ওমটেক

ওমটেক একটি প্রতিস্থাপিত বেনজিমিডাজল জাতীয় ঔষধ, যা গ্যাস্ট্রিক এসিড নিঃসরণে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে। এটি গ্যাস্ট্রিক প্যারাইটাল কোষের হাইড্রোজেন-পটাশিয়াম-এ্যাডিনোসিন ট্রাইফসফেটেজ এনজাইম সিষ্টেম (H+/K+ ATPase)-কে বাধা দিয়ে গ্যাস্ট্রিক এসিড নিঃসরণে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। মুখে সেবনের পর ওমটেকের এসিড নিঃসরণ বিরোধী কার্যক্রম ১ ঘন্টার মধ্যে শুরু হয়, যা ২ ঘন্টায় সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছে এবং ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত বিরাজ করে। যখন এটি সেবন বন্ধ করা হয়, তখন এসিড নিঃসরণ প্রক্রিয়া ৩-৫ দিনের মধ্যে পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে।

ব্যবহার

গ্যাস্ট্রোইসােফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ যেমন - রিফ্লাক্স ইসােফেগাইটিস, এসিড রিফ্লাক্স ডিজিজ, বিনাইন (মারাত্মক নয় এমন) গ্যাস্ট্রিক এবং ডিওডেনাল আলসার, হেলিকোব্যাকটার পাইলােরি জনিত পেপটিক আলসার ডিজিজ, এসিড এসপিরেশন প্রতিরােধে, জোলিঞ্জারএলিসন সিনড্রোম এবং নন-স্টেরয়ডাল প্রদাহরােধী ওষুধ দ্বারা চিকিৎসার ফলে সৃষ্ট গ্যাস্ট্রিক আলসার এবং ডিওডেনাল আলসার এর চিকিৎসায় নির্দেশিত। সেকলাে ৪০ আইভি ইঞ্জেকশন প্রধানতঃ জোলিঞ্জারএলিসন সিনড্রোম এর চিকিৎসায় নির্দেশিত । তাছাড়া ইহা গ্যাস্ট্রিক আলসার, ডিওডেনাল আলসার এবং রিফ্লাক্স ইসােফেগাইটিস এর চিকিৎসায় ব্যবহার করা যায়।

ওমটেক এর দাম কত? ওমটেক এর দাম

ওমটেক in Bangla
Omtech in bangla
বাণিজ্যিক নাম ওমটেক
জেনেরিক ওমিপ্রাজল
ধরণ ট্যাবলেট
পরিমাপ
দাম
চিকিৎসাগত শ্রেণি Proton Pump Inhibitor
উৎপাদনকারী Pharmatech Healthcare
উপলভ্য দেশ India
সর্বশেষ সম্পাদনা September 19, 2023 at 7:00 am

খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

ওমটেক খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

  • ক্যাপসুল এবং ট্যাবলেট: খাবারের পূর্বে গ্রহণ করা উচিত।

নির্দেশনা মাত্রা ও প্রয়ােগবিধি:

  • গ্যাস্ট্রোইসােফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ স্বাভাবিক মাত্রায় ওমটেক ২০ মি.গ্রা, দিনে ১ বার ।
  • অধিকাংশ রােগী ৪ সপ্তাহ পরে আরােগ্য লাভ করে।
  • যেসব রােগীদের ক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিৎসায় পূর্নভাবে রােগ নিরাময় হয় না সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৪-৮ সপ্তাহ চিকিৎসায় রােগ নিরাময় হয়।
  • রিফ্লাক্স ইসােফেগাইটিস রােগীদের চিকিৎসায় অন্যান্য ওষুধ ব্যবহারে যেখানে পর্যাপ্ত সাফল্য পাওয়া যায়নি, সেক্ষেত্রে ওমটেক দৈনিক ৪০ মি.গ্রা. মাত্রায় সেব্য।
  • ৮ সপ্তাহের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে নিরাময় হয়। পরবর্তীতে দৈনিক ২০ মি.গ্রা. মাত্রায় সেবন করা যেতে পারে। এসিড রিফ্লাক্স ডিজিজ। দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসায় ওমটেক দৈনিক ১০ মি.গ্রা. মাত্রায় নির্দেশিত।
  • লক্ষণসমূহ পূনরাবৃত্তি হলে দৈনিক ২০ মি.গ্রা. পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে। ডিওডেনাল এবং বিনাইন গ্যাস্ট্রিক আলসার, ওমটেক দৈনিক ২০ মি.গ্রা.।
  • অধিকাংশ রােগী ৪ সপ্তাহ পরে আরােগ্য লাভ করে।
  • অধিকাংশ বিনাইন গ্যাস্ট্রিক আলসারের রােগী ৮ সপ্তাহ পরে আরােগ্য লাভ করে।
  • জটিল অথবা লক্ষণসমূহের পূনরায় আবির্ভাব হলে ওমি বৃক্কের অকার্যকারিতা: মাত্রা নিয়ন্ত্রণের প্রয়ােজন নেই।
  • যকৃতের অকার্যকারিতা: যেহেতু যকৃতের অসমকার্যকারিতার রােগীদের ক্ষেত্রে ওমটেক এর প্লাজমা হাফ-লাইফ বেড়ে যায় তাই ১০-২০ মি.গ্রা. দৈনিক মাত্রা যথেষ্ট।
  • বয়ষ্কদের ক্ষেত্রে: মাত্রা নিয়ন্ত্রণের প্রয়ােজন নেই।
  • শিশুদের ক্ষেত্রে: ওমটেক আইভি ব্যবহারের পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায়নি।

ওমটেক ওরাল ক্যাপসুল চিবানাে বা গুড়াে করা উচিত নয় এবং সম্পূর্ণ গিলে খাওয়া উচিত।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

ওমটেক ভালভাবে সহনীয়। মৃদু এবং অস্থায়ী পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, তলপেটে ব্যথা, অস্বস্থিবােধ, মাথা ঝিম্ ঝিম্ করা এবং মাথা ব্যথা। এসব ক্ষেত্রে সেবন মাত্রা কমানাের প্রয়ােজন নেই।

সতর্কতা

যখন গ্যাস্ট্রিক আলসার ধারণা করা হয়, তখন ওমটেক দিয়ে চিকিৎসা শুরু করার পূর্বে ম্যালিগ্ন্যান্সি আছে কিনা পরীক্ষা করা উচিৎ, কারণ ওমটেক ম্যালিগ্ন্যান্সির লক্ষণসমূহ উপশম করতে পারে এবং ম্যালিগন্যান্সি নির্ণয়ে বিঘ্ন ঘটতে পারে।

মিথস্ক্রিয়া

ওমটেক ডায়াজিপাম, ফেনিটয়েন এবং ওয়ারফেরিন-এর রেচন বিলম্বিত করে; সুতরাং, ওমটেক ও ওয়ারফেরিন বা ফেনিটয়েন একত্রে সেবন করলে ওয়ারফেরিন বা ফেনিটয়েন-এর মাত্রা কমানোর প্রয়োজন হয়। থিওফাইলিন, প্রোপ্রানোলল অথবা এন্টাসিড-এর সাথে ওমটেক-এর মিথষ্ক্রিয়ার কোন তথ্য নেই।

গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার

তিনটি প্রসপেকটিভ এপিডেমিওলােজিক্যাল স্ট্যাডি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে যে, ওমটেক ব্যবহারে কোন ধরণের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অথবা ভ্রুণ / সদ্যজাত শিশু স্বাস্থ্যের উপর কোন প্রতিক্রিয়া নেই। সুতরাং ওমটেক গর্ভাবস্থায় ব্যবহার নিরাপদ। ওমটেক মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয় কিন্তু পরিমিত মাত্রায় প্রয়ােগে শিশুর উপর কোন প্রভাব ফেলে না।

বৈপরীত্য

ওমটেক এর যেকোন উপাদানের প্রতি সংবেদনশীল রােগীদের ক্ষেত্রে প্রতিনির্দেশিত।

অতিরিক্ত সতর্কতা

রেনাল বৈকল্য: কোনো ডোজ সমন্বয়ের প্রয়োজন নেই

হেপাটিক বৈকল্য: 10-20 mg/day

পেডিয়াট্রিক ব্যবহার: শিশুদের নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা প্রতিষ্ঠিত হয়নি

তীব্র ওভারডোজ

ওমটেক মাধিক্যের লক্ষণসমূহ অস্থায়ী। ক্লিনিক্যালি বিপদজনক কোন বিষয় এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। মাত্রাধিক্যের কোন নির্দিষ্ট এন্টিডট জানানাই। ওমটেক প্রচুর পরিমাণে প্লাজমা প্রােটিনের সাথে বন্ধন অবস্থায় থাকে। তাই দ্রুত ডায়ালাইজ করা যায় না। মাত্রাধিক্য হলে লক্ষণভিত্তিক এবংসাপাের্টিভ চিকিৎসা দেওয়া উচিত।

অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া

ওমটেক ব্যবহারের সময় ডায়াজিপাম, ফেনাইটয়েন এবং ওয়ারফারিন এর নিঃসরণ বিলম্বিত হয়। যখন ওমটেক সেবনের প্রয়ােজন হয় তখন ওয়ারফারিন এবং ফেনাইটয়েন। এর মাত্রা কমাতে হতে পারে। থিউফাইলিন, প্রােপ্রানােলল অথবা এন্টাসিড এর সাথে ওমটেক এর ইন্টারঅ্যাকশনের কোন প্রমাণ নাই।

সংরক্ষণ

এটি আলাে থেকে দূরে, ঠান্ডা ও শুনাে স্থানে রাখাউচিত। সকল ঔষধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখা উচিত।

*** Taking medicines without doctor's advice can cause long-term problems.
Share