ব্যথা, প্রদাহজনিত রােগ ও জ্বরে: Ecosprin Tablet (Enteric Coated) 300 mg ৩০০ মি.গ্রা. ১-৩ টি ট্যাবলেট ৬ ঘন্টা পর পর এবং দিনে সর্বোচ্চ ৪ গ্রাম।সাস্পেক্টেড একিউট করােনারি সিনড্রোম: সুনির্দিষ্ট প্রতিনির্দেশনা না থাকলে তাৎক্ষণিক মাত্রা ১৫০ মি.গ্রা. থেকে ৩০০ মি.গ্রা.। মায়ােকার্ডিয়াল ইনফার্কশনের পরে: মায়ােকার্ডিয়াল ইনফার্কশনের পরবর্তী একমাস ১ টি করে Ecosprin Tablet (Enteric Coated) 300 mg ১৫০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট এবং এর পরে দৈনিক ইকোনি ৭৫ মি.গ্রা. ১টি করে ট্যাবলেট।একিউট ইস্কেমিক স্ট্রোক/ ট্রানজিয়েন্ট ইস্কেমিক স্ট্রোক (টিআইএ): প্রারম্ভিক মাত্রা দৈনিক ১৫০ মি.গ্রা. থেকে ৩০০ মি.গ্রা. এবং পরবর্তীতে ৭৫ মি.গ্রা.। বাইপাস সার্জারীর পরে: বাইপাস সার্জারীর ৬ ঘন্টা পর থেকে প্রতিদিন ৭৫ মি.গ্রা. থেকে ৩০০ মি.গ্রা.।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত মাত্রার Ecosprin Tablet (Enteric Coated) 300 mgের খুব সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াসমূহের মধ্যে রয়েছে বমি বমি ভাব, বদহজম, পরিপাকতন্ত্রের ঝিল্লির প্রদাহসহ ক্ষত ও ফুসফুসের খিচুনী ইত্যাদি।
সতর্কতা
হাঁপানী, অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ এবং গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। নাকের পলিপ এবং এলার্জি রােগীদের ক্ষেত্রে ইহা সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত।
মিথস্ক্রিয়া
অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্টস, ওরাল হাইপোগ্লাইকাইমিক এজেন্টস, ফিনাইটয়েন এবং সোডিয়াম ভ্যালপ্রোয়েটের প্রভাব স্যালিসিলেটস বাড়িয়ে তুলতে পারে। তারা প্রোবেনসিডের ইউরিকোসরিক প্রভাবকে বাধা দেয় এবং সালফোনামাইডের বিষাক্ততা বাড়িয়ে তুলতে পারে। তারা ব্রোঙ্কোস্পাজমকে বাধা দিতে পারে বা সংবেদনশীল বিষয়ে অ্যাজমা আক্রমণ করতে পারে।
গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার
ইহা বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, সুনির্দিষ্টভাবে নির্দেশিত না হলে গর্ভাবস্থার শেষ ৩ মাসে Ecosprin Tablet (Enteric Coated) 300 mg ব্যবহার করা উচিত নয়, কারণ ইহা গর্ভে অবস্থানরত শিশুর ক্ষতি করতে পারে এবং প্রসবের সময় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। Ecosprin Tablet (Enteric Coated) 300 mg মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয়, তাই দুগ্ধদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে ইহা সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত।
বৈপরীত্য
১২ বছরের নীচে বাচ্চাদের (রেইজ সিনড্রোম), দুগ্ধাদানকারীদের, সক্রিয় পেপটিক আলসারে Ecosprin Tablet (Enteric Coated) 300 mg প্রতিনির্দেশিত। হিমােফিলিয়া, ইন্ট্রাক্রেনিয়াল হিমােরেজ এবং অন্যান্য ক্ষত থেকে রক্ত নিঃসরণের ক্ষেত্রেও ইহা প্রতিনির্দেশিত।
অতিরিক্ত সতর্কতা
তীব্র ওভারডোজ
অতিরিক্ত পরিমাণে মাথা ঘোরা, টিনিটাস, ঘাম, বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া, বিভ্রান্তি এবং হাইপারভেন্টিলেশন হয়। অতিমাত্রায় ওভারডেজের ফলে কোমা, কার্ডিওভাসকুলার পতন এবং শ্বাসকষ্টের চাপ সহ সিএনএসের ডিপ্রেশন দেখা দিতে পারে। যদি অতিরিক্ত পরিমাণে সন্দেহ করা হয় তবে রোগীকে কমপক্ষে ২৪ ঘন্টা পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে, কারণ লক্ষণগুলি এবং রক্তে স্যালিসিলেটের মাত্রা বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে স্পষ্ট নাও হতে পারে। ওভারডেজের চিকিৎসার মধ্যে গ্যাস্ট্রিক ল্যাভেজ এবং জোর করে ক্ষারীয় ডিউরেসিস থাকে। গুরুতর ক্ষেত্রে হেমোডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হতে পারে।
অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া
সংরক্ষণ
সকল ঔষধ শিশুদের নাগালের বারে রাখুন। আলাে থেকে দূরে, ঠাণ্ডা ও শুষ্ক স্থান রাখুন।
*** Taking medicines without doctor's advice can cause long-term problems.