cardicor plus এর কাজ, খাওয়ার নিয়ম, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, সতর্কতা - MedicineBangla

cardicor plus

বিসোপ্রোলল হল একটি বিটা1 সিলেক্টিভ (কার্ডিও সিলেক্টিভ) অ্যাড্রেনোসেপ্টর ব্লকিং এজেন্ট যার থেরাপিউটিক ডোজ রেঞ্জে উল্লেখযোগ্য ঝিল্লি স্থিতিশীল কার্যকলাপ বা অভ্যন্তরীণ সিম্প্যাথোমিমেটিক কার্যকলাপ ছাড়াই।

হাইড্রোক্লোরোথিয়াজাইড

strong>একটি মূত্রবর্ধক (বেনজোথিয়াডিয়াজিন) যা দূরবর্তী রেনাল টিউবুলার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে যা সোডিয়াম এবং ক্লোরাইডের নিঃসরণ বাড়ায় এবং ফলস্বরূপ রক্তের পরিমাণ বা কার্ডিয়াক আউটপুট হ্রাস পায়। ওষুধ উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ সাড়া দেয়। হাইড্রোক্লোরোথিয়াজাইড উল্লেখযোগ্যভাবে Bisoprolol Fumarate-এর অ্যান্টিহাইপারটেনসিভ প্রভাব বাড়ায়। হাইড্রোক্লোরোথিয়াজাইড কম ডোজের কারণে হাইপোক্যালেমিয়ার প্রকোপ কম।

ব্যবহার

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর।

cardicor plus এর দাম কত? cardicor plus এর দাম

cardicor plus in Bangla
cardicor plus in bangla
বাণিজ্যিক নাম cardicor plus
জেনেরিক বিসোপ্রোলল ফিউমারেট + হাইড্রোক্লোরােথায়াজাইড
ধরণ Tablet, Film Coated
পরিমাপ 5, 12.5mg
দাম
চিকিৎসাগত শ্রেণি  
উৎপাদনকারী Jazeera Pharmaceutical Industries (jpi)
উপলভ্য দেশ Saudi Arabia
সর্বশেষ সম্পাদনা September 19, 2023 at 7:00 am

খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

cardicor plus খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

  • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর মাত্রা হলাে বিসােপ্রলল এর ২.৫-৪০ মি.গ্রা. দিনে ১ বার এবং হাইড্রোক্লোরােথায়াজাইড এর ১২.৫-৫০ মি.গ্রা. দিনে ১ বার।
  • বিসসালল ফিউমারেট এবং হাইড্রোক্লোরােথায়াজাইড কম্বিনেশন এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে এর যে কোন উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধিতে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।।
  • প্রারম্ভিক চিকিৎসায় মাত্রা: বিসােকর প্লাস (২.৫/৬.২৫ মি.গ্রা.) ১টি ট্যাবলেট দিনে ১ বার দিয়ে চিকিৎসা শুরু করতে হবে।
  • রক্তচাপ যথাযথ নিয়ন্ত্রণের জন্য ২ সপ্তাহ অন্তর মাত্রা বৃদ্ধি করা যেতে পারে (সর্বোচ্চ মাত্রা হলাে বিসােলল ফিউমারেট/হাইড্রোক্লোরােথায়াজাইড ২০/১২.৫ মি.গ্রা. দিনে ১ বার)।
  • পরিবর্তিত চিকিৎসায় মাত্রা: বিকের প্লাস ওষুধ বিসােপ্রলল বা হাইড্রোক্লোরােথায়াজাইড এর একক ব্যবহারের পরিবর্তে কম্বিনেশন হিসাবে ব্যবহার করা যাবে।
  • ক্লিনিক্যাল কার্যকারিতা প্রভাবিত মাত্রা: যাদের রক্তচাপ দৈনিক ২.৫-২০ মি.গ্রা. বিসােপ্রলল দ্বারা যথাযথ নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না, তাদেরকে বিােেকর প্লাস দেয়া যেতে পারে।
  • যাদের রক্তচাপ দৈনিক ৫০ মি.গ্রা. হাইড্রোক্লোরােথায়াজাইড দ্বারা যথাযথ নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে কিন্তু পটাশিয়াম ঘাটতি দেখা দেয়, তাদের ক্ষেত্রে বিসােকর প্লাস দ্বারা চিকিৎসায় ইলেকট্রোলাইটের অসমতা ছাড়াই সমপরিমাণ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ কার্যকারিতা পাওয়া যায়।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

সাধারণতঃ সুসহনীয়। বেশীরভাগ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াই মৃদু ও কদাচিৎ। কিছু সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলােঃ অবসাদ, ঝিমুনী, মাথা ব্যথা, ল্যাডিকার্ডিয়া, অ্যারিদমিয়া, পেরিফেরাল ইস্কিমিয়া, পুকে ব্যথা, বুক ধড়ফড় করা, ঠাণ্ডার ভাব, কডিকেশন, অর্পোট্যাটিক হাইপােটেনশন, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, বমি বমি ভাব, ডিসপেপসিয়া, রাইনাইটিস, ফেরিনজাইটিস ইত্যাদি।

সতর্কতা

থায়াজাইড মূত্রবর্ধক গ্রহণকারী নির্দিষ্ট রোগীদের মধ্যে হাইপারইউরিসেমিয়া বা তীব্র গাউট হতে পারে। তরল এবং ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতার সতর্কতা লক্ষণ বা লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে মুখের শুষ্কতা, তৃষ্ণা, দুর্বলতা, অলসতা, তন্দ্রা, অস্থিরতা, পেশীতে ব্যথা বা ক্র্যাম্প, পেশীবহুল ক্লান্তি, হাইপোটেনশন, অলিগুরিয়া, টাকাইকার্ডিয়া এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ব্যাঘাত যেমন বমি বমি ভাব এবং বমি। হাইপোক্যালেমিয়া বিকাশ হতে পারে।

যদি এই সংমিশ্রণ থেরাপিটি প্রত্যাহার করার পরিকল্পনা করা হয় তবে এটি প্রায় 2 সপ্তাহের মধ্যে ধীরে ধীরে অর্জন করা উচিত। রোগীদের সাবধানে পর্যবেক্ষণ করা উচিত।

মিথস্ক্রিয়া

একসঙ্গে ব্যবহার করা হলে এই সংমিশ্রণ ওষুধটি অন্যান্য অ্যান্টিহাইপারটেনসিভ এজেন্টের ক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে পারে। এই সংমিশ্রণ ওষুধটি অন্যান্য বিটা-ব্লকিং এজেন্টগুলির সাথে একত্রিত করা উচিত নয়। ক্যাটেকোলামাইন হ্রাসকারী ওষুধ গ্রহণকারী রোগীদের, যেমন রিসারপাইন বা গুয়ানেথিডিন, তাদের নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত কারণ বিসোপ্রোললের বিটা অ্যাড্রেনার্জি ব্লকিং অ্যাকশন সহানুভূতিশীল কার্যকলাপের অত্যধিক হ্রাস ঘটাতে পারে। এই সংমিশ্রণটি সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত যখন মায়োকার্ডিয়াল ডিপ্রেসেন্ট বা AV পরিবাহনের ইনহিবিটর, যেমন নির্দিষ্ট ক্যালসিয়াম বিরোধী ভেরাপামিল এবং বেনজোথিয়াজেপাইন ডিলটিয়াজেম ক্লাস বা অ্যান্টি-অ্যারিথমিক এজেন্ট যেমন ডিসোপাইরামাইড একযোগে ব্যবহার করা হয়। ডিজিটালিস গ্লাইকোসাইড এবং বিটা-ব্লকার উভয়ই অ্যাট্রিওভেন্ট্রিকুলার সঞ্চালন ধীর করে এবং হৃদস্পন্দন হ্রাস করে।

গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার

গর্ভাবস্থায়: (গনেন্সি ক্যাটাগরি-সি। গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর উপর শিসােলল ফিউমারেট এবং হাইড্রোক্লোরােথায়াজাইড এর প্রয়ােজনীয়তা পর্যালােচনা করে এই কম্বিনেশন ওষুধ ব্যবহার করা উচিত।

দুগ্ধদানকালে: একক বা কম্বিনেশন হিসাবে নিসােপ্ৰলল স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে পরীক্ষিত Fয়। থায়াজাইড মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয়।

বৈপরীত্য

কার্ডিওজেনিক শক্, ওভার্ট কার্ডিয়াক ফেইলিওর, ২য় বা ৩য় ডিগ্রীর এ-ভি ব্লক, সাইনাস ব্র্যাডিকার্ডিয়া, অ্যানুরিয়া এবং এই ওষুধের যে কোন উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীল রােগীদের ক্ষেত্রে এই কম্বিনেশন ওষুধটি প্রতিনির্দেশিত। পূর্ব সতর্কতা: থায়াজাইড সেবনকারী কিছু কিছু রােগীদের হাইপারইউরিসেমিয়া বা বাত হতে পারে। ফ্লুইড বা ইলেকট্রোলাইট অসমতার উপসর্গগুলাে হলােঃ মুখ শুকিয়ে যাওয়া, তৃষ্ণা, দুর্বলতা, অবসাদ, ঝিমুনী, বিশ্রামহীনতা, মাংসপেশীর ব্যথা ও দুর্বলতা, নিম্ন রক্তচাপ, অলিগুরিয়া, ট্যাকিকার্ডিয়া, বমি বমি ভাব, বমি ইত্যাদি। হাইপােক্যালেমিয়া হতে পারে। এই ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা প্রত্যাহার করতে হলে ধীরে ধীরে ২ সপ্তাহের বেশী সময় ধরে ওষুধের মাত্রা কমাতে হবে এবং রােগীকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।

অতিরিক্ত সতর্কতা

তীব্র ওভারডোজ

বিসোপ্রোলল ফিউমারেট এবং হাইড্রোক্লোরোথিয়াজাইডের অতিরিক্ত মাত্রার সীমিত তথ্য রয়েছে। বিটা ব্লকারের অতিরিক্ত মাত্রায় প্রত্যাশিত সবচেয়ে ঘন ঘন পরিলক্ষিত লক্ষণ হল ব্র্যাডিকার্ডিয়া এবং হাইপোটেনশন। অলসতাও সাধারণ, এবং গুরুতর মাত্রাতিরিক্ত মাত্রায় প্রলাপ, কোমা, খিঁচুনি এবং শ্বাসকষ্টের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। কনজেস্টিভ হার্ট ফেইলিউর, ব্রঙ্কোস্পাজম এবং হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে।

অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া

এই কম্বিনেশন ওষুধটি অন্যান্য উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধের কার্যকারিতা পৃপি করতে পারে। এটি অন্যান্য বিটা ব্লকারের সাথে ব্যবহার করা উচিত নয়। যে সকল রােগী ক্যাটকোলামিন ডিপিটিং ওষুধ, 'যেমন – রিসারপিন গুয়ানেথিডিন গ্রহণ করছেন, তাদেরকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। যে সকল রােগী এই কম্বিনেশন ওষুধের সাথে কোনিডিন গ্রহণ করছেন এবং চিকিৎসা প্রত্যাহার করা প্রয়ােজন, তাদের ক্ষেত্রে কোনিডিন প্রত্যাহারের বেশ কয়েক দিন পূর্বেই এই কম্বিনেশন ওষুধটি প্রত্যাহার করতে হবে।

সংরক্ষণ

ঠান্ডা এবং শুষ্ক জায়গায় সংরক্ষণ করুন। আলো ও আর্দ্রতা থেকে নিরাপদে রাখুন। সমস্ত ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন৷