Rignil Er এর কাজ, খাওয়ার নিয়ম, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, সতর্কতা - MedicineBangla

Rignil Er

Rignil Er প্রতিবন্ধকতাকারী নিউরোট্রান্সমিটার গামা-অ্যামাইনো বিউটাইরিক এসিড (গাবা) এর একটি গাঠনিক জাতক। এটি সরাসরি গাবা, গাবাবি এবং বেনজোডায়জেপাইন রিসেপ্টর এর সাথে যুক্ত হয় না। লাইরিনেক্স কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের টিস্যু আলফা-২-ডেলটা সাইড এর সাথে অতি আকর্ষণের সাথে যুক্ত হয়। রক্তে লাইরিনেক্স এর উপস্থিতি ≥৯০% যা মাত্রার উপর নির্ভর করে না। রক্ত সঞ্চালন তন্ত্র থেকে এর নির্গমণ হয় অপরিবর্তিত অবস্থায় মূত্রের মাধ্যমে। সুস্থ্য বৃক্কীয় কার্যকারিতা সম্পন্ন রোগীদের ক্ষেত্রে এর নির্গমন অর্ধায়ূ ৬.৩ ঘণ্টা ।

ব্যবহার

নিউরােলিন (Rignil Er); ডায়াবেটিক নিউরােপ্যাথি দ্বারা ঘটিত নিউরােপ্যাথিক ব্যথাতে এবং পােস্ট হার্পেটিক নিউরালজিয়াতে নির্দেশিত। বয়স্কদের জন্য এটি পার্শিয়াল অনসেট সিজারে সংযােজিত চিকিৎসা হিসেবে নির্দেশিত। ফাইব্রোমায়ালজিয়া ব্যবস্থাপনায় ও এটি ব্যবহার করা যায়।

Rignil Er এর দাম কত? Rignil Er এর দাম

Rignil Er in Bangla
Rignil Er in bangla
বাণিজ্যিক নাম Rignil Er
জেনেরিক প্রিগাবালিন
ধরণ Tablet
পরিমাপ
দাম
চিকিৎসাগত শ্রেণি Adjunct anti-epileptic drugs
উৎপাদনকারী Quince Lifesciences Pvt Ltd
উপলভ্য দেশ India
সর্বশেষ সম্পাদনা January 7, 2025 at 1:49 am

খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

Rignil Er খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

  • ডায়েবেটিক পেরিফেরাল নিউরােপ্যাথি সাথে সংগঠিত নিউরােপ্যাথিক ব্যথা: যে সব রােগীদের ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স প্রতি মিনিটে ৬০ মি.লি. তাদের ক্ষেত্রে নিউরােলিন (Rignil Er) এর সর্বোচ্চ নির্দেশিত মাত্রা হল ১০০ মি.গ্রা. দিনে ৩ বার (দৈনিক ৩০০ মি.গ্রা.)।
  • কার্যকারিতার উপর নির্ভর করে দিনে ৩ বার ৫০ মি.গ্রা. ওষুধ প্রদান শুরু করা উচিত, যা পরে দৈনিক ৩০০ মি.গ্রা. পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
  • পার্শিয়াল অনসেট সিজার এর সহযােজিত চিকিৎসায়: নিউরােলিন (Rignil Er) প্রাপ্ত বয়স্কদের পার্শিয়াল অনসেট সিজারে দৈনিক ১৫০-৬০০ মি.গ্রা. সেবন মাত্রায় কার্যকারিতা প্রদর্শন করে। দৈনিক সর্বমােট মাত্রাকে বিভক্ত করে ২ অথবা ৩ বার।
  • সাধারণভাবে ইহা সুপারিশকৃত যে রােগীকে দৈনিক সর্বমােট সর্বোচ্চ ১৫০ মি.গ্রা. (৭৫ মি.গ্রা. দিনে ২ বার অথবা ৫০ মি.গ্রা. দিনে ৩ বার) মাত্রায় প্রদান করা হবে। প্রত্যেক রােগীর ক্রিয়া এবং সহনশীলতার উপর নির্ভর করে সর্বোচ্চ দৈনিক ৬০০ মি.গ্রা. পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যায়।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে ঝিমুনি, ঘুমঘুমভাব, শুষ্ক মুখ, ইডিমা, ঝাপসা দৃষ্টি, ওজন বৃদ্ধি এবং অস্বাভাবিক চিন্তা।

সতর্কতা

Rignil Er এর সেবন হঠাৎ বন্ধ করে দিলে তা অনিদ্রা, ক্ষুধামন্দা, মাথাব্যথা অথবা ডায়রিয়ার মত উপসর্গ তৈরি করতে পারে। তাই এর সেবন ধীরে ধীরে সর্বনিম্ন এক সপ্তাহের মধ্যে বন্ধ করা উচিত। Rignil Er এর সেবন ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স বৃদ্ধি করতে পারে। মায়োপ্যাথি দেখা দিলে অথবা ক্রিয়েটিনিন কাইনেজ এর মাত্রা অতিরিক্ত হয়ে গেলে Rignil Er সেবন সাথে সাথে বন্ধ করা উচিত।

মিথস্ক্রিয়া

Rignil Er অন্যান্য এন্টিএপিলেপটিক এজেন্ট এবং মুখে খাবার জন্ম নিরোধকের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কোন ইন্টারেক্ট করে না। Rignil Er ইথানল এবং লরাজিপাম এর কার্যকারিতা বাড়িয়ে দিতে পারে।

গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার

গর্ভাবস্থায়:Rignil Er একটি প্রেগন্যান্সি ক্যাটাগরি –সি ওষুধ। এর উপকারিতা যদি ভ্রুণের জন্য ক্ষতির ঝুঁকির চেয়ে বেশি হয়, তবে গর্ভবতীকে এটি দেয়া যেতে পারে।

স্তন্যদানকালে:অন্যান্য অনেক ওষুধের মত Rignil Erও মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয় বলে শুধুমাত্র উপকার পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে স্তন্যদানকারী মায়েদের এটি দেয়া যেতে পারে।শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: শিশুদের ক্ষেত্রে Rignil Er এর নিরাপত্তা এবং কার্যকারীতা এখনও সুপ্রতিষ্ঠিত নয়।

বৈপরীত্য

অতি প্রতিক্রিয়াশীল রােগীদের ক্ষেত্রে নিউরােলিন প্রতি নির্দেশিত। Rignil Er এর সেবন হঠাৎ বন্ধ করে দিলে তা অনিদ্রা ক্ষুধামন্দা, মাথাব্যথা অথবা ডায়রিয়ার মত উপসর্গ তৈরি করতে পারে। তাই এর সেবন ধীরে ধীরে সর্বনিম্ন এক সপ্তাহের মশ্যে বন্ধ করা উচিত।

অতিরিক্ত সতর্কতা

হঠাৎ করে অথবা দ্রুত Rignil Er খাওয়া বন্ধ করলে কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন, অনিদ্রা, বমি বমি ভাব, মাথা ব্যাথা এবং পাতলা পায়খানা। তাই Rignil Er হঠাৎ বন্ধ না করে ধীরে ধীরে সেবনমাত্রা কমিয়ে কমপক্ষে ১ সপ্তাহ সময় নিয়ে বন্ধ করা উচিত। Rignil Er চিকিৎসায় ক্রিয়েটিন কাইনেজ বেড়ে যেতে পারে। মায়োপ্যাথি দেখা দিলে অথবা ক্রিয়েটিন কাইনেজ লেভেল বেড়ে গেলে খাওয়া বন্ধ করতে হবে।

তীব্র ওভারডোজ

অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া

সংরক্ষণ

আলো থেকে সুরক্ষিত একটি শীতল এবং শুষ্ক জায়গায় সংরক্ষণ করুন। এই ওষুধটি শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন৷

*** Taking medicines without doctor's advice can cause long-term problems.
Share