Proxyvon Plus
প্যারাসিটামল বি.পি. ৩২৫ মি.গ্রা.এবং ট্রামাডল হাইড্রোক্লোরাইড বি.পি. ৩৭.৫ মি.গ্রা.।
ট্রামাডল হাইড্রোক্লোরাইড একটি অপয়েড এনালজেসিক যা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের ওপর কাজ করে। এটি নির্দিষ্টভাবে মিউ (µ), ডেলটা (δ) এবং কাপ্পা (κ) অপয়েড রিসেপ্টর এর এগোনিস্ট যার মিউ (µ) অপয়েড রিসেপ্টর এর প্রতি আসক্তি অধিক। মরফিনের মত শ্বসনতন্ত্রের প্রতি এর কোনো বিরুপ প্রভাব নেই। প্যারাসিটামলের এনালজেসিক কার্যকারিতার পদ্ধতি নির্দিষ্টভাবে জানা নেই তবে তা কেন্দ্রীয় এবং প্রান্তীয় উভয় ভাবে হতে পারে।
ব্যবহার
মাঝারী থেকে তীব্র ব্যথায় নির্দেশিত, যেমন-অস্ত্রোপচার পরবর্তী ব্যথা, মাঝারি থেকে তীব্র মেরুদন্ডের ব্যথা, অস্টিও আর্থ্রােইটিকের ব্যাথা, দাঁতের ব্যথা, মাংসপেশীর ব্যথা ইত্যাদি।
Proxyvon Plus এর দাম কত? Proxyvon Plus এর দাম
সুচিপত্র
বাণিজ্যিক নাম | Proxyvon Plus |
জেনেরিক | প্যারাসিটামল + ট্রামাডল হাইড্রোক্লোরাইড |
ধরণ | Capsule |
পরিমাপ | |
দাম | |
চিকিৎসাগত শ্রেণি | Combined analgesics |
উৎপাদনকারী | Dr Reddys Lab (wockhardt) |
উপলভ্য দেশ | India |
সর্বশেষ সম্পাদনা | January 7, 2025 at 1:49 am |
খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম
Proxyvon Plus খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম
এবং সেবনবিধি:
- খাবারের আগে বা পরে যেকোন সময় সেবন করা যেতে পারে।
- মাঝারী অথবা মাঝারী থেকে তীব্র ব্যথায় ১-২টি ট্যাবলেট প্রতি ৪ অথবা ৬ ঘন্টা পর পর এবং দিনে সর্বোচ্চ ৮টি ট্যাবলেট সেবন করা যায়।
- তীব্র ব্যথায় স্বল্প মেয়াদী (৫ দিন অথবা এর কম)।
- চিকিৎসায় ২টি ট্যাবলেট প্রতি ৪ অথবা ৬ ঘন্টা পর পর (দিনে সর্বোচ্চ ৮টি ট্যাবলেট) সেবন করা যায়।
ট্রামাডল হাইড্রোক্লোরাইড ১৮ বছরের নিচের রোগীদের জন্য নির্দেশিত নয়।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
নিম্নলিখিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে: এসথেনিয়া, অবসন্নতা, হটফ্লাস, ঝিমুনি, মাথাব্যথা, কাঁপুনি, পেটব্যাথা, কোষ্টকাঠিন্য, ডায়রিয়া,পেট ফাঁপা, মুখগহ্বরের শুষ্কতা, বমি ,এসথেনিয়া, উৎকণ্ঠা, দ্বিধা, ইউফোরিয়া, নিষ্ঠুমতা, বিচলতা, সোমনোলেন্স , পুরাইটাস, র্যাশ,অতিরিক্ত ঘাম ইত্যাদি।
সতর্কতা
- এটি গাড়ী চালানো অথবা মেশিন পরিচালনার মত জটিল কাজ করতে যে পরিমান মানসিক ও শারীরিক দক্ষতার প্রয়োজন হয় তার ব্যঘাত ঘটাতে পারে।
- এই ওষুধটি অ্যালকোহলযুক্ত কোমল পানীয়র সাথে সেবন করা উচিত নয়।।
- অন্যান্য ট্রামাডল অথবা প্যারাসিটামল যুক্ত ওষুধের সাথে এবং OTC ওষুধের সাথে একত্রে এই ওষুধটি সেবন করা উচিত নয়। ট্রানকুলাইজার, হিপনোটিকস অথবা অন্যান্য অপিয়ড এনালজেসিক এর সাথে সেবন করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
মিথস্ক্রিয়া
গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার
প্রেগনেন্সি ক্যাটাগরি-সি। গর্ভবতী মহিলাদের উপর এখনাে কোন পর্যাপ্ত এবং সুনিয়ন্ত্রিত তথ্য পাওয়া যায়নি। কেবল জ্বনের ক্ষতির ঝুকির তুলনায় চিকিৎসায় মায়ের উপকারের পরিমান অতিমাত্রায় বিবেচিত হলে, কেবলমাত্র সে ক্ষেত্রেই গর্ভাবস্থায় এ ওষুধটি ব্যবহার করা যেতে পারে। যেহেতু নবজাতক এবং ইনফেন্টদের উপর এ ওষুধটির নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত নয়, তাই অবসটেট্রিক্যাল প্রি-অপারেটিভ মেডিকেশন এবং ডেলিভারী পরবর্তী এনালজেসিক হিসেবে নার্সিং মায়েদের ক্ষেত্রে এ ওষুধটি নির্দেশিত নয়।
বৈপরীত্য
ট্রামাডল, প্যারাসিটামল অথবা এ ওষুধের অন্য যে কোন উপাদান বা অপিয়ড -এর প্রতি সংবেদনশীল রোগীকে এ ওষুধটি দেয়া উচিত নয়। যে সকল ক্ষেত্রে অপিয়ড প্রতিনির্দেশিত, সেসব ক্ষেত্রে এ ওষুধটিও প্রতিনির্দেশিত।
অতিরিক্ত সতর্কতা
শিশু এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে ব্যবহার:
- শিশুদের ক্ষেত্রে এ ওষুধটির নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা এখনো নিরীক্ষা করা হয়নি।
- সাধারণত বয়স্কদের ক্ষেত্রে মাত্রা নির্ধারণে সতর্ক হওয়া উচিত।
- সমসাময়িক অন্য রোগ এবং এ সকল রোগের বিবিধ চিকিৎসার কারণে যকৃত, কিডনি অথবা হৃদপিন্ডের কার্যকারিতা হঠাৎ করে কমে যাওয়ার সম্ভাবনার উপর পর্যালোচনা করে মাত্রা নির্ধারণ করা উচিত।
বৃক্ক সংক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার:
- বৃক্কের সমস্যাজনিত রোগীদের ক্ষেত্রে নিরীক্ষিত নয়।
- যে সকল রোগীদেরক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স ৩০ মি.লি./ মিনিট এর কম তাদের ক্ষেত্রে দুটি মাত্রার মধ্যবর্তী সময় বাড়াতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে যেন প্রতি ১২ ঘন্টায় ২টি ট্যাবলেটের বেশি না হয়।
যকৃতের সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রেঃ
- যকৃতের সমস্যাগ্রস্থ রোগীদের উপর নিরীক্ষিত নয়। তাই এর ব্যবহার এ ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে নির্দেশিত নয়।
তীব্র ওভারডোজ
অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া
সংরক্ষণ
বাচ্চাদের থেকে দূরে শীতল ও শুকনো জায়গায় রাখুন।