রেফনক এর কাজ, খাওয়ার নিয়ম, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, সতর্কতা - MedicineBangla

রেফনক

রেফনক একটি প্রতিস্থাপিত বেনজিমিডাজোল জাতীয় ঔষধ যা গ্যাষ্ট্রিক এসিড নিঃসরণে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে। রেফনক গ্যাস্ট্রিক প্যারাইটাল কোষের “প্রোটন-পাম্প” হিসেবে পরিচিত হাইড্রোজেন-পটাশিয়াম-এডিনোসিন ট্রাইফসফেটেজ এনজাইম সিস্টেমকে বাধা দিয়ে গ্যাস্ট্রিক এসিড নিঃসরণে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে।

ব্যবহার

বিনাইন (মারাত্মক না এমন) গ্যাস্ট্রিক আলসার, ডিওডেনাল আলসার, গ্যাট্রোইসােফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিসিজ, নন-স্টেরয়ডাল দাহরােধী ওষুধ দ্বারা চিকিৎসার ফলে সৃষ্ট আলসার, অত্যধিক গ্যাস্ট্রিক এসিড নিঃসরণজনিত জটিলতা যেমন * জোলিঞ্জারএলিসন সিনড্রোম, হেলিকোব্যাকটার পাইলােরি দমনে এন্টিবায়ােটিকের সঙ্গে এবং H2, রিসেপটর এন্টাগােনিস্ট প্রতিরােধী আলসার ।

রেফনক এর দাম কত? রেফনক এর দাম

রেফনক in Bangla
Refnok in bangla
বাণিজ্যিক নাম রেফনক
জেনেরিক প্যান্টোপ্রাজল
ধরণ ট্যাবলেট
পরিমাপ
দাম
চিকিৎসাগত শ্রেণি Proton Pump Inhibitor
উৎপাদনকারী Nordic Formulations Pvt Ltd
উপলভ্য দেশ India
সর্বশেষ সম্পাদনা September 19, 2023 at 7:00 am

খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

রেফনক খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

  • ট্যাবলেট নির্দেশনা সেবনবিধি ও মাত্রা: বিনাইন (মারাত্মক নয় এমন) গ্যাস্ট্রিক আলসার দৈনিক ৪০ মি.গ্র, করে সকালে ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত সেব্য, যা আরও ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে যদি আলসার পুরােপুরি ভাল না হয়।
  • ডিওডেনাল আলসার দৈনিক ৪০ মি.গ্রা. করে সকালে ২ সপ্তাহ পর্যন্ত সেব্য, যা আরও ২ সপ্তাহ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে যদি আলসার পুরােপুরি ভাল না হয়।
  • গ্যাস্ট্রোইসােফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিসিজ: দৈনিক ২০-৪০ মি.গ্রা, করে সকালে ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত সেব্য, যা আরাে ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে যদি আলসার পুরােপুরি ভাল না হয়।
  • নন-স্টেরয়ডাল প্রদাহরােধী ওষুধজনিত পেপটিক আলসার দৈনিক ২০ মি.গ্রা.।
  • অত্যধিক গ্যাস্ট্রিক এসিড নিঃসরণজনিত জটিলতা যেমন - জোলিঞ্জার-এলিসন সিনড্রোম প্রাথমিকভাবে দৈনিক ৮০ মি.গ্রা. (বয়স্কদের ক্ষেত্রে দৈনিক সর্বোচ্চ ৪০ মি.গ্রা.), ৮০ মি.গ্রা. এর অধিক মাত্রার ক্ষেত্রে দিনে দুটি বিভক্ত মাত্রায় দেয়া উচিত।

হেলিকোব্যাকটার পাইলােরি দমন: হেলিকোব্যাকটার পাইলােরি দমনে এন্টিবায়ােটিকের সঙ্গে ৪০ মি.গ্রা. দিনে ২ বার। H2রিসেপটর এন্টাগােনিস্ট প্রতিরােধী আলসার দৈনিক ৪০ মি.গ্রা. করে ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত সেব্য। পরবর্তীতে দৈনিক ২০ মি.গ্রা. করে সেবনমাত্রা অব্যহত রাখা যেতে পারে, যা দৈনিক ৪০ মি.গ্রা. পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে যদি আবার আলসারের লক্ষন দেখা দেয়।

বাচ্চাদের ক্ষেত্রে :

  • বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্যানটোপ্রাজল ব্যবহারে উপযােগিতা এখনাে প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
  • ইঞ্জেকশন ডিওডেনাল আলসার এবং গ্যাস্ট্রিক আলসার, দৈনিক ৪০ মি.গ্রা, করে ৭-১০ দিন।
  • গ্যাস্ট্রোইসােফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিসিজ: দৈনিক ৪০ মি.গ্রা. করে ৭-১০ দিন।
  • পেপটিক আলসারজনিত পূনরায় রক্তপাত প্রতিরােধে প্রাথমিকভাবে ৮০ মি.গ্রা., পরবর্তীতে ৮ মি.গ্রা./ঘন্টা হারে ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত।
  • এসিড এসপিরেশন প্রতিরােধে ৮০ মি.গ্রা, প্রতি ১২ ঘন্টা অন্তর প্রথম ২৪ ঘন্টা। পরবর্তীতে ৪০ মি.গ্রা, প্রতি ১২ ঘন্টা অন্তর। জোলিঞ্জার-এলিসন সিনড্রোম এবং অত্যধিক গ্যাস্ট্রিক এসিড নিঃসরণজনিত রােগের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসায় ৮০ মি.গ্রা, প্রতি ১২ ঘন্টা অন্তর, প্রয়ােজনে ৮০ মি.গ্রা. প্রতি ৮ ঘন্টা অন্তর বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
  • এসিড নিঃসরণে পরিমাণের উপর নির্ভর করে উচ্চমাত্রা নির্ধারণ করতে হবে। আন্তঃশিরা পথে প্যানটোপ্রাজল যত দ্রুত সম্ভব ওরাল চিকিৎসা দ্বারা পরিবর্তন করা উচিত।

IV ইনজেকশন ব্যবহারের জন্য নির্দেশনা: প্যানটোপ্রাজল লাইওফিলাইজড পাউডার এবং 0.9% সোডিয়াম ক্লোরাইড ইনজেকশন শুধুমাত্র শিরায় প্রবেশের জন্য এবং অন্য কোন রুট দিয়ে দেওয়া উচিত নয়। রেফনক IV ইনজেকশন একটি ধীর শিরায় ইনজেকশন হিসাবে দেওয়া উচিত। পাউডারযুক্ত শিশিতে 10 মিলি 0.9% সোডিয়াম ক্লোরাইড ইনজেকশন যোগ করে IV ইনজেকশনের সমাধান পাওয়া যায়। পুনর্গঠনের পর ইনজেকশনটি অন্তত 2 থেকে 5 মিনিটের মধ্যে ধীরে ধীরে দিতে হবে। শুধুমাত্র সদ্য প্রস্তুত সমাধান ব্যবহার করুন। পুনর্গঠিত দ্রবণটি সর্বোচ্চ 4 ঘন্টা ঘরের তাপমাত্রায় (30 ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত) সংরক্ষণ করা যেতে পারে।

IV ইনফিউশন ব্যবহারের জন্য নির্দেশনা: রেফনক IV আধান দেওয়া উচিত প্রায় 15 মিনিটের মধ্যে একটি শিরায় আধান। Pantoprazole IV ইনফিউশন 0.9% সোডিয়াম ক্লোরাইড ইনজেকশনের 10 মিলি এবং 0.9% সোডিয়াম ক্লোরাইড ইনজেকশন বা 5% ডেক্সট্রোজ বা ল্যাকটেটেড রিঙ্গার ইনজেকশনের সাথে 100 মিলি পরিমাণের চূড়ান্ত পরিমাণে মিশ্রিত (মিশ্রিত) করা উচিত। পুনর্গঠিত দ্রবণটি আরও পাতলা করার আগে সর্বাধিক 4 ঘন্টা ঘরের তাপমাত্রায় (30 ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত) সংরক্ষণ করা যেতে পারে। মিশ্রিত দ্রবণটি ঘরের তাপমাত্রায় (30 ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত) সংরক্ষণ করা যেতে পারে এবং প্রাথমিক পুনর্গঠনের সময় থেকে 24 ঘন্টার মধ্যে ব্যবহার করতে হবে।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

অল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্যানটোপ্রাজল ভালভাবে সহনীয়। সাধারণভাবে মাথাব্যথা এবং ডায়রিয়া হতে পারে এছাড়া দুর্লভ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে তলপেটে ব্যথা, বায়ু উদগিরন, র‍্যাশ, নিদ্রাহীনতা এবং হাইপারগ্লাইসেমিয়া।

সতর্কতা

প্যানটোপ্রাজল ট্যাবলেট ভেঙ্গে, গুঁড়াে করে বা চুষে খাওয়া যাবে না। ট্যাবলেটটি খাবারের সাথে অথবা খাবার ছাড়াই পুরােপুরি গিলে খেতে হবে। প্যানটোপ্রাজল এর বিশােষনের উপর এন্টাসিডের কোন প্রভাব নেই।

মিথস্ক্রিয়া

একযোগে পরিচালিত এন্টাসিডের সাথে কোনও মিথস্ক্রিয়া নেই। নিম্নলিখিত ওষুধগুলির সংমিশ্রণ ব্যবহারের সাথে কোনও ডোজ সমন্বয় প্রয়োজন হয় না: থিওফিলিন, ক্যাফিন, ডায়াজেপাম, ডিগোক্সিন, ইথানল, মেটোপ্রোলল, নিফেডিপাইন বা ওয়ারফারিন।

গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার

গর্ভকালীন সময়ে প্যানটোপ্রাজল এর ব্যবহার নিয়ে তেমন কোন গ্রহণযােগ্য পরীক্ষা করা হয়নি। তবে খুব বেশি দরকার হলে গর্ভাবস্থায় প্যানটোপ্রাজল নেয়া যেতে পারে। প্যানটোপ্রাজল মায়ের দুধে নিঃসৃত হয়। তবে প্যানটোপ্রাজল ব্যবহারের সময় স্তন্যদানে বিরত থাকতে হবে কিনা তা মায়ের প্যানটোপ্রাজল এর প্রয়ােজনীয়তার উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।

বৈপরীত্য

প্যানটোপ্রাজল অথবা এই প্রস্তুতির যেকোন উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীল রােগীদের ব্যবহার করা উচিত নয়।

অতিরিক্ত সতর্কতা

তীব্র ওভারডোজ

মানুষের ওভারডেজের কোনও লক্ষণ নেই। প্যান্টোপ্রেজল যেহেতু উচ্চ প্রোটিনের সাথে আবদ্ধ, তা সহজেই ডায়ালযোগ্য নয়। লক্ষণ এবং সহায়ক পরিচালন ব্যতীত, কোনও নির্দিষ্ট থেরাপির পরামর্শ দেওয়া হয় না।

অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া

থিওফাইলিন, সিজাপ্রাইড, এন্টিপাইরিন, ক্যাফেইন, কার্বামাজিপাইন, ডায়াজিপাম, ডাইক্লোফেনাক, ন্যাপ্রােক্সেন, পাইরােক্সিক্যাম, ডিগােক্সিন, ইথানল, গাইবিউরাইড, গর্ভনিরােধক (লিভােনরজেসট্রোল/ইথিনাইল এন্ট্রাডিওল), মেটোপ্রােলােল, নিফেডিপিন, ফেনিটয়েন, ওয়ারফেরিন, মিডাজোলাম, ক্লারিথ্রোমাইসিন,মেট্রোনিডাজল অথবা এমােক্সিসিলিন ব্যবহারের সময় প্যানটোপ্রাজল এর সেবন মাত্রা পূনঃনির্ধারণের কোন প্রয়ােজন নেই। যে সকল ওষুধের বায়ােএভয়লিবিলিটির জন্য পাকস্থলীর pH গুরুত্বপূর্ণ (যেমন- কিটোকোনাজল, এমপিসিলিন এসটারস, আয়রণ), সে সকল ওষুধের বিশােষনে প্যানটোপ্রাজল সমস্যা করতে পারে।

সংরক্ষণ

শীতল, শুকনো জায়গায় এবং আলো থেকে দূরে সংরক্ষণ করুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

*** Taking medicines without doctor's advice can cause long-term problems.
Share