ব্যবহার
নেবিভোলোল নিম্নোক্ত উপসর্গে নির্দেশিত-
উচ্চ রক্তচাপ
অপরিহার্য উচ্চ রক্তচাপের চিকিত্সা
ক্রনিক হার্ট ফেলিওর (সিএইচএফ)
বয়ষ্ক রোগীদের স্ট্যান্ডার্ড থেরাপির পাশাপাশি স্থিতিশীল মাইল্ড এবং মাঝারি ক্রনিক হার্ট ফেইলর এর চিকিত্সা
Nebivolol Hydrochloride এর দাম কত? Nebivolol Hydrochloride এর দাম
খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম
Nebivolol Hydrochloride খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম
নেবিভোলোল এক একজন রোগীর জন্য ভিন্ন ভিন্ন মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে। বেশীর ভাগ রোগীদের ক্ষেত্রেই প্রাথমিক মাত্রা হচ্ছে ৫ মি.গ্রা. দিনে একবার। খাবার আগে অথবা পরে। এটি একক ভাবে অথবা অন্য ঔষধের সাথেও প্রয়োগ করা যায়। যদি এর পরও কোনো রোগীর ক্ষেত্রে রক্তচাপ কামানোর প্রয়োজন পরে তাহলে এর মাত্রা দুই সপ্তাহের ব্যবধানে/মধ্যে ৪০ মি.গ্রা. পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যায়। ঘন ঘন মাত্রা বৃদ্ধিতে অধিক উপকারীতা পাওয়া যাবে এমনটি বলা যায় না।
বৃক্কের অকার্যকারী অবস্থায়: যেহেতু বৃক্কের কার্যকারীতা হ্রাস পেলে বৃক্ক দিয়ে মূত্রের মাধ্যমে নেবিভোলোল শরীর হতে বাহির হতে বেশী সময় প্রয়োজন হয়, তাই এই সকল রোগীদের ক্ষেত্রে নেবিভোলোল ব্যবহার করার সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ। যে সকল রোগীদের ডায়ালাইসিস করা হয় তাদের ক্ষেত্রে নেবিভোলোলের কোন ধরনের গবেষনা সম্পাদন করা হয়নি।যকৃতের অকার্যকর অবস্থায়: যেহেতু যকৃতের অকার্যকর অবস্থায় বিপাক প্রক্রিয়া হ্রাস পায় সেহেতু এ সকল রোগীদের ক্ষেত্রে নেবিভোলোল প্রয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যাদের মাঝারি ধরনের যকৃতের অকার্যকারীতা রয়েছে সে সকল রোগীদের উপর কোন গবেষনা হয়নি।অ্যানথাইল্যাকটিক (তীব্র এলার্জিক) রিয়াকশন: যখন কোন বেটা ব্লকার গ্রহন করা হয়, বিশেষ করে সেই রোগীর ক্ষেত্রে যার পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে মারাত্মক অ্যানথাইলাটিক রিয়াকশনের যা কিনা ঘটে বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি উৎপাদনকারী অনুসঙ্গের দ্বারা, এই রকম রোগীরা খুবই প্রতিক্রিয়াশীল। দূর্ঘটনাজনিত রোগ নির্নয় পরীক্ষাজনিত অথবা চিকিৎসাজনিত কারনে এই ধরনের রোগীরা সাধারন মাত্রায় এই জাতীয় এলার্জিক রিয়েকশনের চিকিৎসার সময়ে উপশম বা প্রশমিত বা সারা দেয় না বা কার্যকর হয় না। যে সকল রোগীদের সম্বন্ধে জানা গেছে যে অথবা জানা যায় নি যে তাদের ফিয়োক্রোমোসাইটোমে রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই বেটা ব্লকার ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই একটি ব্লকার ব্যবহার করতে হবে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
মাথাব্যাথা, বমি বমি ভাব, এবং হৃদস্পন্দন হ্রাস পাওয়া।
সতর্কতা
অনিয়মিত নেবিভোলোল প্রয়োগ বন্ধ করা: যে সকল করোনারী আর্টারীর অসুখ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে নেবিভোলোল তথা অন্য বেটা ব্লকার ব্যবহার করলে তা হঠাৎ করে বন্ধ করা নিষিদ্ধ। অনিয়মিত ভাবে নেবিভোলোল ব্যবহার বন্ধ করার ক্ষেত্রে সিভিয়ার (অতিরিক্ত) হৃদপিন্ডের বেদনা, এনজিনার প্রকোপ এবং মাইওকার্ডিয়াল ইনফার্কশন এর ব্যথা ঘটেছে এবং ভেন্ট্রিকুলার এরিদমিয়া (দক্ষিন নিলয়ের হৃদস্পন্দন জনিত সমস্যা রয়েছে) দেখা দিতে পারে। এ সকল ক্ষেত্রে মাইওকার্ডিয়াল ইনফার্কশন এবং ভেল্টিকুলার এরিদমিয়া সাথে এনজিমা পেকটরিস থাকতেও পারে অথবা নাও থাকতে পারে। এমনকি যে সকল রোগীদের অভার্ট করোনারী আর্টারির ডিজজ নেই এমন রোগীদের ক্ষেত্রেও নেবিভোলোল ব্যবহার বন্ধের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী। অন্যান্য বেটা ব্লকারের মতই, যখন নেবিভোলোল প্রয়োগ বন্ধ করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে তখন অবশ্যই রোগীর শারীরিক অবস্থার প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে এবং দৈহিক পরিশ্রম সিমীত করার জন্য পরামর্শ দিতে হবে। নেবিভোলোল প্রয়োগ বন্ধ ধীরে ধীরে কমপক্ষে এক থেকে দুই সপ্তাহ সময় নিয়ে করতে হবে যখন তা সম্ভব হবে। যদি এনজিনা আবার বৃদ্ধি পায় অথবা তীব্র করোনারী ইনসাফিসিয়েনন্সি (হৃদপিণ্ডের রক্ত প্রবাহের অপ্রতুলতা) দেখা দেয় তখন নেবিভোলোল পুন:রায় দ্রুত প্রয়োগের ব্যপারে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, অন্তত সল্পকালীন সময়ের জন্য হলেও।হৃদযন্ত্রের অকার্যকারীতা: কনজেস্টিভ হার্টফেইলের রোগীদের রক্ত সংবহন প্রক্রিয়া একটি গুরুত্বপূর্ন উপাদান হচ্ছে সিমপ্যাথেটিক স্টিসুলেশন সহায়তা করার জন্য এবং বেটা ব্লকেড মায়োকার্ডিয়াল কন্ট্রাকটাইলিটিকে (হৃদপিন্ডের অস্ত:হৃদপেশীর সংকোচন) স্তিমিত করে এবং আরো বেশী মারাত্মক হৃদযন্ত্রের অকার্যকর করতে ভূমিকা রাখে। যে সকল রোগীর পূর্ব থেকেই কনজেস্টিভ হার্টকেইলর রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই নেবিভোলোল ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। এনজিনা এবং তীব্র মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন যে সকল রোগীদের এনজিনা এবং সম্প্রতি মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন রয়েছে সে সকল রোগীদের উপর নেরিনেবিভোলোল এর কোন গবেষনা হয় নাই। ব্রঙ্কস্পসটিক ভিজিজ (শ্বাস নালীর আক্ষেপ জনিত রোগ) সাধারনত, যে সকল রোগীদের শ্বাসনালীর আক্ষেপ জনিত রোগ রয়েছে তারা বেটা ব্লকার ব্যবহার করেন না।এনেস্থেশিয়া এবং বড় ধরনের শল্যচিকিৎসা: যদি অপারেশনের পূর্বে ও পরে নেবিভোলোল ব্যবহার করা হয় তবে ঐ রোগীকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষন রাখতে হবে, বিশেষ করে যে সকল রোগীদের নিম্নলিখিত চেতনা নাশক ব্যবহার করা হয়েছে যেমন- ইথার, সাইক্লোপ্রোপেন, এক ট্রাইক্লোরোইথেন। যদি বেটা ব্লকার থেরাপী বড় ধরনের সার্জারির পূর্বে বন্ধ করা হয়, তা হৃদযন্ত্রের বিকল হওয়ার প্রবনতা, দরুন রিফ্লেক্স এড্রেনার্জিক স্টিমুলাই এর প্রতি সারা দেওয়া চেতনা নাশক প্রক্রিয়া এবং সার্জারীর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় ।নেবিভোলোল বেটা ব্লকিং কার্যকারীতা বেটা আগোনিষ্ট প্রয়োগে বিপরীতে হতে পারে যেমন বিউটামাইন অথবা আইসোপ্রটেরেনল। বেটা ব্লকার ব্যবহারে যদিও এই সকল রোগীদের ক্ষেত্রে সিভিয়ার নিম্ন রক্ত চাপের সম্ভাবনা রয়েছে। উপর্যপুরী হৃদস্পন্দন পুন:রায় আরম্ভ এবং সচল রাখার প্রতিবন্ধকতা (কঠিন) দেখা দিতে পারে।ডায়াবেটিস এবং হাইপোগ্লাইসেমিয়া: বহুমূত্র রোগ এবং রক্তে শর্করার পরিমান হ্রাস পাওয়া: বেটা ব্লকার ব্যবহারে অনেক ক্ষেত্রে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার অনেক উপসর্গ সমূহ পর্যবেক্ষনে প্রতিবন্ধকতা তৈরী হয় বিশেষ করে ট্রাকিকার্ডিয়া (দ্রুত হৃদস্পন্দন)। ননসিলেক্টভ বেটা ব্লকার সমূহ ইনসুলিন দ্বারা তৈরীকৃত হাইপোগ্লাইসেমিয়া করতে সহায়তা করে। এবং রক্তে গ্লুকোজের (শর্করার) পরিমান স্বাভাবিক করতে, সুস্থ করতে, এটা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি যে নেবিভোলোলের এই ধরনের কার্যকারীতা রয়েছে। তাই এ সকল রোগীর ক্ষেত্রে নেবিভোলোল সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে।থাইরোটক্সিকোসিস: বেটা ব্লকারের ব্যবহর হাইপার থায়রইডিজমের উপস্বর্গ সমূহে মাস্ক (বিভ্রম ঘটায়)। যেমন ট্যাকিকার্ডিয়া (হৃদস্পন্দন স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত করে)। বেটা ব্লকারে সমূহের ব্যবহার হঠাৎ বন্ধ করলে হাইপার থায়রেডিজমের উপসর্গ সমূহ প্রকাশে পেতে পারে অথবা একটি হাইপার থায়রডিজম ঘটতে পারে।পার্শ্বীর রক্ত সংবহন তন্ত্রের রোগ: যে সকল রোগীর পার্শ্বীয় রক্ত সংবহন তন্ত্রের রোগ রয়েছে, সে সকল রোগীর ধমনীর রক্ত বহনের ও অপর্যাপ্ততা পরিলক্ষিত হতে পারে অথবা প্রেসিপিটেট (অধ:ক্ষেপ ঘটাতে পারে) বা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই এই সকল রোগীদের ক্ষেত্রে বেটা ব্লকার ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।নন-ডাইহাইড্রোপাইরিডিন ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার: ভেরাপামিল এবং ডিলটিয়াজেম ইত্যাদি ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার এবং বেটা ব্লকার ব্যবহার করলে অবশ্যই সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে। কারন এতে উল্লেখযোগ্য নেগেটিভ (ঋনাত্মক) আয়নট্রপিক এবং কোনট্রপিক কার্যকারীতা পরিলক্ষিত হতে পারে। তাই এ সকল ক্ষেত্রে ঐ রোগীদের ECG এবং ব্লাড প্রেশার (রক্তচাপ) এর নিবিড় পর্যবেক্ষন করতে হবে।
মিথস্ক্রিয়া
নেবিভোলোল খুবই সতর্কতার সংগে ব্যবহার করতে হবে যখন আন্ত:হৃদপেশীর (মায়োকার্ডিয়াম) প্রশমিত করার জন্য অথবা এভি কন্ডাকশন প্রশমিত করার জন্য কোন ঔষধ ব্যবহার করা হয় যেমন ক্যালসিয়াম চ্যানেল অ্যান্টাগনিস্ট বিশেষ করে ভেরাপমিল ফিনাইল অ্যালকাইল অ্যামিন ডিলটিয়াজেম বেনজোথায়াযেপাইন শ্রেনীর অথবা সেই সকল ঔষধ সারা হৃদপিন্ডের স্পন্দন স্বভাবিক করার জন্য ব্যবহৃত হয় যেমন ডিসোপাইরামাইড। ডিজিটালিস গ্লাইকোসাইড বেটাব্লকার উভয়ই অ্যাট্রিওভেন্ট্রিকুলার কন্ডাকশন এবং হৃদ সঞ্চালন কারী দুটোর একই সাথে ব্যবহার হৃদস্পন্দন কমিয়ে দেয়। নেবিভোলোল অন্য বেটাব্লকারের সাথে ব্যবহার করা অনুচিৎ। যে সকল রোগী ক্যাটেবল অ্যামিন হ্রাসকারী ঔষধ গ্রহন করে যেমন রিসোরপাইন অথবা গুয়ামেথাইডিন, এসব রেগীদের অবশ্যই নিবিড় পর্যবেক্ষন করতে হবে কারন নেবিভোলোল ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট বেটা ব্লকিং কার্যকারীতার জন্য সিমপ্যাথেটিক কর্যকারীতা অতিরিক্ত হ্রাস পেতে পারে।যে সকল রোগী নেবিভোলোল এবং ক্লোনিডাইন ব্যবহার করেন, সে সকল রোগীদের ক্ষেত্রে অবশ্যই কিছুদিনের জন্য নেবিভোলোল ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে। যতদিন পর্যন্ত ধীরে ধীরে ক্লোনিডাইন এর ডোজ হ্রাস করা হয়।CYP 2D6 ইনহিবিটর (প্রশমনকারী) নেবিভোলোল এর সাথে কুইনিডিন, প্রোপাফেনন, ফ্লুক্সেটিন, পারোক্সিটিন ইত্যাদি ব্যবহার করলে সতর্কতার সংগে ব্যবহার করতে হবে।
গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার
বৈপরীত্য
নেবিভোলোল নিম্নলিখিত রোগীদের ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক: যে সকল রোগীদের অতিরিক্ত মৃদু হৃদকম্পন রয়েছে, যে সকল রোগীদের ক্ষেত্রে (ফাস্ট ডিগ্রি হার্টব্লক) হৃদ স্পন্দন প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, কার্ডিওজেনিক সক, ডিকমপেন-সেটেড হৃদকপাটিকার (হৃদপিন্ডের) ক্রিয়াহীনতা জনিত অবস্থা, সিক সাইনাস সিন্ড্রোম (যেখানে একটি স্থায়ী পেসমেকার স্থাপন করা হয়নি) অথবা অতিরিক্ত যকৃতের অকার্যকারীতা (চাইল্ড পউচ>বি), এবং যে সকল রোগীদের প্রতি নেবিভোলোল এবং এর অন্যান্য উপাদান সমূহের প্রতি সংবেদনশীলতা রয়েছে।
অতিরিক্ত সতর্কতা
তীব্র ওভারডোজ
অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া
সংরক্ষণ
আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে, ৩০ ডিগ্রী সেঃ তাপমাত্রার নীচে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।