কোলস্টিম

কোলস্টিম হল একটি মানব গ্রানুলোসাইট কলোনি স্টিমুলেটিং ফ্যাক্টর (G-CSF) যা রিকম্বিন্যান্ট ডিএনএ প্রযুক্তি দ্বারা উত্পাদিত হয়। জি-সিএসএফ অস্থি মজ্জার মধ্যে নিউট্রোফিলের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে এবং নিউট্রোফিল প্রোজেনিটার প্রসারণ, পার্থক্যকে প্রভাবিত করে এবং ফ্যাগোসাইটিক কার্যকলাপ বাড়ায়।

কোলস্টিম হল একটি গ্রানুলোসাইট-কলোনি উদ্দীপক ফ্যাক্টর যা হেমেটোপয়েথেটিক কোষে কোষের পৃষ্ঠের রিসেপ্টরকে আবদ্ধ করে। তাদের স্থানান্তর এবং সাইটোটক্সিসিটি বাড়ানোর জন্য গ্রানুলোসাইটের বিকাশ। কোলস্টিম 24 ঘন্টার মধ্যে পেরিফেরাল রক্তের নিউট্রোফিল সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটায়, মনোসাইটের সামান্য বৃদ্ধির সাথে। নিউট্রোফিল সংখ্যার উচ্চতা প্রস্তাবিত ডোজে ডোজ-নির্ভর। কোলস্টিম থেরাপির সমাপ্তির পর, 1 থেকে 2 দিনের মধ্যে সঞ্চালিত নিউট্রোফিলের সংখ্যা 50% কমে যায় এবং 1 থেকে 7 দিনের মধ্যে স্বাভাবিক মাত্রায় চলে যায়। দ্বারা উত্পাদিত হয়। জি-সিএসএফ অস্থি মজ্জার মধ্যে নিউট্রোফিল নিয়ন্ত্রণ নিয়ন্ত্রণ এবং নিউট্রোফিল প্রজেনার প্রসারণ, বিপরীত এবং ফ্যাগোসাইটিক সক্রিয় করে।

ব্যবহার

কোলস্টিম হচ্ছে একটি রিকম্বিনেন্ট মিথি। ওনাইল হিউম্যান গ্রানুলােসাইট কলােনি স্টিমুলেটিং ফ্যাক্টর। এটি হচ্ছে ১৭৫ অ্যামিনাে এসিড প্রােটিন যা রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ টেকনােলজির মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত যেখানে এসিরিশিয়া কোলিই অভিব্যাক্তি প্রকাশক হিসেবে ব্যবহার করা হয় । এই প্রােটিনে সাধারন ডিএনএ এর মতাে অ্যামিনাে এসিড সিকুয়েন্স বিদ্যমান এবং এছাড়া এনটারমিনাল মিথিওনিনও বিদ্যমান।

কোলস্টিম এর দাম কত? কোলস্টিম এর দাম

কোলস্টিম in Bangla
Colstim in bangla
বাণিজ্যিক নাম কোলস্টিম
জেনেরিক ফিলগ্রাস্টিম
ধরণ ইনজেকশন
পরিমাপ
দাম
চিকিৎসাগত শ্রেণি Haematopoietic Agents
উৎপাদনকারী Zydus Cadila Healthcare Ltd
উপলভ্য দেশ India
সর্বশেষ সম্পাদনা September 19, 2023 at 7:00 am

খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

কোলস্টিম খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

  • কেমােথেরাপির আগে বা পরে ২৪ ঘন্টার মধ্যে কোলস্টিম প্রয়ােগ করা উচিত নয় কারণ অ্যান্টিনিওপ্লাস্টিক ওষুধ সমূহ সাধারণত দ্রুত বিভাজনরত কোষসমূহকে টার্গেট করে থাকে এবং এর ফলে কোলস্টিম এর কার্যকারিতা কমে যায়।
  • কোলস্টিম সাধারণত সাবকিউটেনিয়াস ইঞ্জেকশন অথবা আইভি ইনফিউশন হিসেবে প্রয়োগ করা হয়।
  • যখন কেমােথে রাপি জনিত নিউট্রোপেনিয়াতে কোন রােগীকে আইভি ইনফিউশন হিসেবে এটি প্রয়ােগ করা হয়, সেক্ষেত্রে সাধারণত ১৫-৩০ মিনিট ধরে প্রয়ােগ করতে হয় যদিও ইনফিউশনের প্রয়ােগকাল ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত বাড়ানাে যেতে পারে।
  • যে সমস্ত রােগীর বােন ম্যারাে ট্রান্সপান্ট হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে কোলস্টিম ৩০ মিনিট ধরে শিরাপথে প্রয়ােগ করতে হবে, যখন সাবকিউটেনিয়াস ইনফিউশন হিসেবে কোলস্টিম প্রয়ােগ করা হয়, তখন এটি ২৪ ঘন্টা ধরে প্রয়ােগ করতে হয়।
  • দ্রুত এবং সরাসরি সাবকিউটেনিয়াস ইঞ্জেকশনের ক্ষেত্রে কোলস্টিম ইঞ্জেকশনকে আনড়াইলিউটেড অবস্থায় প্রয়ােগ করতে হবে।
  • ক্যান্সার রােগী যারা কেমােথেরাপী নিচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রারম্ভিকভাবে প্রতিদিন ৫ মাইক্রোগ্রাম/কেজি সাবকিউটেনিয়াস বােলাস ইঞ্জেকশন অথবা সংক্ষিপ্ত আইভি ইনফিউশন (১৫-৩০ মিনিট) অথবা ধারাবাহিক সাবকিউটেনিয়াস আইভি ইনফিউশন হিসাবে দিতে হবে। এ এন সি এর মাত্রা অনুযায়ী প্রতি কেমােথে রাপী চক্রে কোলস্টিমের মাত্রা ৫ মাইক্রোগ্রাম/কেজি পরিমাণ বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
  • ক্যান্সার রােগী যারা অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করছেনঃ প্রারম্ভিকভাবে প্রতিদিন ১০ মাইক্রোগ্রাম/কেজি আইভি ইনফিউশন হিসাবে(৪-২৪ ঘণ্টা যাবৎ) অথবা ২৪ ঘণ্টা যাবৎ ধারাবাহিক সাবকিউটেনিয়াস ইনফিউশন হিসাবে। এক্ষেত্রে ফিগ্রাস্টিমের প্রথম ডােজ রক্তে নিউট্রোফিলের পরিমাণ মাত্রা সমন্বয় পরপর ৩ দিন এ এন সি মাত্রা >১০০০ মিমিত পাওয়া গেলে এরপরও যদি পরপর ৩ দিন এ এন সি মাত্রা >১০০০ মিমিও পাওয়া যায় এরপর যদি পরপর ৩ দিন এ এন সি মাত্রা <১০০০ মিমি .০ পাওয়া গেলে মাত্রা কমিয়ে প্রতিদিন ৫ মাইক্রোগ্রাম/কেজি করতে হবে মাত্র ৫ মাইক্রোগ্রাম/কেজি করতে হবে।
  • হেমাটোপয়েটিক প্রােজেনিটর কোষসমূহকে প্রান্তীয় রক্তে লিউকোফেরেসিস এর মাধ্যমে সংগ্রহ করার জন্য একে চলমান করতে প্রান্তীয় ব্লাড প্রােজেনিটর কোষ সংগ্রহ এবং চিকিৎসায় কোলস্টিমের নির্দেশিত মাত্রা হল ১০ মাইক্রোগ্রাম/কেজি প্রতিদিন সাবকিউটেনিয়াস ইঞ্জেকশন হিসেবে অথবা ক্রমাগত সাবকিউটেনিয়াস ইনফিউশন দিনে একবার করে প্রান্তীয় ব্লাড প্রােজেনিটর কোষসমূহ সংগ্রহের জন্য প্রথম লিউকোফেরেসিস এর পূর্বে কমপক্ষে ৪ দিন প্রয়ােগ করতে হবে এবং সর্বশেষ লিউকোফেরেসিস করা পর্যন্ত তা চালিয়ে যেতে হবে।
  • তীব্র এবং দীর্ঘস্থায়ী নিউট্রোপেনিয়াঃ চাক্রিক ইডিওপ্যাথিক দীর্ঘস্থায়ী নিউট্রোপেনিয়া তে ফিলশ্লাস্টিম এর নির্দেশিত মাত্রা হল ৫ মাইক্রোগ্রাম/কেজি হিসেবে দিনে একবার করে সাবকিউটেনিয়াস ইঞ্জেকশন আকারে প্রয়ােগ করতে হবে। যে সমস্ত রােগীর জন্মগত নিউট্রোপেনিয়া রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ৬ মাইক্রোগ্রাম/কেজি তে প্রতিদিন সাবকিউটেনিয়াস ইঞ্জেকশন আকারে প্রয়ােগ করতে হবে। চিকিৎসার সময়কাল নির্ণয় করার জন্য পর্যায়ক্রমে এ এন সি পর্যবেক্ষণ করা উচিত।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

নিউট্রোপেনিয়া, বমি, লিউকোপেনিয়া, এনিমিয়া, প্রম্বােসাইটোপেনিয়া, পাইরেক্সিয়া, পিঠ ব্যথা, ডায়রিয়া, কাশি, ব্যথা, কিমুনি, মাথাব্যথা, • কোষ্ঠকাঠিন্য, স্টোমাটাইটিস, এসথেনিয়া, মিউকোসাল ইনফেকশন, চুল পড়া।

সতর্কতা

১.ফিলশ্লাসটিম ব্যবহারের পূর্বে রােগীর শরীরের সিবিসি এবং অনুচক্রিকার পরিমাণ অবশ্যই যাচাই করে দেখতে হবে। ঔষধ ব্যবহারকালীন সময় রােগীর মায়েলয়েড রিকভারী যাচাই করে দেখতে হবে। তাছাড়া লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে অতিরিক্ত লিউকোসাইটোসিস এবং প্রম্বােসাইটোপেনিয়া না হয়। ঔষধ ব্যবহারকারী রােগীদের অবশ্যই উপরােক্ত রক্ত পরীক্ষাগুলাে সপ্তাহে দুইবার করাতে হবে যারা কেমােথেরাপী ইনডিউসড নিউট্রাপেনিয়াতে ভূগছেন এবং সপ্তাহে তিনবার করাতে হবে যারা অছিমজা প্রতিস্থাপন করিয়েছেন।

২.যে সকল রােগী জনগত চক্রাকার অথবা ইডিওপ্যাথিক নিউট্রাপেনিয়াতে ভুগছেন, তাদের সিবিসি এবং অনুচক্রিকার পরিমান সপ্তাহে দুইবার অবশ্যই নির্ণয় করাতে হবে। এটি ঔষধ ব্যবহারের প্রথম ৪ সপ্তাহ, মাত্রা পুননির্ধারণ এর ক্ষেত্রে প্রথম ২ সপ্তাহ যাবৎ এবং চিকিৎসাগতভাবে স্থিতিশীল রােগীদের ক্ষেত্রে মাসে একবার করে করাতে হবে।

৩.অতিরিক্ত লিউকোসাইটোসিসের সম্ভাব্যতা কমানাের জন্য শ্বেতরক্তকনিকার পরিমান সর্বদা লক্ষ্য রাখতে হবে। এ এন সি এর পরিমান ১০,০০০/মি.মি,৩ এর বেশি হলে ফিশ্লাসটিম ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।

৪.যে সকল রােগীদের মাইয়েলয়ে বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ম্যালিগন্যান্সি রয়েছে তাদের ফিলাসটিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

৫.যেহেতু ক্রমশ বিভাজিত মাইয়েলয়েড কোষ সাইটোটক্সিক কেমােথেরাপী এর প্রতি সংবেদনশীল, ফিলাসটিম সাইটোটক্সিক কেমােথেরাপী ব্যবহারের আগে ও পরে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ব্যবহার করা যাবে না। ফিলাসটিম বিকিরণ চিকিৎসার সাথেও ব্যবহার করা

যাবে না।

শিশুদের ক্ষেত্রে সাবধানতাঃ

১.ফিলাসটিম ৩ মাস থেকে ১৪ বছরের রােগীদের ক্ষেত্রে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ব্যবহার্য।

২.ফিলাসটিম ব্যবহারের সময় সাইটোজেনেটিক অস্বাভাবিকতা, মেলােডি স্পাসটিক সিনড্রোম এ পরিবর্তিত হওয়া এবং এ এম এল হওয়ার প্রবণতা শিশুরােগীদের ক্ষেত্রে বেড়ে যায়।

মিথস্ক্রিয়া

Drug interactions between Filgrastim and other drugs have not been fully evaluated. Drugs which may potentiate the release of neutrophils, such as lithium should be used with caution.

গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার

প্রেগনেন্সি ক্যাটাগরি: সি। যদিও কোন চিকিৎসা জনিত পরীক্ষা নেই, তবুও ফিলাসটি গর্ভবতী মায়েদের এবং ফিটাসের ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখায়, শুধুমাত্র ব্যবহারের প্রয়ােজনীয়তার উপর ভিত্তি করে ব্যবহার্য।

বৈপরীত্য

ফিলাস্টিম সেই সকল রােগীদের দেওয়া যাবে না। যারা এই ঔষধ ,ঔষধে ব্যবহৃত কোন উপাদান অথবা ঔষধ হতে প্রাপ্ত প্রােটিনের প্রতি অত্যধিক সংবেদনশীল।

অতিরিক্ত সতর্কতা

Pediatric precautions: Filgrastim has been used in children 3 months to 18 years of age without unusual adverse effect. However, safety and efficacy of the drug in neonates or patients with autoimmune neutropenia of infancy have not been established.

তীব্র ওভারডোজ

ফিলাসটিম এর মাত্রাধিক্য সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু জানা যায় নি।

অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া

১.মায়ােলােসাপ্রেসিভ এন্টিনিওপ্লাস্টিক এজেন্টের সাথে প্রতিক্রিয়া প্রতিষ্ঠিত নয় তারপর এগুলাে ব্যবহারের ২৪ ঘন্টা আগে/পরে ব্যবহার না করাই।

২.যেহেতু ওষুধটি অনুচক্রিকার পরিমাণ কমিয়ে দেয় তাই যে সকল এজেন্ট অনুচক্রিকা কমায় তাদের সাথে ব্যবহার্য নয়।

সংরক্ষণ

ফিলাসটিম অবশ্যই ২- ৮ সে, এ রেফ্রিজারেটরে রাখতে হবে। কিন্তু লক্ষ্য রাখা উচিত যাতে জমাট না বাঁধে সিরিঞ্জটি আঁকানাে যাবে না।

*** Taking medicines without doctor's advice can cause long-term problems.
Share