Haloperidol BP এর কাজ, খাওয়ার নিয়ম, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, সতর্কতা - MedicineBangla

Haloperidol BP

হ্যালোপেরিডল একটি এন্টিসাইকোটিক গুণাগুণ বিশিষ্ট বিউটাইরোফেরন জাতকা যা মস্তিষ্কের অকার্যকারিতা, অ্যাজিটেশন এবং ম্যানিয়ার বিরুদ্ধে অতিশয় কার্যকরী। হ্যালোপেরিডল একটি কার্যকরী নিউরোলেপটিক এবং ইহার বমিরোধক গুণাবলীও রয়েছে। এটি হাইপোথারমিক, ক্ষুধামন্দা প্রদর্শনের পাশাপাশি বারবিচুরেট, এনেসথেশিয়া এবং বিষন্নতা রোগীর ঔষুধের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়। হ্যালোপেরিডল একটি দ্রুত কার্যকরী ঔষধ যার কার্যকারিতা ১২ ঘন্টা স্থায়ী এবং দিনে ২ টি মাত্রায় নির্দেশিত।

ব্যবহার

বয়স্কদের ক্ষেত্রে : সিজোফ্রেনিয়া, প্যারানয়েড, ম্যানিয়া এবং হাইপােম্যানিয়া, অতিরিক্ত কর্মচঞ্চলতা এবং মানসিক ভারসাম্যহীন আত্মহননকারী এবং অরগ্যানিক ব্রেইন ড্যামেজ-এর রােগী, তীব্র মনােদৈহিক উত্তেজনায়, অদমনীয় হিক্কা, বয়স্কদের চিত্তচাঞ্চল্য এবং উত্তেজনায়। শিশুদের ক্ষেত্রে: বাচ্চাদের স্বভাবগত ত্রুটি বিশেষত: যখন তা অতিরিক্ত কর্মচাঞ্চল্য ও আক্রমণাত্মক মনােভাব হিসেবে দেখা দেয়, বাচ্চাদের সিজোফ্রেনিয়া।

Haloperidol BP এর দাম কত? Haloperidol BP এর দাম

Haloperidol BP in Bangla
Haloperidol BP in bangla
বাণিজ্যিক নাম Haloperidol BP
জেনেরিক হ্যালােপেরিডল
ধরণ Injection
পরিমাপ
দাম
চিকিৎসাগত শ্রেণি Butyrophenone drugs, Drugs used in tremor, tics & related disorder
উৎপাদনকারী ADVANZ Pharma
উপলভ্য দেশ United Kingdom
সর্বশেষ সম্পাদনা September 19, 2023 at 7:00 am

খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

Haloperidol BP খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

মুখে খাওয়ার জন্যঃ সিপোফ্রেনিয়া এবং মানসিক সমস্যায় প্রাথমিক মাত্রা হলো ০.৫ খেকে ৫ মি.গ্রা. দৈনিক ২-৩ বার। জরুরী চিকিৎসায় প্রয়োজন হলে দৈনিক ৬০ মি.গ্রা. পর্যন্ত বিভক্ত মাত্রায় দেয়া যেতে পারে। তীব্র মানসিক রোগে অথবা রেজিস্ট্যান্ট রোহীর ক্ষেত্রে দৈনিক ১০০-২০০ মি.গ্রা. পর্যন্ত প্রয়োজন হতে পারে। ওষুধের প্রতিক্রিয়ার ওপর নির্ভর করে ধীরে ধীরে মাত্রা কমিয়ে আনতে হবে। মেইনটেন্যান্স মাত্রা দৈনিক ৩-১০ মি.গ্রা. ই যথেষ্ট।

তীব্র মানসিক দুশ্চিন্তায় স্বল্পকালীন আনুষঙ্গিক চিকিৎসায় প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ০.৫ মি.গ্রা. দৈনিক ২ বার দেয়া যেতে পারে। অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে ব্যাবহার্য নহে।

অদমনীয় হিক্কা-১.৫ মি.গ্রা. দৈনিক ৩ বার। ওষুধের প্রতিক্রিয়ার ওপর ভিত্তি করে মাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে ব্যাবহার্য নহে।

শিশুদের ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থায় দৈনিক ২৫-৫০ মাইক্রোগ্রাম/কেজি দেহ ওজন অনুযায়ী ২ টি বিভক্ত মাত্রায় সেব্য। সর্বোচ্চ দৈনিক ১০ মিগ্রা.

সমস্ত ইঙ্গিতের জন্য ডোজ পৃথকভাবে নির্ধারণ করা উচিত এবং নিবিড় ক্লিনিকাল তত্ত্বাবধানে সর্বোত্তম সূচনা এবং টাইটেরেট করা উচিত। প্রাথমিক ডোজ নির্ধারণের জন্য রোগীদের বয়স, লক্ষণগুলির তীব্রতা এবং অন্যান্য নিউরোলেপ্টিকের পূর্ববর্তী প্রতিক্রিয়া বিবেচনা করা উচিত। স্বাভাবিক প্রারম্ভিক ডোজ অর্ধেক করা উচিত, তারপরে একটি সর্বোত্তম প্রতিক্রিয়া অর্জনের জন্য ধীরে ধীরে টাইট্রেশন করা উচিত।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

এক্সট্রা পাইরামিডাল লক্ষণ, তীব্র ডিসটোনিয়া, ইপিলেপ্টিক ফিটস্, বিষন্নতা, ঘুম ঘুম ভাব, ইতস্তত, তন্দ্রাচ্ছন্নতা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।

সতর্কতা

হ্যালোপেরিডল খিঁচুনির সর্বোচ্চ মাত্রা কমাতে পারে এবং প্রমাণ পাওয়া গেছে যে ইহা পূর্বে নিয়ন্ত্রিত এপিলেপসি রোগীর ক্ষেত্রে খিচুনি বাড়ায়। তাই যখন এসব রোগীকে হ্যালোপেরিডল চিকিৎসা দেওয়া হয় তখন তাকে উপর্যুপরি এন্টি কনভালসেন্ট ঔষধও দেওয়া উচিৎ। অন্যান্য এন্টি সাইকোটিক ঔধের মতো হ্যালোপেরিডল কিডনি ও লিভার সমস্যার রোগীদেরকে এবং এলার্জি রোগী ও যাদের নিউরোলেপটিক ঔষধে এলার্জি আছে তাদের সাবধানতার সহিত দেওয়া উচিত। ফিওক্রোমোসাইটোমা এবং যেসব কারনে এপিলেপসি ঘটায় যেমন মাদকদ্রব্য বন্ধ এবং ব্রেইন নষ্ট রোগীদের ক্ষেত্রেও সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। যেহেতু এই ঔষধ এনালজেসিক এবং হিপনোটিক হিসেবে বেশ ভাল কার্যকর সেহেতু উহাকে সতর্কতার সহিত নিয়মিত ব্যবহারকারী রোগীদেরকে দেওয়া উচিত।

মিথস্ক্রিয়া

খবর পাওয়া গিয়েছে যে, হ্যালোপেরিডল ফেনিনডিয়ন এবং রক্ত জমাট বাধা রোধক ঔষধের কার্যকারিতার সাথে ইন্টারফেয়ার করে এবং মনে রাখা উচিত একই ধরণের সমস্যা হতে পারে যখন হ্যালেপেরিডল অন্যান্য রক্ত জমাট বাধা রোধক ঔষধের সাথে ব্যবহার করা হয়। হ্যালোপেরিডল এপিনেফরিন এবং অন্যান্য সিমপেথোমাইমেটিক এজেন্ট এর কার্যকারিতায় বাধা প্রদান করে এবং এড্রেনার্জিক বন্ধকতা ঔষধের রক্তচাপ কমানোর কার্যকারিতাকে বন্ধ করে। যখন হ্যালোপেরিডল মিথাইল ডোপার সাথে একত্রে ব্যবহার করা হয় তখন এটি মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে তরান্বিত করে। হ্যালোপেরিডল ট্রাইসাইক্লিক এন্টি-ডিপ্রেসেন্ট এর মেটাবলিজমকে বাধা প্রদান করে বিধায় এসব ঔবধের প্লাজমা ঘনত্ব মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে ট্রাইসাইক্লিক এন্টি-ডিপ্রেসেন্ট টক্সিসিটি বৃদ্ধি পায় (এন্টিকোলিনার্জিক প্রতিক্রিয়া, কার্ডিওভাসকুলার টক্সিসিটি, খিঁচুনির মাত্রা কমায়)। হ্যালোপেরিডল লেভোডোপার এন্টিপারকিনসন ক্রিয়াকে বাঁধা প্রদান করে।  যদি কোন এন্টিপারকিনসন ঔষধ হ্যালোপেরিডল এর সাথে একত্রে ব্যবহৃত হয় তাহলে উভয় ঔষধ একত্রে বন্ধ করা উচিত নয়। কারণ হ্যালোপেরিডল ধীরে নিষ্কৃত হয়।

গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার

ব্যবহার না করা উচিত।

বৈপরীত্য

কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র নিস্তেজ অবস্থায় এবং পারকিনসন রােগে ব্যবহার করা যাবে না।

অতিরিক্ত সতর্কতা

তীব্র ওভারডোজ

সাধারণত, ওভারডোজের লক্ষণগুলি পরিচিত ফার্মাকোলজিক প্রভাব এবং প্রতিকূল প্রতিক্রিয়াগুলির অতিরঞ্জন হবে, যার মধ্যে সবচেয়ে বিশিষ্ট হবে: গুরুতর এক্সট্রাপিরামিডাল প্রতিক্রিয়া, হাইপোটেনশন বা অবশ। একটি শক মত অবস্থা তৈরি করতে যথেষ্ট গুরুতর হতে হবে.

অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া

লিথিয়াম, ডােপামিন এন্টাগনিস্ট, ইন্ডােমেথাসিন, কার্বামাজেপিন, রিফামপিসিন।

সংরক্ষণ

15-30 ডিগ্রি সেলসিয়াসে স্টোর করুন।

*** Taking medicines without doctor's advice can cause long-term problems.
Share