Insulatard InnoLet এর কাজ, খাওয়ার নিয়ম, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, সতর্কতা - MedicineBangla

Insulatard InnoLet

ইনসুলিন হলো অগ্ন্যাশয়ের প্রধান হরমোন,এক ধরনের পলিপ্যাপটাইড, যা গ্লুকোজকে রক্ত থেকে কোষের মধ্যে প্রবেশ করা নিয়ন্ত্রণ করে। ইনসুলিন অগ্ন্যাশয়ের ইনসুলিন নিঃসরণকারী কোষগুলো (আইল্যেটস অব ল্যাঙ্গারহেন্স-এর বিটা কোষ) থেকে নিঃসৃত হয়। মূলত ডায়েবেটিস মেলাইটাস এ ইনসুলিন ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ইনসুলিন খুব পুরানো প্রোটিন যা কয়েক বিলিয়ন বছর আগে উদ্ভাবিত হয়েছে।

ব্যবহার

  • সমস্ত টাইপ ১ ডায়াবেটিস রােগীর চিকিৎসায় নির্দেশিত।
  • যে সব টাইপ ২ ডায়াবেটিস রােগীর আহার এবং/অথবা মুখে খাবার ওষুধের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ হয় না তাদের ক্ষেত্রে নির্দেশিত।
  • ডায়াবেটিক কিটোএসিডােসিস, হাইপারঅসমােলার ননকিটোটিক সিনড্রোম এবং মারাত্মক সংক্রমণ ও বড় সার্জারীর রােগীর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নির্দেশিত। গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস-এর চিকিৎসায় নির্দেশিত।

Insulatard InnoLet এর দাম কত? Insulatard InnoLet এর দাম

Insulatard InnoLet in Bangla
Insulatard InnoLet in bangla
বাণিজ্যিক নাম Insulatard InnoLet
জেনেরিক ইনসুলিন হিউম্যান (আরডিএনএ)
ধরণ
পরিমাপ
দাম
চিকিৎসাগত শ্রেণি Medium Acting Insulin
উৎপাদনকারী Novo Nordisk Limited, Novo Nordisk A, s
উপলভ্য দেশ United Kingdom, France, Netherlands
সর্বশেষ সম্পাদনা September 19, 2023 at 7:00 am

খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

Insulatard InnoLet খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

  • রােগীর প্রয়ােজন এবং চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী মাত্রা নির্ধারণ করতে হবে।
  • টাইপ ১ ডায়াবেটিক রােগীদের জন্য ইনসুলিনের গড় দৈনিক মাত্রা হলাে ০.৫ এবং ১.০ আইইউ/কেজি-এর মধ্যে।
  • অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের জন্য এই মাত্রা হলাে ০.৭-১.০ আইইউ/কেজি কিন্তু আংশিক আরােগ্যলাভের সময় এই মাত্রা আরাে কমিয়ে দিতে হবে। ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স, যেমন- বয়ঃসন্ধিকাল বা স্থূলতার ক্ষেত্রে দৈনিক ইনসুলিনের চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পায়।
  • টাইপ ২ ডায়াবেটিক রােগীদের জন্য প্রাথমিক মাত্রা অনেক ক্ষেত্রে কম থাকে, যেমন- দৈনিক ০.৩-০.৬ আইইউ/কেজি।

ব্যবহারবিধি: ইনজেকশন দেয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যে শর্করাজাতীয় খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। বাহুর উপরিভাগ, উরু, নিতম্ব বা পেটের চামড়ার নিচে ইনজেকশন প্রয়ােগ করতে হবে। শরীরের অন্যান্য জায়গার চেয়ে পেটের চামড়ার নিচে ইনজেকশন প্রয়ােগ করলে দ্রুত শােষিত হয়। ইনসুলেট আর জরুরী অবস্থায় শুধুমাত্র চিকিত্সক দ্বারা শিরাপথে প্রয়ােগ করা যেতে পারে। তবে ইনসুলেট এন, ইনসুলেট ৩০/৭০ এবং ইনসুলেট ৫০/৫০ কখনাে শিরাপথে প্রয়ােগ করা উচিত নয়।

১. ব্যবহারপূর্ব প্রস্তুতি:

  • হাত পরিস্কার করুন।
  • ভায়ালটিকে হালকাভাবে ঝাঁকিয়ে বা ঘুরিয়ে নিন যাতে এর ভেতরের উপাদানগুলাে সুষমভাবে মিশ্রিত হয়। ইনসুলিন দৃশ্যত স্বাভাবিক আছে কিনা দেখে নিন।
  • নতুন ভায়ালের ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের মুখটি খুলে রাবার প্লাগটি এলকোহল দিয়ে জীবাণুমুক্ত করুন।
  • যে মাত্রার ইনসুলিন প্রয়ােগ করতে হবে সে পরিমাণ বাতাস সিরিঞ্জে প্রবেশ করান।
  • সিরিঞ্জের উঁচটি ভায়ালের ভেতর ঢুকিয়ে সিরিঞ্জের বাতাস প্রবেশ করান।
  • ভায়াল ও সিরিঞ্জ নিম্নমুখী করে ধরে সঠিক মাত্রার ইনসুলিন সিরিঞ্জে টেনে নিন।
  • উঁচটি ভায়াল থেকে বের করার আগে সিরিঞ্জে কোন বুদবুদ আছে কিনা দেখে নিন। থাকলে সিরিঞ্জে চাপ দিয়ে বুদবুদ বের করে নিন।

২. ইনজেকশন দেয়ার স্থান:

  • ইনজেকশন দেয়ার জন্যে এমন একটি স্থান বেছে নিন। যেখানে চামড়া কিছুটা ঢিলেঢালা, যেমন বাহুর উপরিভাগ, উরু, নিতম্ব বা পেট।
  • টিস্যু যাতে নষ্ট না হয় সেজন্যে প্রতিবার ইনজেকশন দেয়ার সময় পূর্ববর্তী ইনজেকশনের স্থান থেকে কমপক্ষে ১ সে.মি. দূরে স্থান বেছে নিন।

৩. ইনজেকশন দেয়ার পদ্ধতি:

  • চামড়ার যেখানে ইনজেকশন দিতে হবে সেখানে এলকোহল দিয়ে পরিস্কার করে নিন এবং চামড়ার সাথে ৪৫° কোণে উঁচটি রাখুন।
  • চামড়ার ভেতর উঁচটি ঢুকিয়ে ইনসুলিন প্রবেশ করান।
  • উঁচটিকে চামড়ার নিচে অন্তত ৬ সেকেন্ড রাখুন যাতে পুরাে মাত্রার ইনসুলিনের প্রবেশ নিশ্চিত হয়।
  • উঁচটিকে বের করে চামড়ার ওপর কয়েক সেকেন্ড মৃদু চাপ প্রয়ােগ করুন।
  • ইনজেকশনের জায়গাটি ঘষবেন না।

১. খাবার গ্রহণের ১৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা পূর্বে সাবকিউটেনিয়াস পথে ব্যবহার করা উচিত। প্রত্যেক রোগীর ক্ষেত্রেই ডাক্তারের পরামর্শে ইনসুলিন গ্রহণের সঠিক সময় নির্ধারণ করা উচিত।

২. ব্যবহারের পূর্বে করণীয় সমভাবে মিশ্রণের জন্য ইনসুলিনের জন্য ইনসুলিন ভায়ালটি পরিস্কার হাতে আলতোভাবে ঝাঁকিয়ে নিন এবং এটি স্বাভাবিক অবস্থায় আছে কিনা লক্ষ্য করুন। নতুন বোতলের ক্ষেত্রে প্লাস্টিক ক্যাপ সরিয়ে রাবার স্টপার জীবাণুমুক্ত করে নিন। প্রয়োজনীয় ইনসুলিনের সমপরিমাণ বাতাস সিরিঞ্জে টেনে নিন এবং ভায়ালে টেনে নেয়া বাতাস গ্রহণ করুন। সিরিঞ্জসহ ভায়ালটি উপর করে ধরুন এবং সিরিঞ্জে সঠিকমাত্রার ইনসুলিন টেনে নিন। সিরিঞ্জে বাতাস আছে কিনা তা লক্ষ্য করুন এবং থাকলে তা বের করে নিন।

৩. ইঞ্জেকশন প্রয়োগের স্থান ইঞ্জেকশান প্রয়োগের জন্য বাহুর উপরিভাগ, উরু, নিতম্ব বা উদর বেছে নেয়া উচিত। কোষ যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেজন্য পূর্ববর্তী স্থান হতে ১ সে.মি দূরে ইঞ্জেকশর প্রয়োগ করা উচিত।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

হঠাৎ করে হাইপােগ্লাইসেমিয়া দেখা দিতে পারে। তীব্র হাইপােগ্লাইসেমিয়া হলে অচেতনতা এবং/অথবা খিচুনি হতে পারে এবং এর ফলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ক্ষণস্থায়ী বা চিরস্থায়ীভাবে নষ্ট হতে পারে, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। সাধারণ অতিসংবেদনশীলতার লক্ষণগুলাে হলাে চামড়ার র্যাশ, চুলকানি, ঘর্মাক্ততা, পাকান্ত্রিক সমস্যা, এনজিওনিউরােটিক ইডেমা, শ্বাসকষ্ট, অস্বাভাবিক হৃদকম্পন ও নিমরক্তচাপ। দ্রুত রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ হলে তীব্র ব্যথাযুক্ত নিউরােপ্যাথি হতে পারে, যা

সাধারণত পরিবর্তনযােগ্য। একই জায়গায় বারবার ইনজেকশন দিলে ইনজেকশন দেয়ার স্থানে লিপপাডিস্ট্রোফি হতে পারে। ইনসুলিন নেয়ার ফলে ইনজেকশন স্থানে লালচে ভাব, ফুলে যাওয়া, চুলকানি, ব্যথা ও হেমাটোমা হতে পারে, যেগুলাের বেশিরভাগই ক্ষণস্থায়ী ও চিকিৎসা অব্যাহত রাখলে চলে যায়। চিকিৎসার শুরুতে ইডেমা হতে পারে যেটিও ক্ষণস্থায়ী।

সতর্কতা

  • অপর্যাপ্ত মাত্রা ব্যবহার বা চিকিৎসা বন্ধ করলে (বিশেষ করে টাইপ ১ ডায়াবেটিস রােগীর ক্ষেত্রে) হাইপারগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। এর ফলে টাইপ ১ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে পরবর্তীতে ডায়াবেটিক কিটোএসিডােসিস হতে পারে যার ফলে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে।
  • ইনসুলিনের মাত্রা প্রয়ােজনের তুলনায় খুব বেশি হলে হাইপােগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। প্রয়ােজন হলে প্রথম মাত্রাতেই অথবা প্রথম কয়েক সপ্তাহ বা মাসের মধ্যে মাত্রা সংশােধন করা যেতে পারে। যেসব রােগীর রক্তের গ্লুকোজ ভালােভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। (যেমন- ইনসুলিনের মাত্রা বাড়ানাের মাধ্যমে) তাদের ক্ষেত্রে হাইপােগ্লাইসেমিয়া হতে পারে বলে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

মিথস্ক্রিয়া

মৌখিক গর্ভনিরোধক ওষুধ, অ্যাড্রিনাল কর্টিকাল হরমোন, থাইরয়েড হরমোন ইত্যাদি ব্যবহার করার সময়, যে ওষুধগুলি রক্তে গ্লুকোজের বৃদ্ধি ঘটাতে পারে; আপনার ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়াতে হতে পারে। হাইপোগ্লাইসেমিক ক্রিয়াকলাপ, স্যালিসিলেট, সালফানিলামাইড এবং অন্যান্য অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্টের সাথে ওষুধ ব্যবহার করার সময়, যার ফলে রক্তের গ্লুকোজ কমে যায়, ইনসুলিনের ডোজ কমিয়ে দিতে হবে।

গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় ইনসুলিন ব্যবহারে কোন বাধা নেই কেননা এটি প্লাসেন্টার সীমা অতিক্রম করে না। স্তন্যদানকারী মায়ের ইনসুলিন ব্যবহারে শিশুর ক্ষতির কোন আশঙ্কা নেই বলে স্তন্যদানকালে ডায়াবেটিস চিকিৎসায় ইনসুলিন ব্যবহারে কোন বাধা নেই। তবে ইনসুলিনের মাত্রা, খাদ্য বা উভয়ই সমন্বয়ের প্রয়ােজন হতে পারে।

বৈপরীত্য

হাইপােগ্লাইসেমিয়াতে এবং ইনসুলিন হিউম্যান বা এই ওষুধের যে কোন উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীল রােগীদের ক্ষেত্রে বিপরীত নির্দেশিত।

অতিরিক্ত সতর্কতা

তীব্র ওভারডোজ

চিকিৎসার সময় ইনসুলিনের অত্যধিক ব্যবহার হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। সামান্য থেকে মাঝারি হাইপোগ্লাইসেমিয়া হঠাৎ ঘটতে পারে। হাইপোগ্লাইসেমিয়া দেখা দিলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা করা জরুরি। আপনার যদি ঘন ঘন হাইপোগ্লাইসেমিয়া হয়, তাহলে আপনাকে হাইপোগ্লাইসেমিয়া এড়াতে সাহায্য করার জন্য থেরাপি, খাদ্য পরিকল্পনা এবং/অথবা ব্যায়াম প্রোগ্রামগুলির সম্ভাব্য পরিবর্তনগুলি নিয়ে আলোচনা করতে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া

অনেক ওষুধই গ্লুকোজের মেটাবলিজমকে প্রভাবিত করে। একারণে চিকিৎসককে অবশ্যই এব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং রােগী কোন ওষুধ গ্রহণ করে কিনা তা সবসময় জেনে নিতে হবে। যে সব ওষুধ ইনসুলিনের চাহিদা কমিয়ে দিতে পারে: মুখে খাওয়ার হাইপােগ্লাইসেমিক ওষুধ, মনােঅ্যামিন অক্সিডেজ ইনহিবিটরস, ননসিলেক্টিভ বেটা-ব্লকারস, এনজিওটেনসিন কনভার্টিং এনজাইম ইনহিবিটরস, স্যালিসাইলেট এবং অ্যালকোহল। যে সব ওষুধ ইনসুলিনের চাহিদা বাড়িয়ে দিতে পারে: থায়াজাইড, গ্লুকোকটিকয়েড, থাইরয়েড হরমােন ও বেটা-সিমপ্যাথােমিমেটিক, গ্রোথ হরমােন ও ডানাজোল। বেটা-ব্লকারসমূহ হাইপােগ্লাইসেমিয়ার লক্ষণগুলাে গােপন করতে পারে এবং হাইপােগ্লাইসেমিয়া থেকে মুক্তি বিলম্বিত করতে পারে। অক্টরিওটাইড/ল্যানরিওটাইড ইনসুলিনের চাহিদা কমাতেও পারে আবার বাড়াতেও পারে। এলকোহল ইনসুলিনের হাইপােগ্লাইসেমিক ক্রিয়া বাড়াতে এবং দীর্ঘমেয়াদী করতে পারে।

সংরক্ষণ

রেফ্রিজারেটরে ২°সে.- ৮°সে. তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করুন। হিমায়িত করবেন না। ব্যবহৃত হচ্ছে এমন কান্ট্রিজ রেফ্রিজারেটরের পরিবর্তে ঠাণ্ডা স্থানে, আলাে ও তাপ থেকে দূরে সংরক্ষণ করুন। ব্যবহৃত ইনসুলিন স্বাভাবিক তাপমাত্রায় একমাস সংরক্ষণ করা যায়।

*** Taking medicines without doctor's advice can cause long-term problems.
Share