Rgesic Extra
ইহা প্যারাসিটামল ও ক্যাফেইনের একটি সমন্বিত ঔষধ। প্যারাসিটামলের ব্যথানাশক এবং জ্বর উপশমক গুণাবলীর সাথে কিছুটা প্রদাহবিরোধী কার্যকারিতাও রয়েছে। ক্যাফেইন হচ্ছে একধরনের অ্যালকালয়েড যা থিওফাইলিন সদৃশ জ্যানথিন যৌগ। প্যারাসিটামলের সাথে আন্তঃআণবিক সংযুক্তির মাধ্যমে ক্যাফেইন, প্যারাসিটামলের দ্রবণীয়তা ও আন্তঃমেমব্রেন ভেদ্যতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও ক্যাফেইন পেইন থ্রেশোল্ড এবং পেইন সহনীয়তা বৃদ্ধি করে। ক্যাফেইন মস্তিষ্কের ভেসেল টোন বৃদ্ধি করে যা মাইগ্রেন ও মাথাব্যথার চিকিৎসায় সহায়ক।
ব্যবহার
জ্বর, মাথাব্যথা ও মাইগ্রেইন, সাধারণ সর্দিজ্বর ও ফ্লু, কণ্ঠনালীর প্রদাহ, কান ব্যথা, দাঁত ব্যথা, পিঠ ব্যথা, বাত ও মাংসপেশীর ব্যথা, স্নায়বিক যন্ত্রণা এবং ঋতুস্রাবজনিত ব্যথার ক্ষেত্রে নির্দেশিত।
Rgesic Extra এর দাম কত? Rgesic Extra এর দাম
সুচিপত্র
বাণিজ্যিক নাম | Rgesic Extra |
জেনেরিক | প্যারাসিটামল + ক্যাফেইন |
ধরণ | Tablet |
পরিমাপ | 65mg, 500mg |
দাম | |
চিকিৎসাগত শ্রেণি | Non opioid analgesics |
উৎপাদনকারী | Euro Pharma International |
উপলভ্য দেশ | Pakistan |
সর্বশেষ সম্পাদনা | January 7, 2025 at 1:49 am |
খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম
Rgesic Extra খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম
- ১ - ২ টি ট্যাবলেট প্রয়ােজন অনুযায়ী প্রতি ৪ ঘন্টা অন্তর অন্তর। অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
১২ বছরের নীচে শিশুদের ক্ষেত্রে অনুমেদিত নয়।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
অনুমােদিত মাত্রায় এটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত। তবে কদাচিৎ ত্বকের সংক্রমণ যেমন আর্টিকেরিয়া দেখা দিতে পারে।
সতর্কতা
তীব্র লিভার ও কিডনি রোগের ক্ষেত্রে এটি সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে। এ ঔষধ সেবনকালে অন্যান্য প্যারাসিটামল সমৃদ্ধ ঔষধ সেবন করা যাবে না এবং অতিরিক্ত চা বা কফি পান থেকে বিরত থাকতে হবে।
মিথস্ক্রিয়া
এটি এন্টিকোয়াগুলেন্ট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত প্রোথ্রম্বিন সময়কে প্রভাবিত করতে পারে। এলকোহল বা প্যারাসিটামলের লিভার মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে এমন ঔষধ (যেমন-বারবিচুরেট, ট্রাইসাইক্লিক এন্টিডিপ্রেসেন্ট)-এর সাথে এটির যৌথ ব্যবহার লিভারের উপর ক্ষতিকর প্রভাব বৃদ্ধি করে।
গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে সেবনের পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
বৈপরীত্য
তীব্র লিভার ও কিডনী রােগের ক্ষেত্রে এটি সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে। প্যারাসিটামল, ক্যাফেইন বা এর কোন উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীলতায় এটি প্রতিনির্দেশিত।
অতিরিক্ত সতর্কতা
তীব্র ওভারডোজ
প্রথম 24 ঘন্টার মধ্যে প্যারাসিটামল ওভারডোজের লক্ষণগুলি হল ফ্যাকাশে, বমি বমি ভাব, বমি, ক্ষুধামন্দা এবং পেটে ব্যথা। খাওয়ার 12 থেকে 40 ঘন্টা পরে লিভারের ক্ষতি স্পষ্ট হতে পারে। গ্লুকোজ বিপাক এবং বিপাকীয় অ্যাসিডোসিসের অস্বাভাবিকতা ঘটতে পারে।
অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া
এটা ক্লোরামফেনিকল এবং কুমারিনের রক্ত জমাট বিরোধী গুন বাড়িয়ে দেয়। অ্যালকোহল সেবনকারী অথবা যে সমস্ত রোগী খিচুনীর ওষুধ সেবন করছেন তাদের ক্ষেত্রে প্যারাসিটামলের মাধ্যমে যকৃতে বিষক্রিয়া তৈরীর ঝুঁকি বাড়তে পারে।
সংরক্ষণ
শীতল এবং শুষ্ক জায়গায় সংরক্ষণ করুন, আলো এবং আর্দ্রতা থেকে রক্ষা করুন৷ সমস্ত ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন৷