ডেক্সামগ এর কাজ, খাওয়ার নিয়ম, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, সতর্কতা - MedicineBangla

ডেক্সামগ

ডেক্সামিথাসন কর্টিসল জাতীয় একটি শক্তিশালী সিনথেটিক। এই ঔষধটি হাইপোথ্যালমিক পিটুইটারী এড্রেনাল গ্রন্থির প্রতিবন্ধক হিসেবে স্বীকৃত হলেও এর মুল কাজ স্টেরয়ডাল প্রদাহ নাশক ঔষধ হিসেবে। এটি সেরেব্রাল ইডেমা প্রতিরোধ ও চিকিৎসা এবং ক্যান্সার চিকিৎসায় বমি নাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

ব্যবহার

এলার্জি: এ্যাজমা, এটপিক ডার্মাটাইটিস, ওষুধের প্রতি অতি সংবেদনশীলতা, বিভিন্ন প্রকার রাইনাইটিস এবং সেরাম সিকনেস। এসব ক্ষেত্রে প্রচলিত সাধারণ চিকিৎসা কার্যকরী না হলে বা রােগ তীব্র মাত্রায় হলে ডেক্সোনেক্স নির্দেশিত। কোলাজেন ডিজিজ: যেমন লুপাস ইরাইদেমাটোসাস, রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস।

চর্মরােগ: বুলাস ডার্মাটাইটিস হারপেটিফরমিস, এক্সফলিয়েটিভ ইরাইথ্রোডার্মা, মাইকোসি ফাংগয়েডস, পেমফিংগাস এবং তীব্র পর্যায়ে ইরাইদেমা মাল্টিফরমি (স্টিভেন জনসন সিন্ড্রোম)। এন্ড্রোক্রাইন ডিজিজ: প্রাথমিক বা দ্বিতীয় পর্যায়ে এ্যাডরেনােকর্টিকাল ঘাটতি, জন্মগত এ্যাডরেনাল হাইপারপ্লাসিয়া, ক্যানসারজনিত হাইপারক্যালসিমিয়া এবং ননসাপুরেটিভ থাইরয়েডাইটিস।

পরিপাকতন্ত্র জনিত সমস্যা: রিজিওনাল এন্টারাইটিস, আলসারেটিভ কোলাইটিস।

হেমাটোলজিক্যাল ডিজিজ: একোয়ার্ড (অটোইমিউন) হেমােলাইটিক অ্যানিমিয়া, জন্মগত (ইরাইখ্রয়েড) হাইপােপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া, ইডিওপ্যাথিক থ্রম্বােসাইটোপেনিক পুরপুরা এবং সেকেন্ডারি থ্রম্বােসাইটোপেনিয়ায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি নির্দেশিত।

নিউপ্লাস্টিক ডিজিজ: লিউকেমিয়া এবং লিম্ফোমা ।

স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা: মাল্টিপল ফ্লেরােসিসের তীব্র পর্যায়, মস্তিষ্কের প্রাথমিক অথবা মেটাস্টেটিক টিউমারের সাথে ইডিমা থাকলে, ক্রেনিওটোমি বা মস্তিষ্কের আঘাতে।

চক্ষু জনিত সমস্যা: টেম্পােরাল আর্টারাইটিস, ইউভিয়াইটিসহ এবং চোখের বিভিন্ন প্রদাহজনিত রােগ যেখানে স্থানীয়ভাবে কর্টিকোস্টেরয়েড কার্যকরী নয়।

কিডনী জনিত রােগ: ইডিওপ্যাথিক নেফ্রোটিক সিন্ড্রোম বা লুপাস ইরাইদেমাটোসাস এ প্রস্রাবের নির্গমন বাড়াতে অথবা প্রােটিনিউরিয়া প্রতিরােধ করতে।

শ্বসনতন্ত্রের রােগ: বেরিলিওসিস, তীব্র আকারে যক্ষা হলে অন্যান্য ওষুধের পাশাপাশি, ইডিওপ্যাথিক ইউসিনােফিলিক নিউমােনিয়া, লক্ষণযুক্ত সারকয়েডােসিস।

রিউম্যাটিক ডিজিজ: তীব্র মাত্রায় বাতজনিত আথ্রাইটিস, তীব্র মাত্রায় রিউম্যাটিক কার্ডাইটিস, অ্যানকাইলােসিং স্পন্ডিলাইটিস, সােরিয়াটিক আথ্রাইটিস, রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস, ডারমাটোমায়ােসাইটিস, পলিমায়ােসাইটিস, সিসটেমিক লুপাস ইরাইদেমাটোসাস। অন্যান্য অ্যাডরেনােকর্টিক্যাল হাইপারফাংশন নির্ণয়ে, ট্রাইকিনােসিসে স্নায়ু কিংবা মায়ােকার্ডিয়াম আক্রান্ত হলে, যক্ষাজনিত মেনিনজাইটিস প্রভৃতি ক্ষেত্রে নির্দেশিত।

ডেক্সামগ এর দাম কত? ডেক্সামগ এর দাম

ডেক্সামগ in Bangla
Dexamag in bangla
বাণিজ্যিক নাম ডেক্সামগ
জেনেরিক ডেক্সামেথাসন সােডিয়াম ফসফেট
ধরণ ট্যাবলেট
পরিমাপ
দাম
চিকিৎসাগত শ্রেণি Glucocorticoids
উৎপাদনকারী A,menarini India
উপলভ্য দেশ India
সর্বশেষ সম্পাদনা September 19, 2023 at 7:00 am

খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

ডেক্সামগ খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

  • সাধারণভাবে রােগের ধরণ এবং রােগীর অবস্থার ওপর গ্লুকোকর্টিকয়েডের মাত্রা নির্ভর করে।
  • ওষুধ শুরুর কয়েকদিনের মধ্যে আশানুরূপ ফলাফল না পেলে গ্লুকোকর্টিকয়েড চালিয়ে যাবার প্রয়ােজন নেই।
  • দীর্ঘমেয়াদী প্রয়ােজনে সবচেয়ে কম মাত্রায় কার্যকরী পরিমান গ্লুকোকর্টিকয়েড সেব্য।

ট্যাবলেট:

১। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে রােগীর প্রয়ােজন অনুযায়ী প্রতিদিন ১ মি.গ্রা. থেকে ১০ মি.গ্রা. পর্যন্ত সেব্য। শিশুদের ক্ষেত্রে ০.০৩-০.২০ মি.গ্রা./কেজি দৈহিক ওজন হিসেবে প্রতিদিন সেব্য।

২। কোন কোন রােগীর ক্ষেত্রে অস্থায়ীভাবে উচ্চ মাত্রায় ডেক্সামেথাসন সেব্য। পরবর্তীতে প্রয়ােজন অনুযায়ী মাত্রা কমাতে হবে।

৩। ডেক্সামেথাসন সাপ্রেশন টেস্ট: সকাল ১১টায় ১ মি.গ্রা. ডেক্সামেথাসন দেয়া হয় এবং পরদিন সকালে প্লাজমা কর্টিসন পরিমাপ করা হয়।

যে সমস্ত রােগীর ক্ষেত্রে কর্টিসনের পরিমান কমে না, ০.৫ মি.গ্রা. ডেক্সামেথাসন ৬ ঘন্টা পর পর ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত দেয়া হয়। পরবর্তীতে ৪৮ ঘন্টায় ২ মি.গ্রা. করে ৬ ঘন্টা পরপর দেয়া হয়। টেস্টের আগে, টেস্টের সময় এবং পরে ২৪ ঘন্টার প্রস্রাব পরীক্ষা করে ১৭ আলফা-হাইড্রোক্সিকর্টিকয়েডের পরিমাপ করা হয়।

ডেক্সোনেক্স ইঞ্জেকশন: ডেক্সামেথাসন ইঞ্জেকশন ইন্ট্রাভেনাস (আইভি), ইন্ট্রামাস্কুলার (আইএম) অথবা নােকাল ইঞ্জেকশন হিসেবে প্রয়ােগ করা যায়। ডেক্সামেথাসন ইঞ্জেকশন ইনফিউশন ফ্লুইড এর সাথে মিশ্রিত করে অথবা সরাসরি ইনফিউশন লাইনে প্রয়ােগ করা যায়। অধিক মাত্রায় শিরায় প্রয়ােগ করা হলে কয়েক মিনিট ধরে প্রয়ােগ করতে হবে। সাবকিউটেনিয়াস এডিপােস টিস্যুর এ্যাট্রফি প্রতিরােধ করার জন্য ইন্ট্রামাস্কুলার ইঞ্জেকশন গভীর মাংসপেশীতে প্রয়ােগ করতে হবে। যেহেতু গ্লুকোকর্টিকয়েড ইনফেকশন্ এর প্রতি প্রতিরােধকে কমিয়ে দেয়, তাই ইন্ট্রা-আর্টিকুলার ইঞ্জেকশন হিসেবে প্রয়ােগের ক্ষেত্রে জীবাণুমুক্ত অবস্থা বজায় রাখতে হবে। ডেক্সামেথাসন বিভিন্ন ইনফিউশন ফ্লুইডের সাথে মিশ্রিত করা হলে এর কার্যকারিতা কমপক্ষে ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত অক্ষুন্ন থাকে। ইনফিউশন ফ্লুইড হিসেবে সােডিয়াম ক্লোরাইড ০.৯%, এনহাইড্রাস গ্লুকোজ ৫%, ইনভার্ট সুগার ১০%, সরবিটল ৫%, রিঙ্গার’স সলিউশন, হার্টম্যান’স সলিউশন (রিঙ্গার-ল্যাকটেট) ইত্যাদি ব্যবহার করা যায়। রােগের তীব্রতা এবং রােগীর ওষুধের প্রতি সংবেদনশীলতার উপর নির্ভর করে ডেক্সামেথাসন ইঞ্জেকশন এর মাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে সিস্টেমিক থেরাপি হিসেবে ০.০৫-০.২০ মি.গ্রা./কেজি হারে প্রয়ােগ করতে হবে। জরুরী অবস্থায় (এনাফাইলেকসিস, একিউট সিভিয়ার অ্যাজমা, সেরেব্রাল ইডিমা) অধিক মাত্রায় প্রয়ােগ করতে হবে। প্রাথমিক মাত্রায় ১০-২০ মি.গ্রা. আইভি প্রয়ােগ করতে হবে, তারপর ৬ মি.গ্রা. আইভি অথবা আইএম প্রতি ৬ ঘন্টা অন্তর প্রয়ােগ করতে হবে । পর্যাপ্ত উপশমের পরপরই ব্যবহার মাত্রা ধাপে ধাপে কমিয়ে দিতে হবে। লােকাল থেরাপি-এর ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত মাত্রা সমূহ নির্দেশিত ইন্ট্রা-আর্টিকুলারলিঃ ২-৪ মি.গ্রা. বড় এবং ০.৮-১ মি.গ্রা. ছােট অস্থিসন্ধিতে ইন্ট্রা-বারশালিঃ ২-৪ মি.গ্রা. টেনডন সিথ-এঃ ০.৪-১ মি.গ্রা. এ সকল ক্ষেত্রে ইনজেকশন্ ৩-৫ দিন হতে ২-৩ সপ্তাহ পর্যন্ত ব্যবহার করা যেতে পারে।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

মারাত্মক শারীরিক চাপ, যেমন ক্ষত, অস্ত্রোপচার অথবা সংক্রমনের ক্ষেত্রে যদি প্রয়োগ মাত্রা প্রয়োজন মত বৃদ্ধি না করা হয় তবে দীর্ঘস্থায়ী ডেক্সামিথাসন চিকিৎসার ক্ষেত্রে রোগী মারা যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। শারীরিক অসুবিধাগুলো হচ্ছে, শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যাওয়া, হাঁড়ের ক্ষয় রোগ, হাঁড়ের অপচনশীল ক্ষয়, পেপটিক আলসার, চক্ষু মধ্যস্থ উচ্চচাপ, অগ্ন্যাশয়ের অসুবিধা এবং পেশি রোগ। গ্লুকোকর্টিকয়েডের অত্যধিক ব্যবহারে চন্দ্রাকৃতি মুখমন্ডল, এডেমা এবং ক্ষতের নিরাময় দীর্ঘায়িত হয়।

দীর্ঘমেয়াদী সেবনে নিম্নলিখিত প্রতিক্রিয়াসমূহ দেখা দিতে পারে

এন্ডােক্রাইন এবং মেটাবলিক সমস্যা: কুশিং লাইক সিন্ড্রোম, হারসুটিসম, অনিয়মিত রক্তস্রাব, প্রিম্যাচিওর এপিফিসিয়াল ক্লোসার, সেকেন্ডারী এড্রেনােকর্টিকাল এবং পিটুইটারী আনরেসপনসিভনেস, গ্লুকোজ টলারেন্স কমে যাওয়া, নেগেটিভ নাইট্রোজেন এবং ক্যালসিয়াম ব্যালেন্স।

• ফ্লুইড এবং ইলেকট্রোলাইট জনিত সমস্যা: সােডিয়াম এবং ফ্লুইড রিটেনশন, উচ্চরক্তচাপ, পটাসিয়াম ঘাটতি, হাইপােক্যালেমিক অ্যালকালােসিস।

• পেশী ও কঙ্কালতন্ত্র- এর উপর প্রভাব: মায়ােপ্যাথি,পেট ফুলে যাওয়া, অস্টিওপােরােসিস, ফিমােরাল এবং | হিউমােরাল হেডস্ এর এসেপ্টিক নেক্রোসিস।

• পরিপাকতন্ত্র- এর উপর প্রভাব: গ্যাস্ট্রিক এবং ডিওডেনাল আলসার, পারফোরেশন, রক্তপাত ।

• ত্বক - এর উপর প্রভাব: দেরীতে ঘা শুকানাে, ত্বকের এ্যাট্রফি, স্ট্রায়া, পেটেচি এবং ইকাইমােসেস, ত্বকের লালচে দাগ, অতিরিক্ত ঘাম, ব্রন।

• কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র - এর উপর প্রভাব: ইউফোরিয়া, অন্যান্য মানসিক সমস্যা, খিচুনী, শিশুদের ক্ষেত্রে সিউডােমটর সেরেব্রি এর সাথে বমি এবং পেপিলােইডিমা।

• চোখ - এর উপর প্রভাব: গ্লুকোমা, ইন্ট্রাঅকুলার প্রেসার বেড়ে যাওয়া, পােস্টেরিয়র সাবক্যাপসুলার ক্যাটারেক্ট ।

• রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতার প্রশমণ – এর উপর প্রভাব: সহজেই জীবাণু সংক্রমণের প্রবনতা, ত্বকের পরীক্ষা এবং টিকার কার্যকারিতা কমে যাওয়া।

সতর্কতা

কনজেসটিভ হার্ট ফেইলিউর অথবা হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস মেলিটাস, মৃগিরোগ, গ্লুকোমা, সংক্রামক রোগে, দীর্ঘায়িত রেচনতন্ত্রের অকার্যকারিতায় এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে সাবধানতার সাথে ব্যবহার করা উচিত।

মিথস্ক্রিয়া

নিম্নলিখিত ওষুধের সাথে ওষুধের মিথস্ক্রিয়া ঘটতে পারে: মূত্রবর্ধক, কার্ডিয়াক গ্লাইকোসাইডস, অ্যান্টিডায়াবেটিকস, এনএসএআইডি, অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্টস, অ্যান্টাসিড ইত্যাদি। এছাড়া, রোগীরা যদি সহগামী স্যালিসিলেটগুলির সাথে গ্লুকোরোটিকোয়েডের দীর্ঘমেয়াদী থেরাপির মধ্য দিয়ে যায়, তবে গ্লুকোকোর্টিকয়েডের সাথে যে কোনও হ্রাস করা উচিত। সতর্কতা, যেহেতু এই ধরনের ক্ষেত্রে স্যালিসিলেট নেশার খবর পাওয়া গেছে।

গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার

গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :প্রেগনেন্সি ক্যাটাগরি সি। মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হওয়ায় উচ্চমাত্রায় গ্লুকোকর্টিয়েড গ্রহণকারী মায়েদের স্তন্যদান বন্ধ রাখতে হবে।

শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: ন্যূনতম কার্যকরী মাত্রায় ব্যবহার্য।

বৈপরীত্য

গ্যাস্ট্রিক এবং ডিওডেনাল আলসার

• সিস্টেমিক এবং চোখে ছত্রাকের সংক্রমণ।

• ভাইরাস সংক্রমণ, যেমন- ভেরিসেলা, হারপেস জেনিটালিস বা চোখে ভাইরাসের সংক্রমণ ইত্যাদি

• গ্লুকোমা

• কর্টিকোস্টেরয়েডের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা

অতিরিক্ত সতর্কতা

তীব্র ওভারডোজ

কম দেখা যায়। লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা দেয়া হয়।

অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া

ডাই-ইউরেটিকস বা কার্ডিয়াক গ্লাইকোসাইডস এর সাথে একত্রে ব্যবহারে হাইপােক্যালেমিয়া হবার ঝুঁকি থাকে।

• অ্যান্টি-ডায়াবেটিক ওষুধের সাথে একত্রে ব্যবহারের ক্ষেত্রে এটি অ্যান্টি-ডায়াবেটিক ওষুধের চহিদা বাড়িয়ে দেয়।

• নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি ইনফ্লামেটরী ওষুধের সাথে একত্রে ব্যবহারে পরিপাকতন্ত্রের আলসার হবার ঝুঁকি বাড়তে পারে।

• গ্লুকোকর্টিয়েড ওরাল এ্যান্টিকোয়াগুলেন্ট জাতীয় ওষুধের প্রয়ােজনীয়তার পরিবর্তন করতে পারে।

• লিভার এনজাইম জনিত ওষুধ যেমন- রিফামপিসিন, এফেড্রিন, বারবিচুরেটস, ফিনাইটোইন এবং প্রিমিডােন প্রভৃতি ওষুধের সাথে একত্রে ব্যবহারকালে এর কার্যকারিতা কমে যেতে পারে।

• স্যালিসাইলেটের সাথে দীর্ঘমেয়াদী সেবনের ক্ষেত্রে সাবধানতার সাথে গ্লুকোকর্টিয়েডের মাত্রা কমাতে হবে। কারণ এ সকল ক্ষেত্রে স্যালিসাইলেট বিষক্রিয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

• ম্যাগনেশিয়াম ট্রাইসিলিকেট জাতীয় এন্টাসিড পরিপাকতন্ত্রে গ্লুকোকর্টিয়েডের শােষণকে ব্যহত করে। তাই একত্রে ব্যবহারের ক্ষেত্রে দুটি ওষুধের মাত্রার মধ্যে যথেষ্ট ব্যবধান রাখতে হবে।

সংরক্ষণ

15-30 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে স্টোর করুন

*** Taking medicines without doctor's advice can cause long-term problems.
Share