ব্যবহার
Omnic Valeant বিনাইন প্রােস্টেটিক হাইপারপ্লাসিয়া (বিপিএইচ)-এর কার্যকরী লক্ষণসমূহের চিকিৎসায় নির্দেশিত।
Omnic Valeant এর দাম কত? Omnic Valeant এর দাম
খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম
Omnic Valeant খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম
প্রতিদিন রাতে খাবার গ্রহণ করার পর Omnic Valeant ০.৪ মিগ্রা (১টি ক্যাপসুল) সেবন করতে হবে। প্রয়ােজনে ২ থেকে ৪ সপ্তাহ পর মাত্রা Omnic Valeant ০.৮ মিগ্রা (২টি ক্যাপসুল) দিনে একবার পর্যন্ত বাড়ানাে যেতে পারে। যদি Omnic Valeant ০.৪ মিগ্রা অথবা ০.৮ মিগ্রা মাত্রা সেবন কয়েক দিনের জন্য বন্ধ করা হয় অথবা বিঘ্নিত হয়, তাহলে পুনরায় চিকিৎসার ক্ষেত্রে Omnic Valeant ০.৪ মিগ্রা (১টি ক্যাপসুল) দিনে একবার মাত্রায় শুরু করা উচিত। দাঁড়ানাে অথবা বসা অবস্থায় সম্পূর্ণ ক্যাপসুল ১ গ্লাস পানি (১৫০ মিলি-এর সমতুল্য) -এর সাথে সেবন করা উচিত। কার্যকরী উপাদানের মােডিফাইড রিলিজ গুণাগুণের ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনার কারণে ক্যাপসুল ভেঙ্গে বা চিবিয়ে খাওয়া উচিত নয়।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
ট্যামসুলােসিন ব্যবহারে নিম্নলিখিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলাে বিবৃত হয়েছেঃ ঝিমুনী, অস্বাভাবিক ইজাকুলেশন এবং মাঝে মাঝে মাথাব্যথা, অস্থিরতা, পসচিউরাল নিম্ন রক্তচাপ এবং বুক ধড়ফড়।
সতর্কতা
প্রথম মাত্রা সেবন করার পর অর্থোস্টেটিক প্রােভােকেশন পরীক্ষার সময় ক্ষণস্থায়ী পসচিউরাল লক্ষণসমূহ মাঝে মাঝে ঘটে। মিকচুরেশন সিনকোপ আছে এমন রােগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার উপদেশিত নয়।গাড়ী চালনা এবং যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ক্ষমতার উপর প্রভাব: ট্যামসুলােসিন-এর গাড়ী চালনা অথবা যন্ত্রপাতি ব্যবহারের উপর ক্ষতিকর প্রভাব আছে এমন কোন তথ্য নেই। তদুপরি, এই ক্ষেত্রে রােগীদের সজাগ থাকতে হবে যে, ঝিমুনী হতে পারে।
মিথস্ক্রিয়া
অন্যান্য আলফা ১-এড্রিনােসেপ্টর এন্টাগােনিষ্টস্-এর সাথে একই সংগে প্রয়োগে নিম্ন রক্তচাপ-এর প্রভাব হতে পারে। এটিনােলল, এনালাপ্রিল অথবা নিফেভিপিন-এর সাথে একই সংগে প্রয়ােগে কোন আন্তঃক্রিয়া দেখা যায়নি। সিমেটিডিনের সহিত প্রয়ােগে রক্তে ট্যামসুলােসিনের মাত্রা বৃদ্ধি এবং ফ্রুসেমাইডের সহিত প্রয়ােগে ট্যামসুলােসিনের মাত্রা হ্রাস পায়, কিন্তু স্বাভাবিক সীমার মধ্যে বজায় থাকলে মাত্রা পরিবর্তনের প্রয়ােজন নেই। যকৃতের মাইক্রোসােমাল ফ্রেকশন (সাইটোক্রোম পি৪৫০-এর সাথে সম্পৃক্ত ওষুধ বিপাকীয় এনজাইম সিস্টেম বৈশিষ্ট্যযুক্ত)-এর সাহায্যে ইনভিট্রো সমীক্ষায় এমাইট্রিপটাইলিন, সালবিউটামল, গ্লিবেনাক্লামাইড এবং ফিনাস্টেরাইড-এর সহিত কোন আন্তঃক্রিয়া দেখা যায়নি। তদুপরি, ডাইক্লোফেনাক এবং ওয়ারফেরিন ট্যামসুলােসিন-এর নিঃসরণ মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে ।
গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে Omnic Valeant নির্দেশিত নয়।
বৈপরীত্য
যে সমস্ত রোগীর ট্যামসুলােসিন এর প্রতি অতিসংবেদনশীলতা, অর্থোস্ট্যাটিক হাইপোটেনশন, যকৃতের অপ্রতুলতার ইতিহাস রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এটি বিরূপ নির্দেশিত। অন্যান্য আলফা১ ব্লকারের মত ট্যামসুলােসিন দ্বারা চিকিৎসার ক্ষেত্রে রক্ত চাপ কমতে পারে, খুবই কম সংখ্যক ক্ষেত্রে মূর্ছা যাবার ঘটনাও ঘটতে পারে। তাই অর্থোস্ট্যাটিক হাইপোটেনশনের লক্ষণ (মাথা ঘোরা, দূর্বল লাগা) দেখা দিলে সাথে সাথে বসে কিংবা শুয়ে পড়তে হবে যতক্ষণ না অবস্থা স্বাভাবিক হয়। গাড়ী চালানো, যন্ত্রপাতি চালানো কিংবা যে কোন ঝুঁকিপূর্ণ কাজ যে ক্ষেত্রে মূর্ছা গেলে বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে তা পরিহার করা উচিত। ট্যামসুলােসিন দিয়ে চিকিৎসা শুরু করার পূর্বে বিপিএইচ এর মত একই রকম লক্ষণ দেখা দেয় এমন রোগের অনুপস্থিতি সম্বন্ধে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। তাই চিকিৎসা শুরুর আগে এবং পরে নিয়মিত ডিজিটাল রেকটাল এগজামিনেশন এবং যখন প্রয়োজন পি.এস.এ করে দেখতে হবে।
অতিরিক্ত সতর্কতা
তীব্র ওভারডোজ
তীব্র অতিমাত্রার কোন ঘটনা জানা যায়নি। তদুপরি, অতিমাত্রার পর তীব্র নিম্ন রক্তচাপ হতে পারে এবং সেক্ষেত্রে কার্ডিওভাস্কুলার সহায়তা দিতে হবে। রােগীকে শােয়ানাে হলে রক্তচাপ পুনঃস্থাপিত করা যাবে এবং হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসা যাবে। যদি ইহা সহায়তা না করে তবে ভলিওম এক্সপেনডার এবং যদি প্রয়ােজন হয় ভেসােপ্রেসর দেওয়া যেতে পারে। বৃক্ক কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং স্বাভাবিক সহায়ক পদক্ষেপ নিতে হবে। যেহেতু, ট্যামসুলােসিন প্লাজমা প্রোটিনের সাথে খুবই দৃঢ় ভাবে সংযুক্ত হয়, সেহেতু ডায়ালাইসিস সাহায্য নাও করতে পারে। ইমপেডি এ্যাবসরপ্শন- এ পদক্ষেপ নিতে হবে, যেমন বমি ঘটানাে। যখন অনেক পরিমাণে অতিমাত্রা ঘটে তখন গ্যাস্ট্রিক ল্যাভেজ দিতে হবে এবং কার্যকরী চারকোল এবং একটি অসমােটিক লেক্সেটিভ, যেমন সােডিয়াম সালফেট দেওয়া যেতে পারে।
অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া
সংরক্ষণ
আলাে থেকে দূরে, ঠান্ডা ও শুকনাে স্থানে ৩০°সে, তাপমাত্রার নীচে সংক্ষরণ করুন।