কোরালক্যাল-ডি
রক্তে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম বিভিন্ন ধরণের শারীরিক ক্রিয়াকলাপের জন্য এতটাই অত্যাবশ্যক যে আমাদের অভ্যন্তরীণ জৈব রসায়ন স্বল্প সময়ের জন্যও ঘাটতি সহ্য করবে না। ক্লিনিকাল প্রমাণগুলি পরামর্শ দেয় যে ক্যালসিয়াম অস্টিওপোরোসিস এবং সম্পর্কিত ফ্র্যাকচার প্রতিরোধ ও চিকিত্সার জন্য দরকারী। ভিটামিন ডি সুস্থ হাড়ের জন্যও অপরিহার্য কারণ এটি জিআই ট্র্যাক্ট থেকে ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে। এটি ছাড়াও এটি হাড়ের গঠনকে উদ্দীপিত করে। ক্লিনিকাল স্টাডিজও দেখায় যে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি হাড়ের বৃদ্ধির পাশাপাশি অস্টিওপোরোসিস এবং ফ্র্যাকচার প্রতিরোধে সহনীয় প্রভাব ফেলে৷
ব্যবহার
ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন- ডি নিম্নলিখিত রােগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়
• অষ্টিওপরােসিস
• অষ্টিওমেলাসিয়া
• রিকেটস
• টিটানিতে
কোরালক্যাল-ডি এর দাম কত? কোরালক্যাল-ডি এর দাম
সুচিপত্র
বাণিজ্যিক নাম | কোরালক্যাল-ডি |
জেনেরিক | ক্যালসিয়াম কার্বনেট (কোরাল থেকে উৎপাদিত) + ভিটামিন ডি |
ধরণ | ট্যাবলেট |
পরিমাপ | 500mg+200iu |
দাম | |
চিকিৎসাগত শ্রেণি | Specific mineral & vitamin combined preparations |
উৎপাদনকারী | Radiant Pharmaceuticals Ltd |
উপলভ্য দেশ | Bangladesh |
সর্বশেষ সম্পাদনা | September 19, 2023 at 7:00 am |
খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম
কোরালক্যাল-ডি খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম
১ টি ট্যাবলেট দিনে ২ বার, সকালে এবং রাতে অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
মাত্রাধিক্য বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া, প্রচন্ড তন্দ্রাচ্ছন্নতা, মুখ শুষ্ক হওয়া, ক্ষুধামন্দা, ধাতব স্বাদ, পাকস্থলীতে মােচড়ানাে, ডায়রিয়া, দুর্বলতা, মাথাব্যাথা, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং মাথা ঝিম ঝিম করা ইত্যাদি।
সতর্কতা
মৃদু হাইপারক্যালসিউরিয়া (নিঃসরণ মাত্রা সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং প্রয়ােজনে ক্যালসিয়াম স্যান্ডােজ ট্যাবলেট এর মাত্রা কমাতে হবে বা চিকিৎসা বন্ধ করতে হবে)। যে সকল রােগীর ক্ষেত্রে পাথর সৃষ্টির ইতিহাস জানা গিয়েছে তাদেরকে তরল খাদ্য বৃদ্ধির জন্য পরামর্শ দেওয়া উচিত।
মিথস্ক্রিয়া
ডিগক্সিন, ক্যালসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম বা ম্যাগনেসিয়াম ধারণকারী অ্যান্টাসিড, অন্যান্য ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট, ক্যালসিট্রিওল, টেট্রাসাইক্লিন, ডক্সিসাইক্লিন, অ্যামিনোসাইক্লিন বা অক্সিটেট্রাসাইক্লিন ইত্যাদির সাথে এর সম্ভাব্য মিথস্ক্রিয়া রয়েছে। তাই ক্যালসিয়াম কার্বনেট (কোরাল উৎস) + ভিটামিন ডি গ্রহণ করার সময় চিকিত্সকদের পরামর্শ প্রয়োজন।
গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার
গর্ভকালীন এবং স্তন্যদানকালীন সময়ে ব্যবহার উভয় ক্ষেত্রেই চিকিৎসকের পরামর্শে সেব্য।
বৈপরীত্য
হাইপারক্যালসিমিয়া এবং হাইপারপ্যারাথাইরয়েডিজম, হাইপারক্যালসিউরিয়া এবং নেফেদ্রালিথিয়াসিস ও অতিসংবেদনশীলতা, বৃক্কের অকার্যকারিতা। ডিগােক্সিন এর সাথে ব্যবহার (রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করতে হয়। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মৌখিক ক্যালসিয়াম কার্বনেট পাকস্থলী ও অন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। এককভাবে ক্যালসিয়াম সেবন করলে রক্তে ক্যালসিয়াম উচ্চমাত্রা হবার সম্ভাবনা খুবই কম। ভিটামিন-ডি সেবনের পরে সাধারণত খুব অল্প সংখ্যক রােগী তুক লালচে হয়ে যায়।
অতিরিক্ত সতর্কতা
তীব্র ওভারডোজ
অতিরিক্ত মাত্রার উপসর্গগুলির মধ্যে বমি বমি ভাব এবং বমি, তীব্র তন্দ্রা, শুষ্ক মুখ, ক্ষুধা হ্রাস, ধাতব স্বাদ, পেটে খিঁচুনি, অজ্ঞানতা, ডায়রিয়া, দুর্বলতা, মাথাব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথা ঘোরা বা বিরক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া
ডিগােক্সিন, এন্টাসিড, ক্যালসিয়াম বা এলুমিনিয়ামযুক্ত এন্টাসিড, ক্যালট্রিায়ােল, টেট্রাসাইক্লিন, ডক্সিসাইক্লিন, এমাইনােসাইক্লিন, অক্সিটেট্রাসাইক্লিন ইত্যাদি। তাই উপরােক্ত ওষুধের সাথে ক্যালবােরালডি ট্যাবলেট সেবনের সময় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিৎ।
সংরক্ষণ
আলাে ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, শুষ্ক ও ঠাণ্ডা স্থানে রাখুন। সকল ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।