লিব্রাসিন এর কাজ, খাওয়ার নিয়ম, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, সতর্কতা - MedicineBangla

লিব্রাসিন

লিব্রাসিন একটি বিস্তৃত বর্ণালীর জীবাণূ প্রতিরোধী ঐষধ। লিব্রাসিন জীবাণু কোষের ভিতরে প্রোটিন উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যাহত করে, কারণ ইহা সরাসরি অণুজীবের রাইবোজোমে ক্ষুদ্র অংশের সাথে আবদ্ধ হয়।ংংলিব্রাসিন নতুন গঠনশীল পেপটাইড চেইনে নতুন অ্যামাইনো এসিডের সংযোজনে বাধা দিয়ে জীবাণুর প্রোটিন উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়।

ব্যবহার

  1. শ্বাসতন্তের সংক্রমন: ফ্যারিঞ্জাইটিস, টনসিলাইটিস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস, সাইনুসাইটিস, মধ্যকর্ণের প্রদাহ (ওটাইটিস মিডিয়া)।
  2. পরিপাকতন্ত্রের সংক্রমণ: তীব্র ডায়রিয়া।
  3. মূত্র-জননতন্ত্রের সংক্রমণ: পাইলোনেফ্রাইটিস, ইউরেথ্রাইটিস্, গনোরিয়া, সিফিলিস।
  4. অন্যান্য সংক্রমণ: চোখের সংক্রমণ, একনি, নরম কোষকলার প্রদাহ।

লিব্রাসিন এর দাম কত? লিব্রাসিন এর দাম

লিব্রাসিন in Bangla
Libracin in bangla
বাণিজ্যিক নাম লিব্রাসিন
জেনেরিক ডক্সিসাইক্লিন
ধরণ ক্যাপসুল, আইভি ইনফিউশন
পরিমাপ 100mg, 200mg/100ml
দাম
চিকিৎসাগত শ্রেণি Tetracycline Group of drugs
উৎপাদনকারী Lisko Pakistan (pvt) Ltd, Libra Infusions Ltd
উপলভ্য দেশ Pakistan, Bangladesh
সর্বশেষ সম্পাদনা September 19, 2023 at 7:00 am

খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

লিব্রাসিন খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

  1. সাধারণ ক্ষেত্রে: প্রথম দিনে ২টি ক্যাপসুল একবারে অথবা ১টি করে দিনে ২ বার। এরপর থেকে প্রতিদিন ১টি করে ক্যাপসুল সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়া পর্যন্ত খেতে হবে। তীব্র সংক্রমণে মাত্রা দ্বিগুণ করা যতে পারে।
  2. গনোরিয়া: প্রারম্ভিকভাবে ১২ ঘন্টা পর পর ২টি ক্যাপসুল সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়া পর্যন্ত খেতে হবে অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

বমি, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, জিহ্বার প্রদাহ, ত্বকে প্রদাহ ও লালচে আভা, রক্তশূণ্যতা, রক্তে ইয়োসিনোফিলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।

সতর্কতা

দাঁত বিকাশের সময় (গর্ভাবস্থার শেষ ত্রৈমাসিক, 12 বছর বয়স পর্যন্ত) টেট্রাসাইক্লাইন ব্যবহারের ফলে দাঁতগুলি বিকৃত হতে পারে। সুতরাং এই সময়কালে টেট্রাসাইক্লাইনগুলি সেবন উচিত নয়।

মিথস্ক্রিয়া

অ্যান্টাসিড, দুধ, অন্যান্য ক্ষার যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রন, পেনিসিলিন, অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্টস, অ্যান্টি-ডায়াবেটিক এজেন্টস, অ্যান্টিকনভুল্যান্টস এবং এনজাইম প্রেরণকারী ড্রাগ এর সাথে নেয়া উচিৎ নয়।

গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার

গর্ভাবস্থা: গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে ডোক্সিসাইক্লিন এড়ানো উচিত, কারণ ভ্রূণের হাড়ের বৃদ্ধিতে দাগ ও প্রভাব উভয়ই ঝুঁকির কারণ।

স্তন্যদান: ডক্সিসাইক্লাইনগুলি মায়ের দুধে প্রবেশ করে এবং এই ওষুধগুলি গ্রহণকারী মায়েরা তাদের সন্তানের বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত নয়।

বৈপরীত্য

টেট্রাসাইক্লিনের প্রতি অতিসংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে লিব্রাসিন দেয়া যাবে না। ১২ বছরের নীচে শিশুদের লিব্রাসিন দেয়া যাবে না। গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মায়েদের লিব্রাসিন দেয়া যাবে না।

অতিরিক্ত সতর্কতা

নবজাতক এবং শিশুরা: ডোক্সিসাইক্লিন দাঁতগুলিকে স্থায়ীভাবে বর্ণহীনতার কারণ হতে পারে এবং তাই নবজাতক এবং 12 বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য contraindication হয়।

প্রবীণ: প্রবীণদের জন্য কোনও বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন।

তীব্র ওভারডোজ

অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া

সংরক্ষণ

এটি ঘরের তাপমাত্রায় শুকনো জায়গায় সংরক্ষণ করা উচিত।

*** Taking medicines without doctor's advice can cause long-term problems.
Share