Killpreg Kit

মিফেপ্রিস্টোন: প্রোজেস্টেরন রিসেপ্টর সাইটে প্রােজেটেরনের সাথে প্রতিযােগী ক্রিয়ার মাধ্যমে মিফেপ্রিস্টোন প্রজেস্টেরন বিরোধী কার্যকারীতা দেখায়। কতিপয় প্রাণীতে বিভিন্ন মাত্রায় ওযুধটি দিয়ে দেখা গিয়েছে যে, মিফেপ্রিস্টোন এন্ডোজেনাস বা এক্সোজেনাস প্রােজেস্টেরনের ক্রিয়াকে বাধা প্রদান করে এবং মাসিক নিয়মিতকরণ ঘটায়। গর্ভকালীন সময়ে, ওষুমটি প্রােস্টাগ্ল্যান্ডিনের সংকোচনতে তরান্বিত করতে জরায়ু পেশীকে (মায়ােমেট্রিয়াম) উদ্দীপিত করে। এছাড়া মিফেপ্রিস্টোন এন্টিগ্লুকোকর্টিকয়েড ও কিছুটা এন্টিআ্যাড্রোজেনিক কার্যকারিতা দেখায়।

মিসোপ্রোস্টল: মায়ােমেট্রিয়াম কোষ এর নির্দিষ্ট রিসেপ্টরের সাথে প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে প্রােস্টাগ্ল্যান্ডিন E1 মায়ােমেট্রিয়ামের সংকোচন ঘটায়। এই প্রতিক্রিয়ার ফলে ক্যালসিয়ামের ঘনত্বের পরিবর্তন হয়। প্রােস্টাগ্ল্যান্ডিন রিসেপ্টরের সাথে প্রতিক্রিযর মাধ্যমে মিসােপ্রােস্টল সারভিক্সকে নমনীয় করে এবং জরায়ুর সংকোচন করে। ফলে জরায়ুর উপাদানকে বের হতে সাহায্য করে।

ব্যবহার

টারমিনেক্স গর্ভধারণের ৯ সপ্তাহের (৬৩ দিন) মধ্যে গর্ভপাত ঘটাতে নির্দেশিত।

অ্যাবো কিট হচ্ছে মিফেপ্রিস্টোন এবং মিসোপ্রোস্টল এর একটি কম্বিনেশন ওষুধ যা মাসিক নিয়মিতকরণ অথবা গর্ভপাতের জন্য ব্যবহার করা হয়। এখানে মাসিক নিয়মিতকরণ বলতে অস্ত্রোপচার ছাড়া মাসিক নিয়মিত করাকে বোঝায়। সেক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী এবং নিরাপদ মাসিক নিয়মিতকরণ করতে মিফেপ্রিস্টোন এবং মিসোপ্রোস্টল একত্রে ব্যবহার করা প্রয়োজন। মাসিক নিয়মিতকরণ অথবা গর্ভপাতের জন্য অ্যাবো কিট একটি নিরাপদ পন্থা। যথাযথভাবে আধুনিক রীতির ওষুধ সেবনের মাধ্যমে মাসিক নিয়মিতকরণে ঝুঁকি কম এবং এর কোনটাই মায়েদের স্বাস্থ্য অথবা ভবিষ্যত গর্ভধারণে দীর্ঘ মেয়াদী প্রভাব ফেলে না। মাসিক নিয়মিতকরণে অ্যাবো কিট ৯৮ শতাংশ সফল এবং ১ শতাংশেরও কম ক্ষেত্রে গর্ভধারণ চলতে থাকে।

Killpreg Kit এর দাম কত? Killpreg Kit এর দাম

Killpreg Kit in Bangla
Killpreg Kit in bangla
বাণিজ্যিক নাম Killpreg Kit
জেনেরিক মিফেপ্রিস্টোন + মিসোপ্রোস্টল
ধরণ Tablet
পরিমাপ
দাম
চিকিৎসাগত শ্রেণি Drugs acting on the Uterus, Prostaglandin analogues
উৎপাদনকারী Salud Care India Pvt Ltd
উপলভ্য দেশ India
সর্বশেষ সম্পাদনা September 19, 2023 at 7:00 am

খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

Killpreg Kit খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

  • টারমিনেক্স ব্যবহার দ্বারা গর্ভপাত করতে রােগীকে তিন বার ক্লিনিক/হাসপাতালে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
  • কেবলমাত্র গর্ভাবস্থায় ভ্রুণের সঠিক বয়স এবং একটপিক প্রেগনেন্সি নির্ধারণে সক্ষম ডাক্তারের সরাসরি তত্ত্বাবধানে এটি ব্যবহার করতে পারেন। ডাক্তারদের অবশ্যই অসম্পূর্ণ গর্ভপাত অথবা অতিরিক্ত রক্তপাত হলে অস্ত্রোপচার অথবা রক্ত প্রদান এবং রিসাসাইটেশন করার সুবিধা থাকতে হবে (যদি প্রয়ােজন হয়)।
  • প্রথম দিন: মিফেপ্রিস্টোন গ্রহণ চিকিৎসার শুরুতেই ১টি মিফেপ্রিস্টোন ২০০ মি.গ্রা, ট্যাবলেট সেবন করবেন।
  • দ্বিতীয় দিন: মিসােপ্রােস্টল গ্রহণ ডাক্তারের সরাসরি তত্ত্বাবধানে বাসায় ২৪-৪৮ ঘন্টা পর রােগী মিসােপ্রােস্টল ২০০ মাইক্রোগ্রামের ৪টি ট্যাবলেট মুখগহ্বর অথবা জিহ্বার তালুর নিচে গ্রহণ করবে।
  • ৩০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।
  • মিসােপ্রােস্টল গ্রহণের পর রােগীর তলপেটে ব্যথা অথবা পরিপাক তন্ত্রের কোন সমস্যা জনিত কারণে ওষুধের দরকার হতে পারে।
  • খুব বেশি অস্বস্তি, অতিরিক্ত রক্তপাত অথবা কোন প্রতিক্রিয়া ঘটলে কি করতে হবে সেজন্যে রােগীকে ডাক্তারের সরাসরি তত্ত্বাবধানে নিতে হবে।
  • ১৪তম দিন: রােগীকে ক্লিনিক অথবা হাসপাতালে মিফোপ্রিস্টন গ্রহণের আনুমানিক ১৪ দিন পর ডাক্তারের সরাসরি তত্ত্বাবধানে আবার যেতে হবে। এই ভিজিটটি খুবই জরুরী কেননা তখন ক্লিনিক্যাল পর্যবেক্ষণ অথবা আন্ট্রাসনােগ্রাফি করে গর্ভাবস্থার কোন টিস্যু রয়েছে কিনা তা দেখা হয়।
  • যারা তারপরও গর্ভবতী রয়ে যান তাদের ক্ষেত্রে ভ্রুণ বিকলাঙ্গ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • মাসিক নিয়মিতকরণ চিকিৎসা সফল না হলে অস্ত্রোপচার করার কথা বলা আছে অথবা ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে যেতে হবে।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

  • ইহা যােনিপথের রক্তক্ষরণ এবং জরায়ুর সংকোচনের মাধ্যমে গর্ভপাত ঘটায়।
  • প্রায় সব মহিলারা যারা মিফেপ্রিস্টোন এবং মিসােপ্রােস্টল গ্রহণ করেন তারা এক বা একাধিক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হন।
  • পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে যােনিপথের রক্তক্ষরণ এবং জরায়ুর খিচুনি অন্যতম।
  • এছাড়া তলপেটের ব্যথা এবং বমি বমি ভাব, বমি ও ডায়রিয়া উল্লেখযােগ্য।

মিফেকন: এই চিকিৎসার কার্যপ্রণালীতে যোণীপথে রক্তক্ষরণ এবং জরায়ুতে পেশী সংকোচন বেড়ে যায়,যা গর্ভপাতের জন্য প্রয়োজন। বমিবমি ভাব, বমি ও ডায়রিয়া, প্যালভিক এ ব্যথা, মাথাব্যথা, মাথাঘোরা ইত্যাদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়।

মিসোকন: গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন : ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা,বমি বমি ভাব,মাথাব্যথা, পেট ফুলা, ক্ষুধামন্দা, মাথাঘোরা, জরায়ুর সংকোচনে ব্যথা, যোণীপথে রক্তক্ষরণ, প্যালভিক এ ব্যথা হতে পারে।

সতর্কতা

গর্ভবতী রােগী বাতীত অন্য কোন যােগীকে মিফেপ্রিস্টোন ও মিসােপ্রােস্টলের সময় দেয়া উচিত নয়। মিফেপ্রিস্টোন ও মিসােপ্রােস্টলের সমন্বয় কেবলমাত্র নির্দিষ্ট কারণে রােগীকে দেয়া হয়, যা অন্য রোগীর ক্ষেত্রে উপযুক্ত চিকিৎসা নাও হতে পারে। এছাড়া গর্ভবতী বা গর্ভবতী হতে চান এমন মহিলাদের ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হতে পারে। মিফেপ্রিস্টোন দিয়ে চিকিৎসা শুরুর পূর্বে যে কোন ইন্ট্রাইউটেরাইন ডিভাইস (IUD) অপসারণ করা উচিত। মিফেপ্রিস্টোন ও মিসােপ্রােস্টলের সমন্বয় যদি মাসিক নিয়মিতকরণ ঘটাতে না পারে, তবে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মাসিক নিয়মিতকরণ ঘটাতে হবে। মিফেপ্রিস্টোন ব্যবহারের পর চিকিৎসকের শরনাপন্ন হওয়ার পরও যদি গর্ভধারণ প্রক্রিয়া চলমান থাকে তবে বিকলাঙ্গ ভ্রূনের পরিস্ফুটন হতে পারে। এক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে হবে।

মিথস্ক্রিয়া

মিফেপ্রিস্টোন: যদিও নির্দিষ্ট কোন ওষুধ বা খাবারের সাথে মিফেপ্রিস্টোনের প্রতিক্রিয়ার কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এই ওষুধটির বিপাকক্রিয়া CYP 3A4 দ্বারা সম্পন্ন হয়। তাই কিটোকোনাজল, ইট্রাকোনাজল, ইরা থ্রোমাইসিন এবং আঙ্গুরের রস মিফেপ্রিস্টোনের বিপাকক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করতে পারে (মিফেপ্রিস্টোনের মাত্র রক্তরসে বাড়িয়ে দেয়)।

মিসোপ্রোস্টল:  রিউমাটয়েড আর্থাইটিসের প্রশমনে ব্যবহৃত অ্যাসপিরিনের সাথে মিসোপ্রোস্টল তেমন কোন প্রতিক্রিয়া সেখায় না। অ্যাসপিরিনের নির্দেশিত মাত্রার শোষণ, রক্তে ওযুধের মাত্রা এবং প্লাটিলেট বিরােধী কার্যকারিতায় মিসোপ্রোস্টল কোন প্রভাব ফেলে না।

গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার

গর্ভধারন ৬৩ দিনের মধ্যে গর্ভপাত ঘটাতে টারমিনেক্স ব্যবহৃত হয়, তাই গর্ভাবস্থায় এর কোন স্বীকৃত ব্যবহার নেই। মিফেপ্রিস্টোন মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয় কিনা তা এখনও অজানা। যদিও অনেক হরমােন যাদের রাসায়নিক গঠন মিফেপ্রিস্টোন এর মত মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ মেনে দুগ্ধদানকালে ইহা ব্যবহার করতে হবে।

বৈপরীত্য

অনিশ্চিত বা অনুমিত জরায়ু বহির্ভূত গর্ভসঞ্চার বা অপরিক্ষীত এডনেক্সাল মাস্ ইন্ট্রা ইউটেরাইন ডিভাইস (আই ইউ ডি) প্রতিস্থাপন ক্রণিক অ্যাড্রনাল ফেইলিওর মিফেপ্রিস্টোন, মিসােপ্রেস্টল বা অন্যান্য প্রােস্টাগ্লান্ডিনের প্রতি অতি সংবেদনশীল ব্যক্তির ক্ষেত্রে রক্তক্ষরণ জনিত সমস্যা কিংবা এন্টিকোয়াগুলেন্ট থেরাপির ক্ষেত্রে।

অতিরিক্ত সতর্কতা

জেরিয়াট্রিক্স: এটি মেনোপজ-পরবর্তী মহিলাদের মধ্যে নির্দেশিত নয়।

শিশুরোগ (18 বছরের কম বয়সী): পর্যাপ্ত ডেটা নেই 15 বছরের কম বয়সী রোগীদের কার্যকারিতা এবং নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করতে।

তীব্র ওভারডোজ

মিফোভেন্ট (মিফেপ্রিস্টোন): মাসিক নিয়মিতকরণের জন্য ৬০০ মি.গ্রা. এর ৩ গুণ বেশি মাত্রায় মিফোপ্রিস্টন গর্ভবতী নয় এমন মহিলাদের দিয়েও তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। যদি কোন রােগী মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবন করে তবে তার ক্ষেত্রে অ্যাড্রেনাল ফেইলর এর লক্ষণসমূহ দেখা যায়। ইসােভেন্ট ২০০ (মিসােপ্রােস্টল): মাত্রাতিরিক্ত মিসােপ্রােস্টল সেবনের ফলে সাধারণত যে সমস্ত লক্ষণ দেখা যায় সেগুলাে হল- ঘুম ঘুম ভাব, কাঁপুনি, খিচুনি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, জ্বর, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, নিম্ন রক্তচাপ অথবা ব্র্যাডিকার্ডিয়া। সাপাের্টিভ পদক্ষেপ এর মাধ্যমে এসব লক্ষণ সমূহের চিকিৎসা করা উচিত। যেহেতু মিসােপ্রােস্টলের বিপাক অনেকটা ফ্যাটি এসিডের মতই তাই মাত্রাতিরিক্ত মিসােপ্রােস্টল ব্যবহারের চিকিৎসা ডায়ালাইসিস কার্যকর নাও হতে পারে।

অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া

মিফোপ্রিস্টন: যদিও নির্দিষ্ট কোন ওষুধ বা খাবারের সাথে মিফোপ্রিস্টনের প্রতিক্রিয়ার কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এই ওষুধটির বিপাকক্রিয়া CYP3A4 দ্বারা সম্পন্ন হয়। তাই কিটোকোনাজল, ইট্রাকোনাজল ইরাইথ্রোমাইসিন এবং আঙ্গুরের রস মিফোপ্রিস্টনের বিপাকক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করতে পারে (মিফোপ্রিস্টনের মাত্রা রক্ত রসে বাড়িয়ে দেয়)।

মিসােপ্রােস্টল: রিউমাটয়েড আথ্রাইটিসের প্রশমনে ব্যবহৃত এসপিরিনের সাথে মিসােপ্রােস্টল তেমন কোন প্রতিক্রিয়া দেখায় না। এসপিরিনের নির্দেশিত মাত্রার শােষণ, রক্তে ওষুধের মাত্রা এবং প্লাটিলেট বিরােধী কার্যকারিতায় মিসােপ্রােস্টল কোন প্রভাব ফেলে না।

সংরক্ষণ

আলাে থেকে দূরে, শুষ্ক ও ঠাণ্ডা (৩০°সে, নীচে) স্থানে রাখুন। সকল ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।


*** Taking medicines without doctor's advice can cause long-term problems.
Share