Powerpod Dt এর কাজ, খাওয়ার নিয়ম, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, সতর্কতা - MedicineBangla

Powerpod Dt

সেফপোডক্সিম একটি তৃতীয় প্রজন্মের সেফালোস্পোরিন, যার বিটা ল্যাকটাম্যাজের প্রতি স্থায়ীত্ব এবং গ্রাম পজিটিভ এবং গ্রাম নিগেটিভ ব্যাকটেরিয়ার বিপক্ষে ভালো কার্যকারিতা আছে। এটি সংক্রমিত জীবাণু চিহ্নিত হওয়ার পূর্বেই সংক্রমণের চিকিৎসায় নির্দেশিত। এটি একটি প্রোড্রাগ যার এক্টিভ মেটাবোলাইট হচ্ছে সেফপোডক্সিম। প্রায় ২৯ থেকে ৩৩% সেফপোডক্সিম ১২ ঘন্টার মধ্যে অপরিবর্তিত অবস্থায় মূত্র দ্বারা নির্গত হয়।

ব্যবহার

শ্বাসতন্ত্রের উর্ধ্বভাগের সংক্রমণ, শ্বাসতন্ত্রের নি¤œভাগের সংক্রমণ, মূত্রনালীর সংক্রমণ (গনোরিয়াসহ) ত্বক ও নরম কলার সংক্রমণ, স্ত্রী প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণ, তীব্র মধ্য কর্ণের প্রদাহ, বাল্যকালীন সংক্রমণ।

Powerpod Dt এর দাম কত? Powerpod Dt এর দাম

Powerpod Dt in Bangla
Powerpod Dt in bangla
বাণিজ্যিক নাম Powerpod Dt
জেনেরিক সেফপোডক্সিম প্রোক্সেটিল
ধরণ Tablet
পরিমাপ
দাম
চিকিৎসাগত শ্রেণি Third generation Cephalosporins
উৎপাদনকারী Wockhardt Limited
উপলভ্য দেশ India
সর্বশেষ সম্পাদনা January 7, 2025 at 1:49 am

খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

Powerpod Dt খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

সেফপোডক্সিম সাসপেনশন শিশুদের খাবারের কথা বিবেচনা না করেই যেকোন সময় সেবন করতে দেয়া যায়। শিশুদের জন্য নির্দেশিত মাত্রা অনুযায়ী একবার অথবা দুইবার ৫-১৪ দিন পর্যন্ত রোগের তীব্রতা অনুযায়ী নিন্মোক্তভাবে সেব্য:

  1. শিশু: ১৫দিন-৬মাস : মি.গ্রা/কেজি শরীরের ওজন, ১২ ঘন্টা পর পর।।
  2. ৬ মাস-২ বছর : ৪০ মি.গ্রা. ১২ ঘন্টা পর পর।
  3. ৩ বছর-৮ বছর : ৮০ মি.গ্রা. ১২ ঘন্টা পর পর।
  4. ৯ বছরের অধিক : ১০০ মি.গ্রা. ১২ ঘন্টা পর পর।
  5. কিডনির অসমকার্যকারিতায় : যাদের মারাতœক রেনাল ইমপেয়ারম্যান্ট আছে (ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স<৩০ মি.লি/মিনিট)তাদের ওষুধ সেবনের হার দিনে ১ বার করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। লিভার সিরোসিসের রোগীদের জন্য মাত্রা নিয়ন্ত্রণের কোন প্রয়োজন নেই।

সাসপেনশন তৈরীর নিয়মাবলী:৫০ মিলি সাসপেনশন তৈরীর জন্য : বোতলের শুকনো পাউডারের সাথে ৩০ মিলি (সরবরাহকৃত ড্রপারের ৬ ড্রপার অথবা কাপের মাধ্যমে হিসেব করে) ফুটানো ঠান্ডা পানি মেশান। সহজভাবে প্রস্তুতির জন্য পানি দুবার মেশান। প্রতিবার পানি মেশানোর পর বোতলটি ভালভাবে ঝাঁকিয়ে নিন যাতে বোতলের সম্পূর্ণ পাউডার সাসপেনশনে পরিণত হয়।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

সেফপোডক্সিম এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সাধারণত : খুব কম পরিলক্ষিত হয়। তবে নি¤œলিখিত পাশর্^ প্রতিক্রিয়াগুলো হতে পারে। যেমন- ডায়রিয়া, বমিভাব, ত্বক ও ভ্যাজাইনার ফাংগাস। সংক্রমণ, পেটে ব্যাথা, পেটে ব্যথা, মাথাব্যথা, পেশীতে ব্যথা, বদহজম, মাথা ঝিম ধরা, মাথা ঘুরানো, কাশি ইত্যাদি। বাচ্চাদের ত্বকের ফাংগাস সংক্রমণ বয়স্কদের চেয়ে বেশি দেখা গেছে।

সতর্কতা

রেনাল অপর্যাপ্ততার কারনে যেসব রোগীদের ট্রানজিয়েন্ট অথবা পার্সিস্টেন্ট মূত্র নির্গমন কমে গেছে তাদের ক্ষেত্রে সেফপোডক্সিম-এর দৈনিক মাত্রা কমানো উচিত। যে সমস্ত রোগী শক্তিশালী ডাইউরেটিকস গ্রহন করছেন তাদের ক্ষেত্রে সেফপোডক্সিম সতর্কতার সহিত ব্যবহার করা উচিত। অন্যান্য এন্টিবায়োটিকের মত, দীর্ঘ সময় ধরে সেফপোডক্সিম ব্যবহারে সংবেদনশীল নয় এমন জীবাণুর বৃদ্ধি বেড়ে যেতে পারে।

মিথস্ক্রিয়া

সেফপোডক্সিম উচ্চ মাত্রার এন্টাসিড (সোডিয়াম বাইকার্বোনেট এবং এ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড) বা H2 ব্লকারের সাথে যুগপৎ ব্যবহারে প্লাজমা লেভেল এবং শোষনের পরিমান কমিয়ে দেয়। প্রোবেনেসিড সেফপোডক্সিম-এর রেনাল নিঃসরণ বন্ধ করে।

গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার

গর্ভবর্তী মহিলাদের উপর এই ওষুধ সেবনের পর্যাপ্ত তথ্য নেই। কাজেই কেবলমাত্র সুনির্দিষ্টভাবে প্রয়োজন হলে এই ওষুধ ব্যবহার করা উচিত। যেহেতু সেফপোডক্সিম বুকের দুধে নি:সৃত হয়, সেহেতু স্তন্যদানকারী মাকে ওষুধ দেওয়ার আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, বাচ্চাকে দুধ থেকে বিরত রাখবেন, না-কি মা এই ওষুধ সেবন থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন।

বৈপরীত্য

যারা সেফপোডক্সিম অথবা সেফালোস্পোরিন গ্রুপের অন্য কোন এন্টিবায়োটিকের প্রতি অতি সংবেদনশীল তাদের জন্য এই ওষুধ প্রতিনির্দেশিত।

অতিরিক্ত সতর্কতা

তীব্র ওভারডোজ

সেফপোডক্সিমের মাত্রাধিক্যের কারণে বিষক্রিয়া হতে পারে। বিষক্রিয়ার উপসর্গের মধ্যে বমিভাব, বমি, পেটের উপরের দিকে প্রচন্ড ব্যথা, ডায়রিয়া ইত্যাদি হতে পারে।

অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া

সংরক্ষণ

ক্যাপসুল: হালকা এবং আর্দ্রতা থেকে সুরক্ষিত 30 ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে স্টোর করুন।

সাসপেনশন পাউডার: 25 ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে স্টোর করুন, আলো এবং আর্দ্রতা থেকে সুরক্ষিত।

পুনর্গঠনের পরে: সাসপেনশনটি ঘরের তাপমাত্রায় রাখলে 7 দিনের মধ্যে এবং ফ্রিজে রাখা হলে 14 দিনের মধ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে (2 ° থেকে 8 ডিগ্রি সেলসিয়াস)। সবসময় বোতলটি শক্তভাবে বন্ধ রাখুন।

*** Taking medicines without doctor's advice can cause long-term problems.
Share