Dimik Diclofenac Sodium এর কাজ, খাওয়ার নিয়ম, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, সতর্কতা - MedicineBangla

Dimik Diclofenac Sodium

Dimik Diclofenac Sodium একটি শক্তিশালী নন-স্টেরয়ডাল প্রদাহবিরোধী ঔষধ যার রিউমাটয়েড ও প্রদাহবিরোধী এবং ব্যথানাশক ও জ্বরবিরোধী গুণাগুণ যথার্থ রয়েছে। এর কিছুটা ইউরোকোসুরিক কার্যকারিতাও রয়েছে। ডাইক্লোফেনাক, প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন সংশ্লেষণ বন্ধ করে। প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন প্রদাহ, ব্যথা ও জ্বরের জন্য প্রধানত দায়ী। ডাইক্লোফেনাক খাবারের সাথে বা পরে সেবন করলে পরিপাকতন্ত্র থেকে অত্যন্ত দ্রুত ও সম্পূর্ণভাবে বিশোষিত হয়। গড়পড়তা ২ ঘন্টা সময়ের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ প্লাজমা ঘনত্বে পৌঁছায়। কার্যকরী ঘনত্বে এটি ৯৯.৭% প্লাজমা প্রোটিনের সাথে যুক্তাবস্থায় থাকে। ডাইক্লোফেনাকের বিপাকীয় কার্যাবলী লিভারে সংঘটিত হয় এবং এর ফার্স্ট-পাস বিপাক হয়ে থাকে।

ব্যবহার

রিউমাটয়েড আর্থাইটিস, অস্টিওআথ্রাইটিস, কোমরে ব্যথা এবং অন্যান্য পেশী ও অস্থি সংশ্লিষ্ট ব্যথা যেমন টেন্ডিনাইটিস, টেনােসাইনােভাইটিস, বারসাইটিস, মােচড়, টান পড়া, অস্থিসন্ধি সরে যাওয়া, এনকাইলােসিং স্পন্ডিলাইটিস, বাতের তীব্র ব্যথা, দাঁতের ও অন্যান্য মৃদু ধরণের শৈল্য চিকিৎসার ব্যথা ও প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে ক্লোফেনাক নির্দেশিত।

Dimik Diclofenac Sodium এর দাম কত? Dimik Diclofenac Sodium এর দাম

Dimik Diclofenac Sodium in Bangla
Dimik Diclofenac Sodium in bangla
বাণিজ্যিক নাম Dimik Diclofenac Sodium
জেনেরিক ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম
ধরণ Injection
পরিমাপ 75mg/3ml
দাম
চিকিৎসাগত শ্রেণি Drugs for Osteoarthritis, Drugs used for Rheumatoid Arthritis, Non-steroidal Anti-inflammatory Drugs (NSAIDs)
উৎপাদনকারী Shandong Xier Kangtai Pharm Co Ltd
উপলভ্য দেশ China, Nigeria
সর্বশেষ সম্পাদনা September 19, 2023 at 7:00 am

খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

Dimik Diclofenac Sodium খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

২৫ মি.গ্রা, ও ৫০ মি.গ্রা. এন্টারিক কোটেড ট্যাবলেট:

  • প্রাপ্তবয়স্কদের মাত্রা: প্রতিদিন ৭৫-১৫০ মি.গ্রা., ২-৩ টি বিভক্ত মাত্রায় সেব্য।
  • খাবারের পর গ্রহণ করাই শ্রেয়।
  • দীর্ঘদিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে মাত্রা কমিয়ে দেয়া উচিত।

ক্লোফেনাক এসআর ট্যাবলেট ও ক্লোফেনাক ১০০টি আর ক্যাপসুল ; দিনে একটি ট্যাবলেট, প্রচুর পরিমাণ তরলের সাথে খাবারের সাথে গ্রহণ করা শ্রেয়। প্রয়ােজনবােধে সাধারণ ট্যাবলেটের সাহায্যে দৈনিক মাত্রা ১৫০ মি.গ্রা. পর্যন্ত ব্যবহার করা যেতে পারে।

ক্লোফেনাকষ্ট ডিটি: প্রাপ্তবয়স্কদের মাত্রা : দৈনিক ২-৩ ট্যাবলেট সেব্য এবং দৈনিক সর্বোচ্চ মাত্রা ১৫০ মি.গ্রা.। ক্লোফেনাক ডিটি খাবারের পূর্বে ব্যবহার করাই শ্রেয়।

  • অন্যান্য রােগের মৃদু প্রকোপে। ২ টি ক্লোফেনাক ডিটি ট্যাবলেট সেবনই যথেষ্ট।

ক্লোফেনাক প্লাস ইঞ্জেকশন: প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রেঃ দিনে একটি এ্যাম্পুল (মারাত্মক অবস্থায় দিনে ২টি) পেশিতে ব্যবহার্য। রেনাল কলিক: দিনে একটি এ্যাম্বুল পেশীতে ব্যবহার্য। ৩০ মিনিট পরে আরও একটি এ্যাম্পুল ব্যবহার করা যেতে পারে। যে কোন পথে ডাইকোফেনাকের দৈনিক সর্বোচ্চ মাত্রা ১৫০মি.গ্রা.।

  • মাত্রা ও সেবনবিধি (শিরা পথে প্রয়ােগের ক্ষেত্রে) শিরা পথে প্রয়ােগ করার পূর্বে ০.৯% সােডিয়াম ক্লোরাইড অথবা ৫% গ্লুকোজের সাথে ১০০-৫০০ মি.লি. এর লঘু দ্রবণ তেরী করতে হবে। উভয় দ্রবণকে ৭.৫% এর ০.৫ মি.লি. বাফার দ্রবণ বানাতেহবে।
  • মাঝারী থেকে তীব্র ব্যথায় (অস্ত্রোপাচার পরবর্তী) ৭৫ মি.গ্রা, ৩০ মিনিট থেকে ২ ঘন্টা ধরে শিরা পথে প্রয়ােগ করতে হবে। ইহা ৪ থেকে ৬ ঘন্টা পর পর পূনরাবৃত্তি করা যাবে। তবে যেকোন ২৪ ঘন্টার মধ্যেমাত্রা ১৫০ মি.গ্রা, অতিক্রম করা যাবে না।
  • অস্ত্রোপাচার পরবর্তী ব্যথা প্রতিরােধে: অস্ত্রোপাচার এর পরে ২৫ থেকে ৫০ মি.গ্রা. শিরাপথে প্রয়ােগ করতে হবে ১৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টার মধ্যে। পরবর্তীতে প্রতি ঘন্টায় ৫ মি.গ্রা. করে দৈনিক সর্বোচ্চ ১৫০ মি.গ্রা. পর্যন্ত প্রয়ােগ করা যেতে পারে। ক্লোফেনাক জেল: ক্লোফেনাক জেল ত্বকে মৃদুভাবে ঘষে ব্যবহার করা হয়। আক্রান্ত জায়গার আয়তনানুসারে ২-৪ গ্রাম ক্লোফেনাকষ্ট জেল দিনে ৩-৪ বার ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্যবহারের পর আক্রান্ত জায়গা ব্যতীত হাত ভালভাবে ধুয়ে ফেলা উচিৎ। বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্ক মাত্রায় ব্যবহার্য।
  • ক্লোফেনাক সাপােজিটরি : প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে: ২৫ মি.গ্রা. , ৫০ মি.গ্রা, বা ১০০ মি.গ্রা, সাপােজিটরি, দিনে ৭৫-১৫০ মি.গ্রা, বিভক্ত মাত্রায় ব্যবহার্য । শিশুদের ক্ষেত্রে: ১২.৫ মি.গ্রা, অথবা ২৫ মি.গ্রা. সাপােজিটরি দিনে প্রতি কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১-৩ মি.গ্রা, করে বিভক্ত মাত্রায় ব্যবহার্য ।
  • দিনে ১৫০ মি.গ্রা. এর বেশী ডাইক্লোফেনাক সােডিয়াম ব্যবহার করা যাবে না।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

বিভিন্ন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার মধ্যে আছে পরিপাকনালীর অস্বস্তি, পরিপাকতন্ত্রের রক্তক্ষরণ, পেপটিক আলসার, ইত্যাদি।

সতর্কতা

পেপটিক আলসার অথবা পরিপাকতন্ত্রের রক্তক্ষরণ হচ্ছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত। বেশি বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রেও সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত। চোখ অথবা মিউকাস মেমব্রেনকে আরডন জেল এর সংস্পর্শে আনা যাবে না। প্রয়োগের পর হাত ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। মুখে সেবন করা অনুচিত।

মিথস্ক্রিয়া

গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার

গর্ভাবস্থায় সেবনযােগ্য নয়। তথাপি অন্য কোন উপায় না থাকলে কেবল মাত্র তখনই ডাইক্লোফেনাক সেব্য। ডাইক্লোফেনাক ৫০ মি.গ্রা, ৮ ঘন্টা অন্তর সেবন করলে। ডাইক্লোফেনাক এর সক্রিয় উপাদান মাতৃদুগ্ধে প্রবেশ করে, কিন্তু প্রবেশ মাত্রা এতই সামান্য যে কোনরূপ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় না।

বৈপরীত্য

যেসকল রোগী ডাইক্লোফেনাক, এসপিরিন বা অন্যান্য নন স্টেরয়ডাল প্রদাহরোধী ঔষধ, লিডোকেইন ইত্যাদির প্রতি সংবেদনশীল তাদের ক্ষেত্রে নির্দেশিত নয়। যেসকল রোগীর পরিপাকতন্ত্রে ঘা আছে ও রক্ত ক্ষরণ হয় তাদের ক্ষেত্রে নির্দেশিত নয়।

অতিরিক্ত সতর্কতা

তীব্র ওভারডোজ

লক্ষণ: অলসতা, তন্দ্রা, বমি বমি ভাব, বমি, এপিগ্যাস্ট্রিক ব্যথা, জিআই রক্তপাত। এইচটিএন, তীব্র রেনাল ব্যর্থতা, রেসপ ডিপ্রেশন, অ্যানাফিল্যাকটয়েড প্রতিক্রিয়া এবং কোমা খুব কমই ঘটতে পারে।

ব্যবস্থাপনা: লক্ষণ ও সহায়ক চিকিৎসা। ইমেসিস বা গ্যাস্ট্রিক ল্যাভেজ প্ররোচিত করে অবিলম্বে পেট খালি করুন এবং অ্যাক্টিভেটেড চারকোল এর অ্যাডমিন এর পরে কার্যকর হতে পারে।

অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া

অ্যাসপিরিনের সাথে ব্যবহার করলে উভয়ের ঘনমাত্রা রক্তরসে কমে যায়। এছাড়া ডাইক্লোফেনাক ডিগক্সিন, মিথোট্রিক্সেট এর ঘনত্ব রক্তরসে বাড়িয়ে দেয় এবং ডাইইউরিটিক্স এর কার্যক্ষমতা কমায়। লিথিয়াম, ডিগক্সিন, এন্টিকোয়াগুলেন্ট, এন্টিডায়াবেটিক, সাইক্লোস্পােরিন, মিথােট্রেক্সেট ইত্যাদি।

সংরক্ষণ

হালকা থেকে সুরক্ষিত একটি শীতল এবং শুকনো জায়গায় সংরক্ষণ করুন।

*** Taking medicines without doctor's advice can cause long-term problems.
Share