ডমপেন

ডমপেরিডান একটি ডােপামিন প্রতিবদ্ধক, যার গ্যাসট্রোপ্রােকাইনােটিক (পাকস্থলীর সঞ্চালন গতি বৃদ্ধিতে) কার্যকারিতা রয়েছে। ডমপেরিডান মূলত: কেমােরিসেপ্টর ট্রিগার জোন এবং এবং পাকস্থলীতে অবস্থিত ডােপামিন রিসেপ্টরকে রুদ্ধ করে। যেহেতু ডমপেরিডান খুব অল্প পরিমাণে ব্লাড ব্রেইন বেরিয়ারকে ভেদ করতে পারে, তাই মস্তিষ্কের ডােপামিনারজিক রিসেপ্টরের উপর কার্যত এর কোন ভূমিকা নেই। তাই ডমপেরিডান এর মানসিক উদ্দীপক এবং স্নায়বিক পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই। ডমপেরিডান অন্ত্রের উপরের অংশের স্বাভাবিক গতি ও স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে, পাকস্থলীর খাদ্য অপসারণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে, এন্ট্রাল ও ডিওডেনাল পেরিস্টালসিসকে বাড়িয়ে দেয় এবং পাইলােরাসের সংকোচনকে নিয়ন্ত্রণ করে। ডমপেরিডান খাদ্যনালীর সঞ্চালনকে ত্বরান্বিত করে এবং খাদ্যনালীর নিম্নাংশে স্ফিংক্টার-চাপকে বাড়িয়ে দেয়। এভাবে ডমপেরিডান পাকস্থলী থেকে খাদ্যের উপরে উঠে আসা রােধ করে।

ব্যবহার

ডিসপেপটিক সিম্পটম কমপেক্স : পেটের উপরের ভাগে ফাঁপা বােধ, পেট ভার বােধ এবং পেটের উপরের অংশে ব্যথা, চেঁকুর তােলা, পেট ফাঁপা, অল্প খাদ্যে তুষ্টি, বমি বমি ভাব এবং বমি, পাকস্থলী হতে খাদ্য উপরে উঠে আসাসহ বুকজ্বলা অথবা শুধু বুকজ্বলা, খাদ্যাভাস বা রেডিওথেরাপী বা মাইগ্রেন হতে সৃষ্ট তীব্র বমি বমি ভাব এবং বমি প্রতিরােধ ইত্যাদি।

ডমপেন এর দাম কত? ডমপেন এর দাম

ডমপেন in Bangla
Dompen in bangla
বাণিজ্যিক নাম ডমপেন
জেনেরিক ডমপেরিডোন Maleate
ধরণ ট্যাবলেট
পরিমাপ 10mg
দাম
চিকিৎসাগত শ্রেণি Motility Stimulants, Motility stimulants/Dopamine antagonist, Prokinetic drugs
উৎপাদনকারী Millat Pharmaceuticals Limited
উপলভ্য দেশ Bangladesh
সর্বশেষ সম্পাদনা September 19, 2023 at 7:00 am

খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

ডমপেন খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য: ১০ - ২০ মিলিগ্রাম প্রতি ৪ থেকে ৮ ঘন্টা পরপর

শিশুরা: ০.২ - -.৪ মিলিগ্রাম/কেজি প্রতি ৪ থেকে ৮ ঘন্টা পরপর।

খাবারের ১৫ থেকে ৩০ মিনিট আগে ডোম্বেরিডোন ট্যাবলেট এবং সাসপেনশন নেওয়া উচিত। তীব্র বমি বমি ভাব এবং বমি বমিভাবের জন্য, চিকিত্সার সর্বাধিক সময়কাল ১২ সপ্তাহ।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অনুমােদিত নয়। মাতৃদুগ্ধে এটা খুব অল্প পরিমাণে নিঃসৃত হওয়ায় নবজাতকের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে না।

সতর্কতা

বাচ্চাদের ব্লাড ব্রেইন বেরিয়ার অপরিণত অবস্থায় থাকায় এক্সট্রা-পিরামিডাল রিয়্যাকশনের সম্ভবনা বেশী থাকে। তাই বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ডমপেরিডােন অতি সতর্কতার সাথে বাবহার করা উচিত। যেহেতু ডমপেরিডোনের বিপাক মূলত যকৃতে ঘটে তাই যকৃতের সমস্যায় ডমপেরিডানের ব্যাবহার সতর্কতার সাথে করা উচিত।

মিথস্ক্রিয়া

ডমপেরিডােন রক্তে ব্রোমােক্রিপটিনের প্রােল্যাকটিন কমানাের প্রবণতা কমিয়ে দিতে পারে। পরিপাকতান্ত্রিক কার্যকারিতায় আ্যান্টিমাসক্যারাইনিকস ও ওপিঅয়েড এনালজেসিকের মাধ্যমে ডমপেরিডােনের কার্যক্ষমতা ব্যহত হতে পারে। মনােআ্যামাইন অক্সাইডেজ ইনহিবিটরের সাথে ডমপেরিডােনের ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার

গর্ভাবস্থায় ব্যবহার করুন: গর্ভবতী মহিলাদের জন্য এই ড্রাগের সুরক্ষা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সুতরাং এটি গর্ভাবস্থাকালীন বাঞ্ছনীয় নয়।

স্তন্যপান করানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করুন: ডম্পেরিডোন গ্যালাক্ট্রিয়া বাড়াতে পারে এবং প্রসবোত্তর স্তন্যদানের উন্নতি করতে পারে, যা বুকের দুধে লুকানো থাকে তবে খুব অল্প পরিমাণে ক্ষতিকারক হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।

বৈপরীত্য

  • শিশুদের ক্ষেত্রে এক্সট্রা-পিরামিডাল রিয়্যাকশনের সম্ভাবনা থাকলে এবং যকৃতের সমস্যায় ডমপেরিডােন সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত।
  • ডমপেরিডডানের প্রতি অতিসংবেদনশীল রােগী এবং নবজাতক শিশুদের ক্ষেত্রে ডমপেরিডােন ব্যবহার নিষিদ্ধ।
  • গ্যাস্ট্রো-ইন্টেসটাইনাল হেমােরেজ, মেকানিক্যাল অবস্ট্রাকশন বা পারফোরেশনের মত গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় এবং প্রােল্যাকটিন নিঃসরণের পিটুইটারী টিউমারে ব্যবহার নিষিদ্ধ।

অতিরিক্ত সতর্কতা

তীব্র ওভারডোজ

ওভারডোজ প্রাথমিকভাবে শিশু এবং শিশুদের মধ্যে রিপোর্ট করা হয়েছে। অতিরিক্ত মাত্রার লক্ষণগুলির মধ্যে বিভ্রান্তি, তন্দ্রা এবং এক্সট্রাপিরামিডাল প্রতিক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। ডম্পেরিডোনের কোন নির্দিষ্ট প্রতিষেধক নেই, তবে অতিরিক্ত মাত্রার ক্ষেত্রে, সক্রিয় কাঠকয়লার প্রশাসন কার্যকর হতে পারে। অ্যান্টিকোলিনার্জিকস, অ্যান্টিপার্কিনসন ওষুধগুলি এক্সট্রাপিরামিডাল প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে কার্যকর হতে পারে। রোগীকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত এবং সহায়ক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া

ব্রোমােক্রিপটিন, অ্যান্টিমাসক্যারাইনিকস, ওপিঅয়েড এনালজেসিক এবং মনােঅ্যামাইন অক্সিডেজ ইনহিবিটর।

সংরক্ষণ

আলো থেকে সুরক্ষিত শীতল শুকনো জায়গায় সঞ্চয় করুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

*** Taking medicines without doctor's advice can cause long-term problems.
Share