Octreotida Tosicina এর কাজ, খাওয়ার নিয়ম, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, সতর্কতা - MedicineBangla

Octreotida Tosicina

প্রেডনিসোলন গ্লুকো-কর্টিকয়েড শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত যা প্রাকৃতিক কর্টিকোস্টেরয়েডের সমবৃত্তি সম্পন্ন।

চিকিৎসা কাজে এর প্রধান কার্যকারিতা গ্লুকো-কর্টিকয়েডের প্রদাহ বিরোধী এবং ইমিউনোসাপ্রেসিভ ভূমিকার ওপর নির্ভরশীল।

ব্যবহার

১. এন্ডােক্রাইন ডিসঅর্ডার : কনজেনিটাল এরেনাল হাইপারপ্লাসিয়া, ক্যানসার জনিত হাইপারক্যালসিমিয়া, নন্ সাপুরেটিভ থাইরয়েডাইটিস।

২. রিউম্যাটিক ডিসঅর্ডার : সােরিয়াটিক আথ্রাইটিস, রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস, এ্যাংকাইলােজিং স্পন্ডাইলাইটিস, এ্যাকিউট ননস্পেসেফিক টেনােসাইনােভাইটিস, আঘাত পরবর্তী অস্টিওআথ্রাইটিস, এপিকন্ডাইলাইটিস।

৩. কোলাজেন ডিজিস : সিস্টেমিক লুপাস ইরাইদেমেটোসাস,সিস্টেমিক ডারমাটোমায়ােসাইটিস, এ্যাকিউট রিউম্যাটিক কার্ডাইটিস।

৪. চর্মরােগ: পেমফিংগাস, বুলাস ডারমাটাইটিস হারপেটিফরমিস, স্টিভেন জনসন সিন্ড্রোম, এক্সফোলিয়েটিভ ডারমাটাইটিস, মাইকোসিস ফাংগােয়েস, মারাত্মক সােরিয়াসিস, মারাত্মক সােরিয়াটিক ডার্মাটাইটিস।

৫. এ্যালার্জি : এ্যালার্জিক রাইনাইটিস,ব্রংকিয়াল এ্যাজমা, কনটাক্ট ডার্মাটাইটিস, সেরাম সিনেস, ওষুধের অতি সংবেদনশীলতা।

৬. চোখের রােগ : এ্যালার্জিক কর্ণিয়াল আলসার, হারপিস জোস্টার অপথ্যালমিকাস, ইউভিয়াইটিস এবং কোরােয়েডাইটিস, কেরাটাইটিস, কোরিওরেটিনাইটিস, আইরাইটিস এবং আইরিডাে সাইকাইটিস।

৭. শ্বসনতন্ত্রের রােগ : সারকোয়েডােসিস, লােয়ের সিন্ড্রোম, বেরিলিওসিস, মারাত্মক যক্ষ্মায় আক্রান্ত রােগীর ক্ষেত্রে যক্ষ্মার অন্য চিকিৎসার পাশাপাশি, এ্যাসপিরেশন নিউমােনিয়া।

৮, হেমাটোলজিক্যাল ডিসঅর্ডার : ইডিওপ্যাথিক থ্রম্বােসাইটোপেনিক পারপুরা, সেকেন্ডারী থ্রম্বােসাইটোপেনিয়া, হেমােলাইটিক এ্যানিমিয়া, কনজেনিটাল হাইপােপ্লাস্টিক এ্যানিমিয়া।

৯, নিওপ্লাস্টিক ডিজিস : লিউকেমিয়া এবং লিম্ফোমা ।

১০. ইডেমাজনিত অবস্থা : লুপাস ইরাইদেমেটোসাস অথবা নেফ্রোটিক সিন্ড্রোম জনিত প্রােটিনিউরিয়ার ক্ষেত্রে ডাইউরেসিস করতে ব্যবহৃত হয়।

১১. গ্যাস্ট্রোইন্টেসটিনাল ডিজিস : আলসারেটিভ কোলাইটিস, রিজিওনাল এন্টারাইটিস।

১২. স্নায়ুতন্ত্রের রােগ : মাল্টিপল স্লেরােসিস এর লক্ষণসমূহ তীব্র আকারে দেখা দিলে ।

১৩, অন্যান্য : টিউবারকুলাস মেনিনজাইটিস, স্নায়ুতন্ত্র অথবা হৃৎপিণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত ট্রাইকিনােসিস।

Octreotida Tosicina এর দাম কত? Octreotida Tosicina এর দাম

Octreotida Tosicina in Bangla
Octreotida Tosicina in bangla
বাণিজ্যিক নাম Octreotida Tosicina
জেনেরিক প্রেডনিসোলন (Oral / Injection)
ধরণ
পরিমাপ
দাম
চিকিৎসাগত শ্রেণি Glucocorticoids
উৎপাদনকারী
উপলভ্য দেশ Spain
সর্বশেষ সম্পাদনা January 7, 2025 at 1:49 am

খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

Octreotida Tosicina খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

  • সাধারণভাবে প্রতিদিন ৫ মি.গ্রা, থেকে ৬০ মি.গ্রা. পর্যন্ত বিভাজিত মাত্রায় সেব্য। পরবর্তীতে প্রয়ােজন অনুযায়ী মাত্রা সমন্বয় করতে হবে।
  • প্রেডনিসােলােনের দীর্ঘ মেয়াদী সেবন প্রযােজ্য নয়।
  • ধীরে ধীরে মাত্রা কমিয়ে এর সেবন বন্ধ করতে হবে।
  • মাল্টিপল স্লেরােসিস - প্রতিদিন ২০০ মি.গ্রা. করে ১ সপ্তাহ। এরপর একদিন পর পর ৮০ মি.গ্রা. করে পরবর্তী এক মাস সেবন করতে হবে।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

ফ্লুইড এবং ইলেক্ট্রোলাইট: সােডিয়াম রিটেনশন, ফ্লুইড রিটেনশন, কনজেসটিভ হার্ট ফেইলিউর, হাইপােক্যালেমিক অ্যালক্যালােসিস, হাইপারটেনশন।

অস্থি ও মাংসপেশী: মাংসপেশীর দুর্বলতা, স্টেরয়েড মায়ােপ্যাথি, মাংসপেশী শুকিয়ে যাওয়া, অস্টিওপােরােসিস, টেনে ছিড়ে যাওয়া, ভার্টিব্রাল কম্প্রেসন ফ্রাকচার, লম্বা অস্থিসমূহের প্যাথলােজিক্যাল ফ্রাকচার।

পাকস্থলী ও পরিপাকতন্ত্র : পারফোরেসন এবং রক্তপাতের সম্ভাবনাসহ পেপটিক আলসার, প্যানক্রিয়েটাইটিস, পেট ফুলে যাওয়া, বিভিন্ন এনজাইম যেমন- অ্যালানিন ট্রান্সঅ্যামাইনেজ অ্যালক্যালাইন ফসফাটেজ ইত্যাদির বেড়ে যাওয়া।

ত্বক : দেরীতে ঘা শুকানাে, ত্বক সহজে ফেটে যাওয়া, ত্বকের লালচে দাগ, মুখশ্রীতে লালচে দাগ, অতিরিক্ত ঘাম ।

বিপাক : প্রােটিনের ক্যাটাবলিজম বেশী হওয়ার দরুন নাইট্রোজেনের পরিমান কমে যাওয়া।

স্নায়ুতন্ত্র : প্যাপিলিডিমাসহ ইন্ট্রাক্রেনিয়াল প্রেসার বেড়ে যাওয়া, খিচুনী, মাথা ঘুরা, মাথা ব্যথা। এন্ডােক্রাইন : অনিয়মিত মাসিক, কুশিনয়েড স্টেট, শিশুদের দৈহিক বৃদ্ধিতে বাধা, সুপ্ত বহুমুত্র রােগের লক্ষণ।

চোখ : পােস্টরিয়র সাবক্যাপসুলার ক্যাটারেক্ট, ইন্ট্রাঅকুলার প্রেসার বৃদ্ধি, গ্লুকোমা, এক্সঅপথ্যালমাস।

অন্যান্য : আর্টিক্যারিয়া এবং অন্যান্য অ্যালার্জি,অ্যানাফাইলেকটিক এবং অতি সংবেদনশীলতার রিএ্যাকশন।

সতর্কতা

অ্যাড্রেনাল গ্রন্থির নিঃসরণে জটিলতা, সংক্রমন, শিশু ও বয়ঃসন্ধিতে, যক্ষ্মার পূর্ব ইতিহাস, উচ্চ রক্তচাপ, বৃক্ক ও যকৃতে কোন সমস্যা থাকলে, পারিবারিক ইতিহাস, ডায়াবেটিস মেলাইটাস থাকলে এর ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

মিথস্ক্রিয়া

হেপাটিক মাইক্রোসোমাল এনজাইম ইনডুসারস: যে ওষুধগুলি লিভারের এনজাইম আনয়নের কারণ হতে পারে যেমন ফেনোবারবিটোন, ফেনাইটোইন, রিফাম্পিসিন, রিফাবুটিন, কার্বামাজেপাইন, প্রিমিডোন এবং অ্যামিনোগ্লুটেথিমাইড মেবোলোটাসিজমের থেরাপিউটিক কার্যকারিতা হ্রাস করে। .

নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগস: কর্টিকোস্টেরয়েড থেরাপির সময় ইনডোমেথাসিনের মতো আলসারোজেনিক ওষুধের একযোগে ব্যবহার Gl আলসারেশনের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

অ্যান্টিকোয়াগুলেন্টস: কর্টিকোস্টেরয়েড দ্বারা অ্যান্টিকোয়ুল্যান্টের প্রতিক্রিয়া হ্রাস বা কম প্রায়ই বৃদ্ধি পেতে পারে।

টিকা: প্রতিবন্ধী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের লাইভ ভ্যাকসিন দেওয়া উচিত নয়। অন্যান্য ভ্যাকসিনের প্রতি অ্যান্টিবডি প্রতিক্রিয়া হ্রাস পেতে পারে।

অয়েস্ট্রোজেন: অস্ট্রোজেনগুলি গ্লুকোকোর্টিকয়েডের প্রভাবকে শক্তিশালী করতে পারে এবং স্থিতিশীল ডোজ পদ্ধতিতে ইস্ট্রোজেন যুক্ত করা বা প্রত্যাহার করা হলে ডোজ সামঞ্জস্যের প্রয়োজন হতে পারে।

অন্যান্য: হাইপোগ্লাইসেমিক এজেন্ট (ইনসুলিন সহ), অ্যান্টি-হাইপারটেনসিভ এবং মূত্রবর্ধকগুলির পছন্দসই প্রভাবগুলি কর্টিকোস্টেরয়েড এবং অ্যাসিটাজোলামাইড, লুপ মূত্রবর্ধক, থিয়াজাইড মূত্রবর্ধক এবং কার্বেনক্সোলোনের হাইপোক্যালেমিক প্রভাবের বিরোধী। উন্নত করা হয়।

গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার

গর্ভাবস্থায় ব্যবহার: প্রাণীদের গর্ভাবস্থায় ক্ষতিকারক প্রভাবের প্রমাণ রয়েছে।

স্তন্যদানের ক্ষেত্রে ব্যবহার করুন: কর্টিকোস্টেরয়েডগুলি স্তনের দুধে অল্প পরিমাণে নিষ্কাশিত হয় এবং স্টেরয়েডগুলির ফার্মাকোলজিকাল ডোজ গ্রহণকারী মায়েরা শিশুদের অ্যাড্রিনাল দমনের লক্ষণগুলির জন্য সাবধানে পর্যবেক্ষণ করা উচিত।

অধিক গুরুত্ব বিবেচনা ব্যতীত এ সকল ক্ষেত্রে এ ওষুধ সেবন করা উচিত নয়।

বৈপরীত্য

ছত্রাক সংক্রমণ এবং অতি সংবেদনশীলতা।

কেবলমাত্র জীবন রক্ষার প্রশ্ন ব্যতীত নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্র সমূহে প্রেডনিসোলন ব্যবহার নিষিদ্ধঃ

  • পেপটিক আলসার।
  • অস্টিওপোরোসিস।
  • সংক্রমন।
  • ডায়াবেটিস মেলাইটাস।
  • মানসিক সমস্যা।

অতিরিক্ত সতর্কতা

বয়স্কদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: বয়স্ক রোগীদের চিকিৎসা, বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদি হলে, বৃদ্ধ বয়সে কর্টিকোস্টেরয়েডের সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, বিশেষ করে অস্টিওপোরোসিস, ডায়াবেটিস এর আরও গুরুতর পরিণতির কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা করা উচিত। , উচ্চ রক্তচাপ, হাইপোক্যালেমিয়া, সংক্রমণের সংবেদনশীলতা এবং ত্বক পাতলা হয়ে যাওয়া। প্রাণঘাতী প্রতিক্রিয়া এড়াতে নিবিড় ক্লিনিকাল তত্ত্বাবধান প্রয়োজন।

থেরাপিউটিক প্রভাব অর্জনের জন্য হাইপারথাইরয়েডিজম রোগীদের ডোজ বাড়াতে হতে পারে।

তীব্র ওভারডোজ

গ্লুকোকোর্টিকয়েডগুলির অত্যধিক মাত্রার পরে তীব্র বিষাক্ততা এবং / বা মৃত্যুর রিপোর্ট বিরল। নির্দিষ্ট কোন প্রতিষেধক পাওয়া যায় না; চিকিত্সা সহায়ক এবং লক্ষণমূলক। সিরাম ইলেক্ট্রোলাইটগুলি পর্যবেক্ষণ করা উচিত।

অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া

ফেনােবার্বিটাল, ফেনাইটয়েন ও রিফামপিসিন এর সাথে সেবনের ক্ষেত্রে প্রেড়নিসােলনের মাত্রা বাড়ানাে প্রয়ােজন। ট্রলিন্ডােমাইসিন এবং কিটোকোনাজলের সাথে সেবনের ক্ষেত্রে এর মাত্রা সমন্বয় প্রয়ােজন। এছাড়া এ্যাসপিরিন এবং রক্ত জমাট বাধাদানকারী ওষুধের সাথে সেবনের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন প্রয়ােজন।

সংরক্ষণ

20-25 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে স্টোর করুন

*** Taking medicines without doctor's advice can cause long-term problems.
Share