মেরোনিস এর কাজ, খাওয়ার নিয়ম, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, সতর্কতা - MedicineBangla

মেরোনিস

মেরোপেনেম কার্বাপেনেম গ্রুপের একটি বিস্তৃত বর্ণালীর এন্টিবায়োটিক। কোষ প্রাচীর সংশ্লেষণে বাঁধা দানের মাধ্যমে মেরোপেনেম তার ব্যাকটেরিয়াবিরোধী কার্যকারিতা প্রদর্শন করে। ইহা অধিকাংশ গ্রাম পজেটিভ এবং গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরে প্রবেশ করে পেনিসিলিন বাইন্ডিং প্রোটিন টার্গেটের নিকট পৌছায়। মেরোপোনেম এর ব্যাকটেরিয়াবিরোধী বর্ণালীর মধ্যে রয়েছে অধিকাংশ ক্লিনিক্যালি গুরুত্বপূর্ণ গ্রাম পজেটিভ ও গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়ার বায়ুজীবি ও অবায়ুজীবি স্টেইনসমূহ। মেরোপেনেম সাদা হতে হালকা হলুদ বর্ণের দানাদার পাউডার। ঘনত্বের উপর ভিত্তি করে মেরোপেনেম দ্রবণ বর্ণহীন থেকে হলুদ বর্ণ ধারণ করতে পারে।

ব্যবহার

নিউমােনিয়া, নসােকোমিয়াল নিউমােনিয়া, মূত্রনালীর সংক্রমণ, গাইনােকোলজিক্যাল সংক্রমণ, ত্বক ও ত্বকের কাঠামাের সংক্রমণ, মেনিনজাইটিস, সেপ্টিসেমিয়া, ফেব্রাইল নিউট্রোপেনিয়া এবং অন্যান্য পলিমাইক্রোবিয়াল সংক্রমন।

মেরোনিস এর দাম কত? মেরোনিস এর দাম

মেরোনিস in Bangla
Meronis in bangla
বাণিজ্যিক নাম মেরোনিস
জেনেরিক মেরোপেনেম ট্রাইহাইড্রেট
ধরণ ইনজেকশন
পরিমাপ
দাম
চিকিৎসাগত শ্রেণি Other beta-lactam Antibiotics
উৎপাদনকারী Neiss Labs Pvt Ltd
উপলভ্য দেশ India,
সর্বশেষ সম্পাদনা September 19, 2023 at 7:00 am

খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

মেরোনিস খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

প্রাপ্ত বয়স্ক : মেরোপেনেম ইন্ট্রাভেনাস ইঞ্জেকশন ধীরে ধীরে ৩-৫ মিনিট ধরে অথবা ইন্ট্রাভেনাস ইনফিউশনের মাধ্যমে ১৫-৩০ মিনিট ধরে সাধারণত ৫০০ মি.গ্রা. হতে ১ গ্রাম মাত্রায় প্রতি ৮ ঘন্টা অন্তর প্রয়োগ করতে হয়।

প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য দৈনিক নির্দেশিত মাত্রা :

১. ত্বকের সংক্রমণ : ৫০০ মি.গ্রা. আইভি প্রতি ৮ ঘন্টা অন্তর।

২. হসপিটাল এ্যাকোয়ার্ড নিউমোনিয়া, পেরিটোনাইটিস, সেপটিসেমিয়া, আন্দঃউদরীয় সংক্রমণ ও নিউট্রোপেনিক রোগীদের সংক্রমণে : ১ গ্রাম আইভি প্রতি ৮ ঘন্টা অন্তর।

৩. মেনিনজাইটিস ও সিস্টিক ফাইব্রোসিস রোগীদের নিশ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে : ২ গ্রাম আইভি প্রতি ৮ ঘন্টা অন্তর।প্রাপ্ত বয়স্কদের বৃক্কীয় অকার্যকারিতায়যে সকল রোগীদের ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ার্সে ৫১ মিলি/মিনিট এর চেয়ে কম তাদের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে। ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স মাত্রা (সংক্রমণের ধরণের উপর নির্ভর করে) মাত্রা বিরতিকাল:

  • ৫১ নির্দেশিত মাত্রা প্রতি ৮ ঘন্টা অন্তর
  • ২৬-৫০ নির্দেশিত মাত্রা প্রতি ১২ ঘন্টা অন্তর
  • ১০-২৫ নির্দেশিত মাত্রার অর্ধেক প্রতি ১২ ঘন্টা অন্তর
  • ১০ নির্দেশিত মাত্রার অর্ধেক প্রতি ২৪ ঘন্টা অন্তর

যকৃতের অকার্যকারিতায় ব্যবহার: যকৃতের কার্যকারিতা কম হলেও প্রয়োগমাত্রা পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই।

বয়োবৃদ্ধদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: যে সকল বয়োবৃদ্ধ রোগীর ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স ৫০ মি.লি এর চেয়ে বেশি তাদের ক্ষেত্রে প্রয়োগমাত্রা পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই।

শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: তিন মাসের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে কার্যকারিতা ও সহনীয়তা প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। ফলে এদের ক্ষেত্রে মেরোপেনেম নির্দেশিত নয়।

  • ৩ মাস-১২ বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে : ১০-২০ মি.গ্রা./কেজি প্রতি ৮ ঘন্টা অন্তর।
  • ৫০ কেজির বেশি ওজনের শিশুদের ক্ষেত্রে : প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রয়োগমাত্রা।
  • মেনিনজাইটিস: ৪০ মি.গ্রা./কেজি প্রতি ৮ ঘন্টা অন্তর।
  • ৪-১৮ বছর বয়সী শিশু যাদের সিস্টিক ফাইব্রোসিস আছে: ২৫-৪০ মি.গ্রা./কেজি প্রতি ৮ ঘন্টা অন্তর।

শিশুদের ক্ষেত্রে বৃক্কের অকার্যকারিতায় ব্যবহারের কোন অভিজ্ঞতা নেই।

মেরোপেনেম ৫০০ মি.গ্রা. ভায়ালের পাউডার ১০ মি.লি ওয়াটার ফর ইনজেকশন এবং মেরোপেনেম ১ গ্রাম ভায়ালের পাউডার ২০ মি.লি ওয়াটার ফর ইনজেকশনের সহিত দ্রবীভূত করতে হবে। পাউডার দ্রবীভূত হওয়ার সময় কিছু কার্বণ-ডাই অক্সাইড মুক্ত হয় এবং কিছুটা উচ্চচাপ তৈরী হয়। ব্যবহারের সুবিধার জন্য নিম্নলিখিত উপায়ে সংমিশ্রণ করতে হবে:

স্টেপ ১ : ভায়াল উর্ধ্বমুখী রেখে ১০ মিলি বাতাস বের করে নিন।

স্টেপ ২ : নির্দেশমতো ধীরে ধীরে নির্দেশিত দ্রাবক যোগ করুন। এ সময় সিরিঞ্জ প্লাঞ্জার শক্ত করে চেপে রাখুন। দ্রাবক মেশানো শেষ হলে ভায়াল থেকে নিডেল বের করে নিন। পরিস্কার দ্রবণ পাওয়ার জন্য ভায়াল ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন। এন্টিবায়োটিক দ্রবীভূত হওয়ার সময় কার্বণ ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হয় যা খুব দ্রুত মিশে যায়।

স্টেপ ৩ : ভায়ালের ভিতর উচ্চচাপ তৈরী হবে। সিরিঞ্জ প্লাঞ্জারটি শক্ত করে ধরুন এবং উর্ধ্বমুখী ভায়াল থেকে আনুমানিক ১০ মিলি গ্যাস বের করে নিন।

স্টেপ ৪ : এবার মিশ্রিত দ্রবণসহ ভায়াল উল্টো করে ধরুন। খেয়াল রাখুন ভায়াল থেকে দ্রবণ সিরিঞ্জে প্রবেশের সময় নিডেলটি যেন সব সময়ই দ্রবণের ভিতরে থাকে।

স্টেপ ৫ : সিরিঞ্জে টোকা দিলে কার্বন ডাই অক্সাইড এর বুদ বুদ চলে যাবে, কার্বণ ডাই অক্সাইড তৈরী হওয়ার কারণে অল্প পরিমাণ বুদ বুদ শরীরে প্রবেশ করলেও ক্ষতি হবার সম্ভাবনা নেই।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

প্রদাহ, থ্রম্বােফেবাইটিস, ইঞ্জেকশন স্থানে ব্যথা, ফুসকুড়ি, চুলকানি, আর্টিকারিয়া, পেটে ব্যথা, বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, মাথা ব্যথা, প্যারেস্থেসিয়া।

সতর্কতা

মেরোপেনেম দ্বারা চিকিৎসা শুরুর পূর্বে রোগীর পেনিসিলিন, সেফালোস্পোরিন, অন্যান্য বিটা-ল্যাকটাম অথবা অন্যান্য এলার্জেন এর প্রতি অতিসংবেদনশীলতার পূর্ব ইতিহাস আছে কিনা তা সতর্কতার সাথে জিজ্ঞাসা করতে হবে। মেরোপেনেম এর প্রতি কোন এলার্জিক বিক্রিয়া ঘটলে সাথে সাথে তা প্রত্যাহার করতে হবে।

মিথস্ক্রিয়া

প্রোবেনেসিড সক্রিয় নলাকার নিঃসরণের জন্য মেরোপেনেমের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এবং এইভাবে মেরোপেনেমের নির্মূল অর্ধ-জীবন এবং প্লাজমা ঘনত্ব বৃদ্ধির প্রভাবে রেনাল নিঃসরণকে বাধা দেয়। মেরোপেনেম সিরাম ভালপ্রোইক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে পারে। কিছু রোগীর উপ-থেরাপিউটিক স্তরে পৌঁছানো যেতে পারে।

গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার

প্রত্যাশিত সুফলের মাত্রা, ভ্রুণের কিংবা শিশুর ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে বেশী প্রয়ােজনীয় বলে বিবেচিত না হলে গর্ভাবস্থায় অথবা স্তন্যদানকালে ব্যবহার করা উচিত নয়।

বৈপরীত্য

মেরোপেনেম বা এই গ্রুপের অন্য কোন ঔষধ এর প্রতি অতিসংবেদনশীল অথবা বিটা ল্যাকটাম এর প্রতি অ্যানাফাইলেকটিক বিক্রিয়া প্রদর্শন করে এ রকম রোগীদের ক্ষেত্রে ইহা নির্দেশিত হয়।

অতিরিক্ত সতর্কতা

কিডনি প্রতিবন্ধকতা:

  • CrCl 10-25: স্বাভাবিক মাত্রার অর্ধেক 12 ঘন্টা।
  • < strong>CrCl 26-50: সাধারন ডোজ 12 ঘন্টা।

মেরোপেনেম হেমোডায়ালাইসিস দ্বারা পরিষ্কার করা হয়; যদি মেরোপেনেমের সাথে অবিরাম চিকিত্সার প্রয়োজন হয়, তবে থেরাপিউটিকভাবে কার্যকর প্লাজমা ঘনত্ব পুনরুদ্ধার করার জন্য হেমোডায়ালাইসিস প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে ইউনিট ডোজ (সংক্রমণের ধরণ এবং তীব্রতার উপর ভিত্তি করে) পরিচালনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিসের অধীনে রোগীদের মধ্যে মেরোপেনেম ব্যবহারের কোনো অভিজ্ঞতা নেই।

হেপাটিক বৈকল্য: কোনো ডোজ সমন্বয়ের প্রয়োজন নেই।

তীব্র ওভারডোজ

দুর্ঘটনাক্রমে কোন মাত্রাধিক্য হলে লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা দিতে হবে। যে সকল ব্যক্তির বৃক্কের কার্যক্ষমতা স্বাভাবিক, তাদের ক্ষেত্রে মেরোপেনেম দ্রুত বৃক্কের মাধ্যমে নিঃসরিত হয়। মেরোপেনেম ও ইহার মেটাবলাইটসমূহ সহজেই ডায়ালাইসিস করা যায় এবং কার্যকরভাবে হিমোডায়ালাইসিস দ্বারা নিঃসরিত করা যায়।

অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া

এবাকাভির, ল্যামিভুডিন, জিডােভুডিন, বােন-ম্যারাে সাপ্রেসিভ অথ বা সাইটোটক্সিক এজেন্টস, স্টাভুডিন, ডক্সোরুবিসিন, রিবাভিরিন।

সংরক্ষণ

একটি ঠাণ্ডা এবং শুষ্ক জায়গায় (30° C এর নিচে) সংরক্ষণ করুন। IV ইনজেকশন এবং আধানের জন্য মেরোপেনেমের সদ্য প্রস্তুত সমাধান ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। পুনর্গঠিত পণ্য অবিলম্বে ব্যবহার করা উচিত এবং শুধুমাত্র প্রয়োজন হলেই ফ্রিজে 24 ঘন্টার বেশি সংরক্ষণ করা উচিত নয়৷

*** Taking medicines without doctor's advice can cause long-term problems.
Share