Covonia Night Time Formula এর কাজ, খাওয়ার নিয়ম, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, সতর্কতা - MedicineBangla

Covonia Night Time Formula

প্রতি ৫ মি.লি. সিরাপে আছে- ডাইফেনহাইড্রামিন হাইড্রোক্লোরাইড বিপি ১৪ মিগ্রা. ডেক্সট্রোমেথরফ্যান হাইড্রোব্রোমাইড বিপি ৬.৫ মি.গ্রা. লেভোমেনথল বিপি ২ মি.গ্রা.

ব্যবহার

এই সিরাপ কফ নিরোধক ওষুধ যা শুষ্ক, বিরামহীন, বিরক্তিকর কাশি এবং আরামদায়ক ঘুমের জন্য সহায়ক হিসেবে নির্দেশিত।

Covonia Night Time Formula এর দাম কত? Covonia Night Time Formula এর দাম

Covonia Night Time Formula in Bangla
Covonia Night Time Formula in bangla
বাণিজ্যিক নাম Covonia Night Time Formula
জেনেরিক ডাইফেনহাইড্রামিন + ডেক্সট্রোমিথোরফেন + লেভোমেনথল
ধরণ
পরিমাপ
দাম
চিকিৎসাগত শ্রেণি
উৎপাদনকারী Thornton & Ross Ltd
উপলভ্য দেশ United Kingdom
সর্বশেষ সম্পাদনা September 19, 2023 at 7:00 am

খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

Covonia Night Time Formula খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

প্রাপ্ত বয়স্ক এবং ১২ বছরের ঊর্ধ্বে শিশু: চা চামচের পূর্ণ ২ চামচ দিনে ৪ বার অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য। ২৪ ঘন্টায় ৮ চামচের বেশি সিরাপ সেবন করা যাবে না।শিশু এবং বয়ঃসন্ধিকালীন ব্যবহার: শিশু এবং বয়ঃসন্ধিকালীন ব্যবহারে ডেক্সট্রোমেথরফ্যান হাইড্রোব্রোমাইড এর কার্যকারিতা এবং নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত নয়।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

এই সিরাপ সেবনে মাথা ঘুরানো, ঘুমঘুম ভাব, বমি কিংবা বমিরভাব, পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা, মুখ, নাক ও গলা শুকিয়ে যাওয়া এবং মূত্র ত্যাগে জ্বালাপোড়া অথবা চোখে ঝাঁপসা দেখা ইত্যাদি দেখা যেতে পারে।

সতর্কতা

এই সিরাপ সেবনে তন্দ্রাচ্ছন্নতা হতে পারে, তন্দ্রার প্রভাব দেখা দিলে গাড়ি ও যন্ত্রপাতি চালানো থেকে বিরত থাকা উচিত। ন্যারো এ্যাঙ্গেে গ্লুকোমা অথবা সিম্পটোমেটিক প্রোস্টাটিক হাইপারট্রফিতে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে ডাইফেনহাইড্রামিন হাইড্রোক্লোরাইড ব্যবহার করা উচিত নয়। মাদকদ্রব্যের ব্যবহারের অতীত অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন কিংবা বয়ঃসন্ধিকালীন এবং তরুণদের ব্যবহারে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।

মিথস্ক্রিয়া

এই সিরাপে ডাইফেনহাইড্রামিন হাইড্রোক্লোরাইড রয়েছে যা এলকোহল এবং অন্যান্য সিএনএস ডিপ্রেশেন্ট এর কার্যকারিতা বাড়িয়ে দিতে পারে। যেহেতু ডাইফেনহাইড্রামিনে হাইড্রোক্লোরাইড এন্টিকোলিনার্জিক বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায় তাই অন্যান্য এন্টিকোলিনার্জিকের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দিতে পারে যেমন-টেকিকার্ডিয়া, মুখের শুষ্কতা, পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা (যেমন-কোলিক), প্রশ্রাব ধরে রাখা এবং মাথা ব্যথা হতে পারে। ডেক্সট্রোমেথরফ্যান হাইড্রোব্রোমাইড সমৃদ্ধ ওষুধ এবং মনোএ্যামাইন অক্সিডেজ এর যুগপৎ ব্যবহারে কদাচিৎ উপসর্গ যেমন- জ্বরজ্বর ভাব, মতিভ্রম (হ্যালুসিনেশন), উদ্দিপনা কিংবা অচেতনাবস্থা (কোমা) দেখা দিতে পারে।

গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার

গর্ভাবস্থায়: কোন রকম বিরূপ প্রতিক্রিয়া ছাড়াই গর্ভাবস্থায় ডাইফেনহাইড্রামিন হাইড্রোক্লোরাইড এবং ডেক্সট্রোমেথরফ্যান হাইড্রোব্রোমাইড বহু বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তারপরও গর্ভাবস্থায় ডেক্সট্রোমেথরফ্যান হাইড্রোব্রোমাইড ব্যবহারজনিত ফলাফলের পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায়নি।দুগ্ধদান: ডেক্সট্রোমেথরফ্যান হাইড্রোব্রোমাইড অথবা এর মেটাবোলাইট মাতৃদুগ্ধে নিঃসরিত হওয়ার তথ্য জানা যায়নি তবে ডাইফেনহাইড্রামিন হাইড্রোক্লোরাইড প্লাসেন্টা অতিক্রম করে এবং মাতৃদুগ্ধে নিঃসরিত হয় বিধায় এই সিরাপ সিরাপ একান্ত প্রয়োজন ব্যতীত গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মায়েদের সেবন করা উচিত নয়।

বৈপরীত্য

এই সিরাপ এর যে কোন একটি উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা এর ব্যবহারকে প্রতিনির্দেশিত করে। মনোএ্যামাইন অক্সিডেজ গ্রহণকারী অথবা বিগত দুই সপ্তাহের মধ্যে যারা সেবন করেছেন তাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার উচিত নয়। রেসপিরেটরি ফেইলিয়র এর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের ক্ষেত্রে ডেক্সট্রোমেথরফ্যান হাইড্রোব্রোমাইড অন্যান্য কেন্দ্রীয়ভাবে কার্যকরী এন্টিটিউসিব ওষুধের সাথে ব্যবহার করা উচিত নয়।

অতিরিক্ত সতর্কতা

তীব্র ওভারডোজ

উচ্চমাত্রায় ব্যবহারে, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে, মতিভ্রম এবং খিঁচুনি দেখা দিতে পারে; মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার হলে কোমা এবং হৃদযন্ত্রের কার্যকারীতা হ্রাস পেতে পারে। উচ্চমাত্রায় ব্যবহারের ক্ষেত্রে সহায়ক এবং উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া উচিৎ। দ্রুততার সাথে পাকস্থলি খালি করার ব্যবস্থা করতে হবে, হঠাৎ বিষক্রিয়ার ক্ষেত্রে এ্যাক্টিভেটেড চারকল এর ব্যবহার কার্যকরী হতে পারে। বাচ্চাদের ডেক্সট্রোমেথরফ্যান বিষক্রিয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট এন্টাগনিস্ট হিসেবে ন্যালোক্সন সফলভাবে ব্যবহৃত হয়। ডায়াজিপাম এবং থায়োপেন্টাল সোডিয়াম দিয়ে খিঁচুনি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া

সংরক্ষণ

শুষ্ক স্থানে ৩০°সে. তাপমাত্রার নিচে সংরক্ষণ করুণ। আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

*** Taking medicines without doctor's advice can cause long-term problems.
Share