প্যাকমল
প্যাকমলের ব্যথানাশক এবং জ্বর উপশমক গুণাবলীর সাথে কিছুটা প্রদাহবিরোধী কার্যকারিতাও রয়েছে। প্যাকমল (অ্যাসিটামিনোফেন) প্রাথমিকভাবে সিএনএসে কাজ করে বলে মনে করা হয়, ইহা প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন এর সিনথেসিস কে ইনহিবিট করার মাধ্যমে COX-1, COX-2, and COX-3 এনজাইম এর সিনথেসিস কে ইনহিবিট করে। প্যাকমল একটি প্যারা এমিনোফেনল ডেরিভেটিভ, যার ব্যথানাশক এবং জ্বর উপশমক গুণাবলীর সাথে কিছুটা প্রদাহ বিরোধী কার্যকারিতা রয়েছে। প্যাকমল সর্বাপেক্ষা বেশি ব্যবহৃত এবং সর্বাপেক্ষা নিরাপদ ও দ্রূত কার্যকরী ব্যথানাশকদের একটি। এটি অধিক সহনশীল ও এসপিরিনজনিত অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ামুক্ত।
ব্যবহার
জ্বর, সর্দিজ্বর এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা । মাথাব্যথা, দাঁত ব্যথা, কানের ব্যথা, শরীর ব্যথা, স্নায়ু প্রদাহ জনিত ব্যথা, ঋতুস্রাব জনিত ব্যথা এবং মচ্কে যাওয়ার ব্যথা। অন্ত্রে ব্যথা, কোমরে ব্যথা, অস্ত্রোপচার পরবর্তী ব্যথা, প্রসব-পরবর্তী ব্যথা, ক্যান্সার জনিত দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, প্রদাহ জনিত ব্যথা ও শিশুদের টিকা দেবার পরের জ্বর ও ব্যথা। বাত ও অষ্টিওআর্থাইটিস- এর দরুণ সৃষ্ট ব্যথা ও অস্থিসংযাগ সমূহের অনমনীয়তা।
প্যাকমল এর দাম কত? প্যাকমল এর দাম
সুচিপত্র
বাণিজ্যিক নাম | প্যাকমল |
জেনেরিক | প্যারাসিটামল |
ধরণ | ইনজেকশন |
পরিমাপ | |
দাম | |
চিকিৎসাগত শ্রেণি | Non opioid analgesics |
উৎপাদনকারী | Paksons Pharmaceuticals |
উপলভ্য দেশ | India |
সর্বশেষ সম্পাদনা | January 7, 2025 at 1:49 am |
খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম
প্যাকমল খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম
ট্যাবলেট :
- প্রাপ্ত বয়স্ক : ১-২ টি ট্যাবলেট ৪-৬ ঘন্টা পর পর দিনে সর্বোচ্চ ৮ টি ট্যাবলেট।
- শিশু (৬-১২ বছর) : আধা থেকে ১টি দিনে ৩-৪ বার ।
সিরাপ এবং সাসপেনশন :
- শিশু (৩ মাসের নীচে) : ১০ মি.গ্রা. হিসাবে (জন্ডিস থাকলে ৫ মি.গ্রা. হিসাবে) দিনে ৩-৪ বার।
- ৩ মাস - ১ বছরের নীচে : ১/২ থেকে ১ চা চামচ দিনে ৩-৪ বার।
- ১-৫ বছর : ১-২ চা চামচ দিনে ৩-৪ বার।
- ৬-১২ বছর : ২-৪ চা চামচ দিনে ৩-৪ বার।
- প্রাপ্তবয়স্ক: ৪-৮ চা চামচ দিনে ৩-৪ বার।
- এক্স আর ট্যাবলেট : ২ টি করে ট্যাবলেট দিনে ৩ বার।
- সাপাজেটরি : ১-৫ বছর : ১২৫-২৫০ মি.গ্রা. দিনে ৪ বার।
- ৬-১২ বছর বয়সের শিশুদের জন্য : ২৫০-৫০০ মি.গ্রা. দিনে ৪ বার।
- প্রাপ্ত বয়স্ক ও ১২ বছরের বেশী বয়সের শিশুদের জন্য : ০.৫-১ গ্রাম দিনে ৪ বার।
- পেডিয়াট্রিক ড্রপস্ : শিশু : ৩ মাস বয়স পর্যন্ত : ০.৫ মি.লি. (৪০ মি.গ্রা.), দিনে ৪ বার ।
- ৪-১১ মাস বয়স পর্যন্ত : ১ মি.লি. (৮০ মি.গ্রা.), দিনে ৪ বার। ১-২ বছর বয়স পর্যন্ত : ১.৫ মি.লি. (১২০ মি.গ্রা.), দিনে ৪ বার।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
প্যাকমল সেবনে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। তবে কোন ক্ষেত্রে হেমাটোলজিক্যাল প্রতিক্রিয়া, অগ্নাশয়ের প্রদাহ, চামড়ায় ফুসকুড়ি ও অন্যান্য অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে।
সতর্কতা
কিডনি ও লিভার বৈকল্যতায় প্যাকমল সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত। লিভারের উপর প্রভাব আছে এমন ঔষধের সাথে প্যাকমল ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
মিথস্ক্রিয়া
বারবিচুরেট জাতীয় ও বিষন্নতারোধী ট্রাইসাইক্লিক জাতীয় ঔষধ গ্রহণকারী এবং এলকোহল পানকারী রোগীদের ক্ষেত্রে অধিকমাত্রায় সেবন করলে প্যাকমলের বিপাক কমে যেতে পারে। এলকোহল, মাত্রাধিকভাবে সেবন কৃত প্যাকমল দ্বারা সৃষ্ট লিভারের বিষক্রিয়া আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। খিচুনিবিরোধী ঔষধ এবং স্টেরয়েডজাতীয় জন্মনিরোধকের দীর্ঘ মেয়াদী ব্যবহার লিভার এনজাইমকে প্রণোদিত করে; ফলে এ জাতীয় ঔষধের সাথে একত্রে গ্রহণে ‘ফার্স্ট-পাস’ বিপাক ত্বরান্বিত হয় এবং প্যাকমলের কার্যকরী মাত্রা অর্জন ব্যহত হয়।
গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার
প্যাকমল গর্ভাবস্থা এবং স্তন্যদানের সমস্ত পর্যায়ে নিরাপদ।
বৈপরীত্য
প্যাকমল লিভার দ্বারা বিপাক হয় তাই অসুস্থ লিভার ফাংশন এ ভুগলে এটি সুপারিশ করা হয় না। কিডনি সমস্যা, রেনাল ফাংশন বৈকল্য এবং হেপাটিক রোগ (ভাইরাল হেপাটাইটিস) এটি সুপারিশ করা হয় না।
অতিরিক্ত সতর্কতা
তীব্র ওভারডোজ
অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া
সংরক্ষণ
ট্যাবলেট, সিরাপ এবং সাসপেনশন: হালকা এবং আর্দ্রতা থেকে সুরক্ষিত শীতল ও শুকনো স্থানে রাখুন।সাপোজিটরি: 25 ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে স্টোর করুন সমস্ত ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।