জ্বালাপােড়া, টক ঢেকুর এবং পাকস্থলীর অস্বস্তিতেও এটি ব্যবহার করা যায়।

  1. ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত জটিলতায়ঃ শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাবের ফলে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায়, যেমন- অস্টিওম্যালেসিয়া, রিকেটস এবং উর্ধ্ব পাকান্ত্রিক নালীতে শোষণে জটিলতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে নির্দেশিত।
  2. ক্যালসিয়ামের পরিপূরক হিসেবেঃ ক্যালসিয়াম গ্রহণ অপর্যাপ্ত হলে, বিশেষ করে যখন ক্যালসিয়ামের চাহিদা বৃদ্ধি পায়, যেমন শৈশবে, বৃদ্ধ বয়সে, গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকালে।
  3. ফসফেট যুক্তকারী (বাইন্ডার) হিসেবেঃ হাইপারফসফেটেমিয়া, দীর্ঘস্থায়ী কিডনী জটিলতায় কিডনীর অস্টিওডিস্ট্রফি প্রতিরোধে অস্ত্র হতে ফসফেটের শোষণ হ্রাস করার জন্য কার্যকরী ফসফেট যুক্তকারী হিসেবে ইহা ব্যবহৃত হয়।
  4. অস্টিওপরোসিসঃ অস্টিওপরোসিসে হাড়ে খনিজ লবণের গতি হ্রাস করার জন্য প্রচলিত চিকিৎসার সাথে অথবা অন্যান্য কার্যকরী চিকিৎসা প্রতিনির্দেশিত হলে ইহা নির্দেশিত।
  5. এন্টাসিড হিসেবেঃ সাধারণত অন্যান্য এন্টাসিডের সাথে, বিশেষকরে ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত এন্টাসিডের সাথে ইহা নির্দেশিত।

ক্যালসিয়াম এর দাম কত? ক্যালসিয়াম এর দাম

ক্যালসিয়াম  in Bangla
Calcium in bangla
বাণিজ্যিক নাম ক্যালসিয়াম
জেনেরিক ক্যালসিয়াম কার্বনেট
ধরণ Chewable Tablet, ট্যাবলেট, সিরাপ
পরিমাপ 250mg, 500mg, 108mg/5ml, 50mg, 0.5g/ml
দাম
চিকিৎসাগত শ্রেণি Minerals in bone formation, Specific mineral preparations
উৎপাদনকারী Albion Pharmaceuticals Ltd, Essential Drugs Company Ltd, Specific Research Laboratories, Health Aid Ltd
উপলভ্য দেশ Bangladesh, Pakistan, India, United States
সর্বশেষ সম্পাদনা September 19, 2023 at 7:00 am

খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

ক্যালসিয়াম খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

  1. ক্যালসিয়াম চুষে খাওয়ার ট্যাবলেটঃ শিশুদের দৈনিক ১-২ টি ট্যাবলেট।
  2. ক্যালসিয়াম ২৫০ মি.গ্রাঃ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য দৈনিক ২টি ট্যাবলেট।
  3. ক্যালসিয়াম ৫০০ মি.গ্রাঃ দৈনিক ১টি ট্যাবলেট।
  • লক্ষণ দেখা দেবার পর তীব্রতা অনুসারে ২-৩টি ট্যাবলেট খেতে হবে। প্রয়ােজন হলে প্রতি ঘন্টায় অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া যেতে পারে।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

সুসহনীয়। তবে মাঝে মাঝে বমি বা কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিলে ওষুধের পরিমাণ বা মাত্রা কমিয়ে দিলে অবস্থার উন্নতি ঘটে।

সতর্কতা

কিডনি জটিলতায় রোগীকে ক্যালসিয়াম কার্বনেট সাবধানে দেয়া উচিত। যে সব রোগের ক্ষেত্রে পাথর তৈরীর পূর্ব ইতিহাস জানা আছে তাদেরকে তরল খাদ্য গ্রহণ বৃদ্ধি করার পরামর্শ দেয়া উচিত। বিশেষভাবে নির্দেশিত না হলে ক্যালসিয়াম গ্রহণের সময় উচ্চ মাত্রার ভিটামিন ডি পরিহার করা উচিত।হাইপারক্যালসিউরিয়ার ক্ষেত্রে ক্যালসিয়াম কার্বনেটের মাত্রা কমান বা চিকিৎসা বন্ধ করা উচিত।

মিথস্ক্রিয়া

ক্যালসিয়াম কার্বোনেট ডিগক্সিন এবং অন্যান্য কার্ডিয়াক গ্লাইকোসাইডের কার্ডিয়াক প্রভাবকে বাড়িয়ে তুলতে পারে, যদি সিস্টেমিক হাইপারক্যালসেমিয়া দেখা দেয়। ক্যালসিয়াম কার্বোনেট একযোগে পরিচালিত টেট্রাসাইক্লিন প্রস্তুতির শোষণে হস্তক্ষেপ করতে পারে এবং দীর্ঘস্থায়ী রেনাল ব্যর্থতার ক্ষেত্রে হাইপারক্যালসেমিয়া এড়াতে ভিটামিন ডি থেরাপির পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে যখন ক্যালসিয়াম কার্বোনেট প্রাথমিক ফসফেট বাইন্ডার হিসাবে ব্যবহার করা হয়।

গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার

গর্ভবস্থায় এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে ক্যালসিয়াম কে সবচেয়ে নিরাপদ এ্যান্টাসিড হিসাবে গণ্য করা হয়। কারণ হিসাবে বলা হয় এটি হাইপারএসিডিটি চিকিৎসার সাথে শরীরে প্রয়ােজনীয় ক্যালসিয়াম সরবরাহ নিশ্চিত করে।

বৈপরীত্য

হাইপারক্যালসেমিয়া এবং হাইপার প্যারাথাইরয়ডিজম, হাইপার ক্যালসিউরিয়া এবং নেফ্রালি ইথিয়াসিস, জলিনজার ইলিসন সিনড্রম ইত্যাদি ক্ষেত্রে ক্যালসিয়াম কার্বনেট প্রতিনির্দেশিত।

অতিরিক্ত সতর্কতা

শিশুদের মধ্যে ব্যবহার করুন: ক্যালসিয়াম কার্বোনেট দীর্ঘস্থায়ী রেনাল ব্যর্থতায় আক্রান্ত শিশুদের এবং শিশুদের মধ্যে ব্যাপকভাবে অধ্যয়ন করা হয়েছে এবং এটি নিরাপদ এবং কার্যকর উভয়ই।

বয়স্কদের মধ্যে ব্যবহার করুন

শক্তিশালী>: বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে রেনাল ফেইলিউর হলে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করলে কোষ্ঠকাঠিন্য এই গ্রুপের জন্য সমস্যা হতে পারে। এই কারণে, সিরাম ক্যালসিয়াম এবং ফসফেটের নিরীক্ষণ অবশ্যই বয়স্ক রোগীদের জন্য নির্দেশিত।

তীব্র ওভারডোজ

অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া

ক্যালসিয়াম কার্বনেট এবং অন্যান্য এন্টাসিড টেট্রাসাইক্লিন অথবা সিপ্রোফ্লক্সাসিন এর সাথে গ্রহণ করলে টেট্রাসাইক্লিন অথবা সিপ্রোফ্লক্সাসিন এর শোষণ হ্রাস হতে পারে। ক্যালসিয়াম কার্বনেট এবং অন্যান্য ঔষধ ২-৩ ঘন্টা ব্যবধানে গ্রহণ করে এ অবস্থা পরিহার করা যায়।

সংরক্ষণ

নিয়ন্ত্রিত ঘরের তাপমাত্রায় শীতল, শুকনো জায়গায় সংরক্ষণ করুন।