গ্রিটন্যাপ
ন্যাপ্রোক্সেন এবং ইসোমিপ্রাজল এ আছে ইমিডিয়েট রিলিজ ইসোমিপ্রাজল ম্যাগনেশিয়াম লেয়ার এবং একটি এনটেরিক কোটেড ন্যাপ্রোক্সেন কোর, ফলে ন্যাপ্রোক্সেন ক্ষুদ্রান্তের দ্রবণে যাবার পুর্বেই ইসোমিপ্রাজল পাকস্থলিতে রিলিজ হয়। ন্যাপ্রোক্সেন একটি নন-স্টেরয়েড ব্যথানাশক ও জ্বরনাশক ঔষধ। ইহা সাইক্লো-অক্সিজিনেজ এনজাইমকে প্রতিহত করে প্রদাহ সৃষ্টিকারী রাসায়নিক উপাদান তৈরীতে বাধা দেয়। ইসোমিপ্রাজল একটি প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর যা প্যারাইটাল সেল এর-এনজাইমকে বাধা প্রদানের মাধ্যমে পাকস্থলির এসিড নিঃসরণে বাধা প্রদান করে। ইসোমিপ্রাজল এসিড নিঃসরণের শেষ ধাপকে বাধা প্রদানের মাধ্যমে পাকস্থলির এসিড নিঃসরণ বাধা প্রদান করে। ইসোমিপ্রাজল এসিড নিঃসরণের শেষ ধাপকে বাধা প্রদানের মাধ্যমে পাকস্থলির এসিড নিঃসরণে বাধা প্রদান করে।
ব্যবহার
অস্টিওআথ্রাইটিস, রিউম্যাটয়েড আথ্রাইটিস এবং অ্যানকাইলােজিং স্পন্ডিলাইটিস এর লক্ষণ ও উপসর্গ নিরসনে, ডিজমেনােরিয়া এবং যে সকল রােগীর এন,এস,এ,আই,ডি, সেবন সংশ্লিষ্ট গ্যাস্ট্রিক আলসার হবার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের গ্যাস্ট্রিক আলসার কমানাের ক্ষেত্রে এটি নির্দেশিত।
গ্রিটন্যাপ এর দাম কত? গ্রিটন্যাপ এর দাম
সুচিপত্র
বাণিজ্যিক নাম | গ্রিটন্যাপ |
জেনেরিক | ন্যাপ্রোক্সেন সোডিয়াম + ইসোমিপ্রাজল |
ধরণ | ট্যাবলেট |
পরিমাপ | 500mg+20mg |
দাম | |
চিকিৎসাগত শ্রেণি | Drugs for Osteoarthritis, Drugs used for Rheumatoid Arthritis, Non-steroidal Anti-inflammatory Drugs (NSAIDs) |
উৎপাদনকারী | Edruc Ltd |
উপলভ্য দেশ | Bangladesh |
সর্বশেষ সম্পাদনা | January 7, 2025 at 1:49 am |
খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম
গ্রিটন্যাপ খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম
- অস্টিওআর্থাইটিস, রিউম্যাটয়েড আথ্রাইটিস, অ্যানকাইলােজিং স্পন্ডিলাইটিস এবং ডিজমেনােরিয়া: জেনল ৩৭৫ বা জেনল ৫০০, ১টি ট্যাবলেট দিনে ২ বার।
- ট্যাবলেটটি ভাঙ্গা, চোষা, চিবানাে অথবা দ্রবীভূত করা যাবে না।
- ট্যাবলেটটি খাবারের অন্তত ৩০ মিনিট পূর্বে সেবন করতে হবে।
- বয়স্ক রােগীদের জন্য: পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায় যে, যদিও সম্পূর্ণ প্লাজমা মাত্রা অপরিবর্তিত থাকে কিন্তু মুক্ত অংশের ন্যাপ্রােক্সেন বয়স্ক রােগীদের ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পায়।
- যখন উচ্চমাত্রার সেবন প্রয়োজন তখন সাবধানতার সাথে ব্যবহার করা উচতি এবং বয়স্ক রােগীদের ক্ষেত্রে সেবনমাত্রা পরিবর্তনের প্রয়ােজন হতে পারে।
- যেহেতু বয়স্ক রােগীদের ক্ষেত্রে অন্যান্য ওষুধ ব্যবহার করা হয় সেহেতু সম্ভাব্য নিম্নতম মাত্রা ব্যবহার করা উচিত।
- কিডনি সমস্যার রােগীদের ক্ষেত্রে: ন্যাপ্রােক্সেন সম্বলিত ওষুধগুলাে মধ্যবর্তী থেকে উচ্চ পর্যায়ের কিডনি সমস্যার রােগীদের ক্ষেত্রে (ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স <৩০ মি.লি./মিনিট) নির্দেশিত নয়।
- হেপাটিক সমস্যার রােগীর ক্ষেত্রে: অল্প হতে মধ্যবর্তী হেপাটিক সমস্যার রােগীদের ক্ষেত্রে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং জেনল এর ভেতর ন্যাপ্রােক্সেন এর পরিমাণ হিসেব করে মাত্রা পূনঃনির্ধারণ করতে হবে।
- তীব্র হেপাটিক সমস্যায় রােগীদের ক্ষেত্রে জেনল নির্দেশিত নয় কারণ এ সকল রােগীর ক্ষেত্রে ইসােমিপ্রাজলের মাত্রা দৈনিক ২০ মি.গ্রা. এর বেশি প্রয়ােগ করা যাবে না।
- শিশুদের ক্ষেত্রে ১৮ বছরের কম বয়স্ক শিশুদের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার এখনাে প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
সাধারণত সুসহনীয়। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যে সকল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় তা হল, ইরােসিভ গ্যাস্ট্রাইটিস, ডিসপেপসিয়া, গ্যাস্ট্রাইটিস, পাতলা পায়খানা, গ্যাস্ট্রিক আলসার, পেটের উপরের অংশে ব্যথা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি।
সতর্কতা
কার্ডিওভাসকুলার: COX-2 সিলেকটিভ ও নন-সিলেক্টিভ উভয় ধরণের ব্যথানাশক দিয়ে ৩ বছর পর্যন্ত পরিচালিত স্টাডিতে কার্ডি্ওভাসকুলার থ্রম্বোটিক রিস্ক, মায়োকার্ডিয়াল ইনফারকশন ও স্ট্রোক-এর সম্ভাবনা দেখা গেছে। COX-2 সিলেকটিভ ও নন সিলেকটিভ উভয় ধরণের ব্যাথানাশকেই এই রিস্ক বিদ্যমান।
উচ্চ-রক্তচাপ: ন্যাপ্রোক্সেন সহ সকল ব্যথানাশক নতুন করে উচ্চরক্তচাপের সুচনা করতে পারে অথবা পুরাতন উচ্চরক্তচাপের অবস্থা আরো খারাপ করতে পারে।
কনজেস্টিভ হার্ট ফেইলিউর ও ইডিমা: ব্যথানাশক সেবন করেছেন এমন রোগীদের ফ্লুয়িড রিটেনশন, ইডিমা ও পেরিফেরাল ইডিমা ইত্যাদি দেখা গেছে এবং ফ্লুয়িড রিটেনশন বা হার্ট ফেইলিউর রোগীদের ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত।
পরিপাকতন্ত্রীয়: ন্যাপ্রোক্সেন সহ নকল ব্যথানাশক পরিপাকতন্ত্রের ক্ষতিসাধন করতে পারে যেমন, প্রদাহ, রক্তপাত, আলসার, পাকস্থলি, ক্ষুদ্রান্ত বা বৃহদান্ত্রের ছিদ্র যা মৃত্যুর কারণ হতে পারে। ন্যাপ্রোক্সেন এবং ইসোমিপ্রাজল কম্বিনেশন যদিও দক্ষতার সাথে গ্যাস্ট্রিক আলসারের পরিমান শুধুমাত্র ন্যাপ্রোক্সেনের তুলনায় কমিয়ে দেয়, কিন্ত আলসার ও অন্যান্য সমস্যা তখনও হতে পারে।
মুত্রতন্ত্র: দীর্ঘমেয়াদে ব্যথানাশক ব্যবহারে রেনাল প্যাপিলারী নেকরোসিস সহ অন্যান্য রেনাল ইনজুরি হতে পারে।
ঔষধের মিথস্ক্রিয়া: ব্যথানাশক ও উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের সাথে একত্রে ব্যবহার করলে এসিই-ইনহিবিটর, ডায়ুরেটিকস ও বিটা ব্লকারের কার্য়কারিতা নষ্ট হয়ে যায়। মিথোট্রিক্সেটের সাথে ব্যবহারে মিথোট্রিক্সেটের বিষক্রিয়া বেড়ে যায়। ওয়ারফারিনের সাথে ব্যবহারে রক্তপাতের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ইসোমিপ্রাজল অন্ত্রের এসিড ক্ষরণ বাধাগ্রস্থ করে এবং PH নির্ভর সকল ঔষধের শোষন কমিয়ে দেয়।
মিথস্ক্রিয়া
নেপ্রোক্সেন এবং এসোমপ্রেজোল সংমিশ্রনের সাথে পরিচালিত বেশ কয়েকটি গবেষণায় দুটি উপাদানগুলির মধ্যে কোনও মিথস্ক্রিয়া দেখা যায় নি।
গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার
গর্ভাবস্থায়: প্রেগনেন্সি ক্যাটাগরি সি। গর্ভাবস্থার শেষের দিকে এর ব্যবহার বর্জন করা উচিত কারণ এটি ডাক্টাস আর্টেরিওসাসের অপরিণত বন্ধের কারণ হতে পারে।
স্তন্যদানকালে: ন্যাপ্রােক্সেন থাকার কারণে স্তন্যদানকালে এটি ব্যবহার করা উচিত নয়।
বৈপরীত্য
ন্যাপ্রোক্সেন এবং ইসোমিপ্রাজল, ইসোমিপ্রাজল, ন্যাপ্রোক্সেনের প্রতি অতিসংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে নির্দেশিত নয়। ন্যাপ্রোক্সেন এবং ইসোমিপ্রাজল অ্যাজমা, আরটিকেরিয়া, অ্যাসপিরিনের প্রতি অ্যালার্জিক রোগীদের ক্ষে্ত্রে নির্দেশিত নয়।
যকৃতের অকার্যকারিতা: সিভিয়ার যকৃতের অকার্যকারিতায় ন্যাপ্রোক্সেন এবং ইসোমিপ্রাজল এর ব্যবহার নির্দেশিত নয়।
কিডনীর অকার্যকারিতা: মৃদু থেকে মাঝারী মাত্রার রেনাল অকার্যকারিতা-এ ন্যাপ্রোক্সেন এবং ইসোমিপ্রাজল এর ব্যবহার নির্দেশিত নয়।
শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: ১৮ বছরের কম কয়সের শিশুদের ক্ষেত্রে ন্যাপ্রোক্সেন এর ব্যবহার সুপ্রতিষ্ঠিত নয়।
শিশুদের ক্ষেত্রে ন্যাপ্রোক্সেন এবং ইসোমিপ্রাজল এর ব্যবহার নির্দেশিত নয়।
অতিরিক্ত সতর্কতা
জেরিয়াট্রিক রোগী: অধ্যয়নগুলি ইঙ্গিত করে যে যদিও ন্যাপরোক্সেনের মোট প্লাজমা ঘনত্ব অপরিবর্তিত থাকে, বয়স্কদের মধ্যে নেপ্রোক্সেনের আনবাউন্ড প্লাজমা ভগ্নাংশ বৃদ্ধি পায়। উচ্চ মাত্রার প্রয়োজন হলে সতর্কতা অবলম্বন করুন এবং বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে ডোজ কিছু সমন্বয় প্রয়োজন হতে পারে। 18 বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে esomeprazole প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তাই এটি শিশুদের ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করা হয় না।
মাঝারি থেকে গুরুতর রেনাল বৈকল্যের রোগীদের: মাঝারি থেকে গুরুতর বা গুরুতর রেনাল রোগীদের ক্ষেত্রে নেপ্রোক্সেনযুক্ত পণ্য ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করা হয় না। প্রতিবন্ধকতা (ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স < 30 মিলি/মিনিট)।
হেপাটিক অপ্রতুলতা: হালকা থেকে মাঝারি হেপাটিক দুর্বলতার রোগীদের নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করুন এবং নেপ্রোক্সেনের উপর ভিত্তি করে সম্ভাব্য ডোজ হ্রাস বিবেচনা করুন। এই সংমিশ্রণটি গুরুতর হেপাটিক প্রতিবন্ধকতাযুক্ত রোগীদের জন্য সুপারিশ করা হয় না কারণ এসমেপ্রাজলের ডোজ এই রোগীদের দৈনিক 20 মিলিগ্রামের বেশি হওয়া উচিত নয়।
তীব্র ওভারডোজ
ন্যাপ্রোক্সেনের ওভারডোজ: উল্লেখযোগ্য নেপ্রোক্সেন ওভারডোজ অলসতা, তন্দ্রা, এপিগ্যাস্ট্রিক ব্যথা, পেটে অস্বস্তি, অম্বল, বদহজম, বমি বমি ভাব, লিভারের কার্যকারিতায় ক্ষণস্থায়ী পরিবর্তন, হাইপোপ্রোথ্রোম্বিনেমিয়া, রেনাল ডিসফাংশন, মেমোটোসিস দ্বারা চিহ্নিত করা যেতে পারে। , অ্যাপনিয়া, বমি ইত্যাদি।
এসোমেপ্রাজলের অতিরিক্ত মাত্রা: তীব্র বিষাক্ততার প্রধান লক্ষণগুলি ছিল মোটর কার্যকলাপ হ্রাস, শ্বাসযন্ত্রের ফ্রিকোয়েন্সি পরিবর্তন, কাঁপুনি এবং মাঝে মাঝে ক্লোনিক খিঁচুনি ইত্যাদি।
অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া
এন,এস,এ,আই,ডি, এর সাথে ব্যবহারের ফলে এ.সি.ই ইনহিবিটরের এন্টিহাইপারটেনসিভ ইফেক্ট, ডাই ইউরেটিক এবং বিটা-ব্লকারের কার্যক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। ওয়ারফেরিনের সাথে ব্যবহার করলে জেনল রক্তক্ষরণ জনিত সমস্যা বৃদ্ধি করতে পারে। ইসােমিপ্রাজল গ্যাস্ট্রিক এসিডের উৎপাদন কমিয়ে দেয় যার ফলে যে সকল ওষুধের বায়ােঅ্যাভেইলিবিলিটি নির্ধারণের জন্য গ্যাস্ট্রিক pH একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাদের শােষণ ব্যহত হতে পারে (যেমন- কিটোকোনাজল, আয়রণ সল্ট, ডিগক্সিন)।