ব্যবহার
ট্যামসুলােসিন হাইড্রোক্লোরাইড এবং ডুটাস্টেরাইড ক্যাপসুল নিম্নোক্ত উপসর্গে নির্দেশিত-
মাঝারি থেকে মারাত্মক বিনাইন প্রােস্টেটিক হাইপারপাসিয়া (বিপিএইচ) এর উপসর্গের চিকিৎসায়।
মাঝারি থেকে মারাত্মক বিপিএইচ এর উপসর্গ আছে এমন রােগীদের ক্ষেত্রে একিউট ইউরিনারী রিটেনশন এবং অস্ত্রোপচারের ঝুঁকি হ্রাসে।
Tamsulosin Hydrochloride + Dutasteride এর দাম কত? Tamsulosin Hydrochloride + Dutasteride এর দাম
খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম
Tamsulosin Hydrochloride + Dutasteride খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম
প্রাপ্ত বয়স্ক (অধিক বয়স্কসহ): নির্দেশিত মাত্রা হচ্ছে ১টি ক্যাপসুল (ট্যামসুলােসিন হাইড্রোক্লোরাইড ০.৪ মিগ্রা এবং ডুটাস্টেরাইড ০.৫ মিগ্রা) প্রতিদিন একই সময়ের আহারের আধা ঘন্টা পর। সম্পূর্ণ ক্যাপসুল গলধঃকরন করতে হবে এবং চিবানাে বা খােলা যাবে না। প্রযােজ্য ক্ষেত্রে, চিকিৎসা সহজ করার লক্ষ্যে যারা একই সঙ্গে ট্যামসুলােসিন হাইড্রোক্লোরাইড এবং ডুটাস্টেরাইড দিয়ে আলাদা আলাদা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে এই ক্যাপসুল দিয়ে চিকিৎসা প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে। চিকিৎসাগতভাবে প্রয়ােজনীয় ক্ষেত্রে ট্যামসুলােসিন হাইড্রোক্লোরাইড অথবা ডুটাস্টেরাইড এর একক চিকিৎসা নিচ্ছেন এমন রােগীদের ক্ষেত্রে এই ক্যাপসুল দিয়ে সরাসরি চিকিৎসা প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে।বৃক্কীয় অকার্যকারিতা: ট্যামসুলােসিন-ডুটাস্টেরাইড ফার্মাকোকাইনেটিকস-এর উপর বৃক্কীয় অকার্যকারীতার প্রভাব নিয়ে গবেষণা করা হয়নি। বৃক্কীয় অকার্যকরী এমন রােগীদের ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত মাত্রা সামঞ্জস্যের কোন প্রয়ােজনীয়তা নেই।যকৃত অকার্যকারিতা: ট্যামসুলােসিন-ডুটাস্টেরাইড ফার্মাকোকাইনেটিকস এর উপর যকৃত অকার্যকারীতার প্রভাব নিয়ে পরীক্ষা করা হয়নি। তথাপি মৃদু থেকে মাঝারি যকৃত অকার্যকরী রােগীদের ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। মারাত্মক যকৃত অকার্যকরী রােগীদের ক্ষেত্রে, এই ক্যাপসুল ব্যবহার নির্দেশিত নয়।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
সতর্কতা
সম্ভাব্য প্রতিকূল ঘটনার (হৃদযন্ত্রের অকৃতকার্যতা সহ) ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করে রােগীর সুবিধা ঝুঁকির মূল্যায়নের পর এবং একক চিকিৎসাসহ বিকল্প চিকিৎসার সুযােগ সুবিধা বিবেচনার পর যৌথ চিকিৎসা নির্ধারিত করা উচিত। হৃদযন্ত্রের অকৃতকার্যতা: দুটি ৪ বছরের চিকিৎসাগত পরীক্ষায়, যৌথ চিকিৎসা না গ্রহণের তুলনায়, ডুটাস্টেরাইড এবং আলফা ব্লকার এর সমন্বয়ে, প্রাথমিকভাবে ট্যামসুলােসিন গ্রহণের ফলে হৃদযন্ত্রের অকৃতকার্যের ঘটনা ছিল বেশী। এই দুটি গবেষণায়, হৃদযন্ত্রের অকৃতকার্যতার ঘটনা খুব কম (<১%) ছিল এবং এই পর্যবেক্ষণে পার্থক্য দেখা যায়। প্রােষ্টেট-স্পেসিফিক এন্টিজেন এবং প্রােস্টেট ক্যান্সার নির্ণয়ে প্রভাব: ট্যামসুলােসিন-ডুটাস্টেরাইড যৌথ চিকিৎসা দিয়ে চিকিৎসা শুরু করার পূর্বে এবং পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে চিকিৎসাকালে, ডিজিটাল রেকটাল পরীক্ষা, অন্যান্য প্রােষ্টেট ক্যান্সার নিরুপনে বা অন্যান্য অবস্থা যা বিপিএইচ এর মতাে একই লক্ষণসমূহের কারণে পরীক্ষা করা উচিত। প্রােস্টেট ক্যান্সার সনাক্তকরণের জন্য সিরাম প্রােষ্টেট স্পেসিফিক এন্টিজেন (পিএসএ) কনসেনট্রেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ট্যামসুলােসিন-ডুটাস্টেরাইড যৌথ চিকিৎসা গড়ে রক্তের পিএসএ-এর মাত্রা কমায়, যা ৬ মাস চিকিৎসার পর আনুমানিক ৫০%। ৬ মাস চিকিৎসার পর যে সকল রােগীরা ট্যামসুলােসিন-ডুটাস্টেরাইড এর যৌথচিকিৎসা দিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের জন্য একটি প্রতিষ্ঠিত নতুন পিএসএ-এর ভিত্তিরেখা থাকা উচিত। এরপর থেকে পিএসএ এর মান নিয়মিত পর্যবেক্ষন করা বাঞ্ছনীয়। ট্যামসুলােসিন-ডুটাষ্টেরাইড যৌথ চিকিৎসায় কোন ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন পিএসএ মাত্রা থেকে সুনিশ্চিত বৃদ্ধির কারণ প্রােষ্টেট ক্যান্সার এর উপস্থিতি অথবা ট্যামসুলােসিন-ডুটাস্টেরাইড যৌথ চিকিৎসা সঠিকভাবে গ্রহণ করছেন না হতে পারে এবং সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করতে হবে, এমনকি তা যদি ৫-আলফা রিডাকটেস ইনহিবিটর নিচ্ছেন না এমন পুরুষদের স্বাভাবিক মাত্রার মধ্যেও হয়। ডুটাস্টেরাইড দিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন যার পূর্ববর্তী পিএসএ-এর মানের সাথে ট্যামসুলােসিন-ডুটাস্টেরাইড যৌথচিকিৎসা নিচ্ছেন এমন রােগীদের ক্ষেত্রে পিএসএ-এর মানের তুলনা দেখা উচিত। একটি নতুন ভিত্তিরেখা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ট্যামসুলােসিন-ডুটাস্টেরাইড যৌথ চিকিৎসা দিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার সময় প্রােষ্টেট ক্যান্সার নির্ণয় করার জন্য হাতিয়ার হিসেবে পিএসএ-এর ব্যবহারে হস্তক্ষেপ করে না। চিকিৎসা বিরতির ৬ মাসের ভিতর রক্তে মােট পিএসএ-এর মাত্রা ভিত্তিরেখায় ফিরে। ট্যামসুলােসিন-ডুটাস্টেরাইড যৌথ চিকিৎসার প্রভাব থাকা সত্ত্বেও পিএসএ এর অনুপাত শূন্য থেকে মােট অবশিষ্ট থাকে অপরিবর্তনীয়। ট্যামসুলােসিন-ডুটাস্টেরাইড যৌথ চিকিৎসা দিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন এমন পুরুষদের প্রােষ্টেট ক্যান্সার নির্ণয়ের সহায়ক হিসেবে চিকিৎসকেরা যদি শতাংশ মুক্ত পিএসএ ব্যবহার করে তাহলে ইহার প্রদর্শিত মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যের প্রয়ােজনীয়তা নেই। প্রােষ্টেট ক্যান্সার এবং উচ্চ শ্রেণীর টিউমার: প্লাসেবাের তুলনায় ডুটাস্টেরাইড দিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন এমন পুরুষদের একটি চিকিৎসাগত পরীক্ষায় পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখা যায় প্রােষ্টেট ক্যান্সারের মান ৮-১০ উচ্চ হওয়ার ঘটনা প্রােস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধির সাথে পরিলক্ষিত হয়। প্রােষ্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকির সাথে পিএসএ পরীক্ষার জন্য ট্যামসুলােসিন-ডুটাস্টেরাইড এর যৌথ চিকিৎসা নিচ্ছেন এমন পুরুষদের প্রতিনিয়ত মূল্যায়ন করা উচিত। বৃক্কীয় অকার্যকারীতার ক্ষেত্রে: যেহেতু তীব্রভাবে বৃক্কীয় অকার্যকারী রােগীদের ক্ষেত্রে (ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স ১০ মিলি/মিনিট-এর কম) পরীক্ষা করা হয়নি, সেহেতু এসকল রােগীদের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। নিম্নরক্তচাপের ক্ষেত্রে: অর্থোষ্ট্যাটিক: ট্যামসুলােসিন দ্বারা চিকিৎসায় অন্যান্য আলফা-ব্লকারের মত রক্তচাপ কমে যেতে পারে যার ফলে বিরল ক্ষেত্রে সাময়িক সংজ্ঞাহীনতা হতে পারে। ট্যামসুলােসিন-ডুটাস্টেরাইড দ্বারা যৌথ চিকিৎসা শুরুর দিকে অর্থোস্ট্যাটিক হাইপােটেনশন (মাথা ঘােরা, দুর্বলতা)-এর প্রথম লক্ষণ দেখামাত্র সতর্কতার সাথে লক্ষণ প্রশমিত না হওয়া পর্যন্ত বসে বা শুয়ে পরা উচিত। পিডিই৫ ইনহিবিটর ব্যবহার করার শুরুর পূর্বে আলফা-ব্লকার গ্রহণ করছেন এমন রােগীদের পসটুরাল হাইপােটেনশন হওয়ার সম্ভাবণা কমানাের জন্য রােগীদের আনুভূমিকভাবে স্থির থাকা উচিত। লক্ষণাত্বক: ট্যামসুলােসিন সহ অন্যান্য আলফা এট্রিনার্জিক ব্লকিং এজেন্ট এর পাশাপাশি পিডিই৫ ইনহিবিটর (যেমন: সিলডেনাফিল, টাডালাফিল, ভারডেনাফিল) একত্রে ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা গ্রহণ করা উপদিষ্ট। আলফা এড্রিনার্জিক ব্লকারস এবং পিডিই৫ ইনহিবিটরস উভয়ই রক্তনালী প্রসারণ করে বিধায় রক্তচাপ কমিয়ে দেয়। এই দুই শ্রেণীর ওষুধের একত্রে ব্যবহার রক্তচাপ কমিয়ে দিতে পারে। ইন্ট্রাঅপারেটিভ ফ্লপি আইরিশ সিনড্রোম: ট্যামসুলােসিন দ্বারা পূর্বে চিকিৎসা করেছেন অথবা করছেন এমন রােগীদের ছানি অস্ত্রোপচারে ইন্ট্রাঅপারেটিড ফ্লপি আইরিশ সিনড্রোম (আইএফআইএস) পরিলক্ষিত হয়েছে। আইএফআইএস অস্ত্রোপচারের সময় পদ্ধতিগত জটিলতা বাড়িয়ে দিতে পারে। যেসকল রােগীদের ছানির অস্ত্রোপচার পূর্ব নির্ধারিত রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ট্যামসুলােসিন-ডুটাস্টেরাইড যৌথ চিকিৎসা শুরু করা নির্দেশিত নয়। ছানি অস্ত্রোপচারের ১-২ সপ্তাহ পূর্বে ট্যামসুলােসিন দ্বারা চিকিৎসা বন্ধ অকল্পনীয় হিসাবে সহায়ক বলে মনে করা হয় কিন্তু ছানি অস্ত্রোপচারের পূর্বে চিকিৎসা বন্ধের সুবিধা এবং স্থায়িত্ব এখনাে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ছিদ্রযুক্ত ক্যাপসুল এর ক্ষেত্রে ও যেহেতু ডুটাস্টেরাইড চর্ম দ্বারা শােষিত হয়, সেহেতু মহিলা, শিশু ও কিশাের কিশােরীদের ক্ষেত্রে অবশ্যই ছিদ্রযুক্ত ক্যাপসুল এর সংস্পর্শ এড়াতে হবে। যদি ছিদ্রযুক্ত ক্যাপসুল দ্বারা সংস্পর্শ হয়, সেক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থান সাবান ও পানি দ্বারা অবিলম্বে ধৌত করা উচিত। যকৃত অকার্যকারীতার ক্ষেত্রে: যকৃতের রােগ সম্পন্ন রােগীদের ক্ষেত্রে ট্যামসুলােসিন-ডুটাস্টেরাইড যৌথ চিকিৎসা পরীক্ষিত হয়নি। মৃদু থেকে মাঝারী যকৃত অকার্যকারী রােগীদের ক্ষেত্রে ট্যামসুলােসিন-ডুটাস্টেরাইড এর যৌথ চিকিৎসা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। স্তন নিওপ্লাসিয়ার ক্ষেত্রে: ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় এবং বিপণন পরবর্তী সময়ে ডুটাস্টেরাইড গ্রহণকারী পুরুষদের ক্ষেত্রে স্তন ক্যান্সার এর রিপাের্ট পাওয়া গেছে। স্তন টিস্যু সম্পর্কিত কোন পরিবর্তন যেমন স্তন ফুলে যাওয়া বা স্তনবৃন্তের ক্ষরণ দেখা গেলে রােগীদের অতিসত্তর চিকিৎসককে অবগত করা উচিত। বর্তমানে ডুটাস্টেরাইড এর দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার এবং স্তন ক্যান্সারের সংঘটিত হবার সাথে কোন কার্যকারণ সম্বন্ধীয় সম্পর্ক আছে কিনা তা অস্পষ্ট।
মিথস্ক্রিয়া
ট্যামসুলােসিন-ডুটাস্টেরাইড যৌথ চিকিৎসার কোন আন্তঃক্রিয়া পরীক্ষা সংঘটিত হয়নি। ডুটাস্টেরাইড এর ফার্মাকোকাইনেটিকস এর উপর অন্যান্য ওষুধের প্রভাব: সিওয়াইপি৩এ৪ এবং/অথবা পি-গ্লাইকোপ্রোটিন-ইনহিবিটর একসাথে একত্রে ব্যবহারের ক্ষেত্রে: ডুটাস্টেরাইড বিপাকের মাধ্যমে নির্মূল হয়। মানবদেহের বাইরের পরীক্ষায় নির্দেশিত হয় যে এই বিপাক সিওয়াইপি৩এ৪ এবং সিওয়াইপি৩এ৫ এর দ্বারা ত্বরান্বিত হয়। শক্তিশালী সিওয়াইপি৩এ৪ ইনহিবিটরস দ্বারা কোন আনুষ্ঠানিক আন্তঃক্রিয়া পরীক্ষা সম্পন্ন হয়নি। এ সত্ত্বেও, মানবদেহে ফার্মাকোকাইনেটিক পরীক্ষায়, অন্যান্য রােগীদের তুলনায় ভেরাপামিল অথবা ডিলটিয়াজেম (সিওয়াইপিএ৪ এর মাঝারী মানের ইনহিবিটর এবং পি-গ্লাইকোপ্রােটিন এর ইনহিবিটর) এর যৌথ চিকিৎসা গ্রহণকারী রােগীদের মধ্যে অল্পসংখ্যক রােগীদের রক্তে ডুটাস্টেরাইড এর ঘনমাত্রা গড়ে ১.৬ থেকে ১.৮ গুণ বেশী ছিল। ডুটাস্টেরাইড এর সাথে সিওয়াইপি৩এ৪ এনজাইম এর শক্তিশালী ইনহিবিটর জাতীয় ওষুধ (রিটোনাভির, ইনডিনাভির, নেফাজোডােন, ইট্রাকোনাজল, কিটোকোনাজল এর মৌখিক গ্রহণ) দীর্ঘদিন একত্রে ব্যবহারে ডুটাস্টেরাইড এর রক্তে ঘনমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। বর্ধিত ডুটাস্টেরাইড ব্যবহারে ৫-আলফা রিডাক্টেস এর আরও প্রশমন সম্ভবত হয় না। তা সত্ত্বেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হলে ডুটাস্টেরাইড এর মাত্রা পুনরাবৃত্তি হ্রাস এর বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত। এটি উল্লেখ করা উচিত যে, একটি নতুন স্থায়ী অবস্থা উপনিত না হওয়া পর্যন্ত এনজাইম ইনহিবিসন এর ক্ষেত্রে, ওষুধের দীর্ঘ অর্ধজীবন আরাে দীর্ঘায়িত হতে পারে এবং একটি নতুন স্থায়ী অবস্থা উপনিত না হওয়া পর্যন্ত ৬ মাসেরও বেশী সময় ধরে যুগপৎ চিকিৎসা চালানাে হতে পারে। ডুটাস্টেরাইড এর ৫ মিগ্রা এর একক মাত্রা গ্রহণের ১ ঘন্টা পর ১২ গ্রাম কোলেক্টাইরামিন প্রয়ােগে ডুটাস্টেরাইড এর ফার্মাকোকাইনেটিকসের এর উপর কোনাে প্রভাব পরেনি। অন্যান্য ওষুধের ফার্মাকোকাইনেটিকসের উপর ডুটাস্টেরাইড এর প্রভাব: সাস্থ্যবান পুরুষদের (এন=২৪) উপর ২ সপ্তাহের একটি ছােট পরীক্ষায় ট্যামসুলােসিন অথবা টেরাজোসিন এর ফার্মাকোকাইনেটিকস এর উপর ডুটাস্টেরাইড এর কোন প্রভাব পরিলক্ষিত হয়নি। এই পরীক্ষায় ফার্মাকোডাইনামিক আন্তঃক্রিয়ারও কোন নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। ওয়ারফেরিন অথবা ডিগক্সিন এর ফার্মাকোকাইনেটিকসের উপর ডুটাস্টেরাইড এর কোন প্রভাব নেই। এর দ্বারা নির্দেশিত হয় যে, ডুটাস্টেরাইড সিওয়াইপি২সি৯ অথবা পি-গ্লাইকোপ্রােটিন এর দমন প্রভাবিত করে না। শরীরের বাইরে সংঘটিত আন্তঃক্রিয়া পরীক্ষায় নির্দেশিত হয় যে, ডুটাস্টেরাইড সিওয়াইপি ১এ২, সিওয়াইপি২ডি৬, সিওয়াইপি২সি৯, সিওয়াইপি২সি১৯ অথবা সিওয়াইপি৩এ৪ এনজাইমকে দমন করে না। ট্যামসুলােসিনঃ রক্তচাপ কমিয়ে দিতে পারে এমন জাতীয় ওষুধ, যেমন অনুভূতিনাশক ওষুধ, পিডিই৫ ইনহিবিটরস এবং অন্যান্য আলফা-১ এ্যাড্রিনার্জিক ব্লকারস এর সাথে ট্যামসুলােসিন হাইড্রোক্লোরাইড একত্রে ব্যবহারে নিম্নরক্তচাপ প্রভাব বাড়িয়ে দিতে পারে। অন্যান্য আলফা-১ এ্যাড্রিনার্জিক ব্লকারস এর সাথে ট্যামসুলােসিন-ডুটাস্টেরাইড এর যৌথ চিকিৎসা একত্রে ব্যবহার করা উচিত নয়। ট্যামসুলােসিন হাইড্রোক্লোরাইড (০.৪ মিগ্রা) এবং সিমেটিডিন (৪০০ মিগ্রা প্রতি ৬ ঘন্টা পরপর ৬ দিন যাবৎ) একত্রে ব্যবহারে ট্যামসুলােসিন হাইড্রোক্লোরাইড এর অপসারণ (২৬%) কমিয়ে দেয়া এবং এইউসি (৪৪%) বাড়িয়ে দেবার ফলাফল পাওয়া গেছে। ট্যামসুলােসিন-ডুটাস্টেরাইড এর যৌথ ব্যবহারের পাশাপাশি সিমেটিডিন এর একত্রে ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। ট্যামসুলােসিন হাইড্রোক্লোরাইড এবং ওয়ারফেরিন এর সুনির্দিষ্ট ওষুধ আন্তঃক্রিয়া পরীক্ষা সংঘটিত হয়নি। শরীরের ভেতর এবং বাহিরের পরীক্ষার ফলাফল মীমাংসাহীন। ট্যামসুলােসিন হাইড্রোক্লোরাইড এবং ওয়ারফেরিন এর একত্রে ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। ট্যামসুলােসিন হাইড্রোক্লোরাইডের সাথে এ্যাটেনালল, এনালাপ্রিল, নিফেডিপাইন অথবা থিওফাইলিন এর একত্রে ব্যবহারে কোন আন্তঃক্রিয়া প্রভাব পরিলক্ষিত হয়নি। ফিউরােসেমাইড এর ক্ষেত্রে ব্যবহারে রক্তরসে ট্যামসুলােসিন এর সাথে মাত্রা কমেছে কিন্তু যেহেতু এই মাত্রা স্বাভাবিক মাত্রার ভেতরে ছিল সেহেতু প্রয়ােগবিধি সমন্বয় করার প্রয়ােজন পরেনি। শরীরের বাহিরে পরীক্ষায় মানবদেহের রক্তরসে ডায়াজেপাম, বা প্রােপানলল, ট্রাইক্লোমেথিয়াজাইড, ক্লোরম্যাডিনন, এ্যামিট্রিপটাইলিন, ডাইক্লোফেনাফ, গ্লাইবেনক্লামাইড, এবং সিমভাসটেটিন ট্যামসুলােসিন এর মুক্ত অংশের কোন পরিবর্তন ঘটায়নি। পাশাপাশি ট্যামসুলােসিনও ডায়াজেপাম, প্রােপানলল, ট্রাইক্লোমেথিয়াজাইড, এবং ক্লোরম্যাডিনন এর মুক্ত অংশকে পরিবর্তন করেনি। শরীরে বাইরে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে এ্যামিট্রিপটাইলিন, স্যালবিউটামল এবং গ্লাইবেনক্লামাইড এর সঙ্গে জড়িত যকৃতের মাইক্রোসােমাল অংশ বিপাক পর্যায়ে কোন আন্তঃক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়নি। তবে ডাইক্লোফেনাক, ট্যামসুলােসিন এর নিঃসরণের হারকে বাড়িয়ে দিতে পারে।
গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার
ট্যামসুলােসিন-ডুটাস্টেরাইড এর যৌথ চিকিৎসা মহিলাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার নির্দেশিত নয়। গর্ভাবস্থায়, স্তন্যদানকালে এবং প্রজনন এর ক্ষেত্রে ট্যামসুলােসিন-ডুটাস্টেরাইড এর যৌথ চিকিৎসার প্রভাব অনুসন্ধানের জন্য কোন পরীক্ষা সংঘটিত হয়নি। বিশেষ বিশেষ অংশ নিয়ে গবেষণার ফলে প্রাপ্ত তথ্য নিম্নেবর্ণিত হল। প্রজননঃ ডুটাস্টেরাইড সুস্থ পুরুষদের বীর্যের বৈশিষ্ট্যের (শুক্রানুর সংখ্যা, বীর্যের পরিমাণ এবং শুক্রানুর সজীবতা হ্রাস) উপর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাসের সম্ভাবনাকে বাদ দেয়া যাবে না। শুক্রানুর সংখ্যা অথবা শুক্রানুর কার্যকারিতার উপর ট্যামসুলােসিন হাইড্রোক্লোরাইড এর প্রভাব মূল্যায়ন করা হয়নি। গর্ভাবস্থায় যেহেতু অন্যান্য ৫-আলফা রিডাকটেস ইনহিবিটর এর মত ডুটাস্টেরাইড টেষ্টোষ্টেরন থেকে ডাইহাইড্রোটেষ্টোষ্টেরণ এর রূপান্তরকে বাধাগ্রস্থ করে, সেহেতু পুরুষ ভ্রুণ বহনকারী কোন গর্ভবতী মহিলার ক্ষেত্রে প্রয়ােগ হলে ভ্রুণের বাহ্যিক যৌনাঙ্গের বৃদ্ধিকে ব্যাহত করতে পারে। ডুটাস্টেরাইড গ্রহণকারী রােগীদের বীর্যে অল্প পরিমাণ ডুটাস্টেরাইড পাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যদি কোন গর্ভবতী মহিলা ডুটাস্টেরাইড দ্বারা চিকিৎসা নিচ্ছে এমন রােগীর বীর্যের সংস্পর্শে আসে তাহলে ধারণকারী পুরুষ ভ্রুণের উপর কোন বিরূপ প্রভাব পরবে কিনা তা অজানা। কোন রােগীর স্ত্রীর গর্ভবতী হবার সম্ভাবনা থাকলে অন্যান্য সকল ৫-আলফা রিডাকটেজ ইনহিবিটরের মত স্ত্রীকে রােগীর বীর্যের সংস্পর্শ থেকে বিরত রাখার জন্য কনডম ব্যবহার বাঞ্ছনীয়। গর্ভবতী মহিলা ইদুর এবং খরগােশের শরীরে ট্যামসুলােসিন হাইড্রোক্লোরাইড প্রয়ােগে ভ্রুণের ক্ষতির কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। স্তন্যদানকালে ও মাতৃদুদ্ধে ট্যামসুলােসিন অথবা ডুটাস্টেরাইড নিঃসৃত হয় কিনা তা জানা নেই।
বৈপরীত্য
মহিলা, শিশু এবং বয়ঃসন্ধিকালের ক্ষেত্রে, ডুটাস্টেরাইড, অন্যান্য ৫ আলফা রিডাকটেস ইনহিবিটর, ট্যামসুলােসিন (ট্যামসুলােসিন ইনডিউসড এ্যানজিওইডেমা সহ), সয়া, চিনাবাদাম বা অন্যান্য যে কোন উপাদান এর প্রতি অতি সংবেদনশীলতা, অর্থোস্ট্যাটিক হাইপােটেনশন এর ইতিহাস বিদ্যমান রোগীদের ক্ষেত্রে এবং গুরুতর যকৃত অকার্যকরী রােগীদের ক্ষেত্রে ট্যামসুলােসিন-ডুটাস্টেরাইড এর যৌথ ব্যবহার নির্দেশিত নয়।
অতিরিক্ত সতর্কতা
তীব্র ওভারডোজ
ট্যামসুলােসিন-ডুটাস্টেরাইড যৌথচিকিৎসার অতি মাত্রার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত তথ্য নেই। নিম্নলিখিত বিবৃতিগুলাে একক উপাদানের ক্ষেত্রে পাওয়া পর্যাপ্ত তথ্যের প্রতিফলন। ডুটাস্টেরাইড: স্বেচ্ছাসেবীর ক্ষেত্রে পরীক্ষায়, একক মাত্রা হিসাবে ডুটাস্টেরাইড ৪০ মিগ্রা/দিন (চিকিৎসা মাত্রার ৮০ গুণ) ৭ দিন কোন উল্লেখযােগ্য নিরাপত্তার সমস্যা ছাড়াই প্রয়ােগ করা হয়েছে। ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায়, দৈনিক ৫ মিগ্রা ৬ মাস যাবৎ প্রয়ােগ করা হয়েছে যার চিকিৎসা মাত্রা ০.৫ মিগ্রা-এ পরিলক্ষিত পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার চেয়ে বেশী কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। ডুটাস্টেরাইড এর কোন নির্দিষ্ট এ্যান্টিডােট নেই, সেক্ষেত্রে সন্দেহজনক অতিমাত্রায় লক্ষণসূচক এবং সহায়ক চিকিৎসা যথাযথ দেওয়া উচিত। ট্যামসুলােসিন: ৫ মিগ্রা ট্যামসুলােসিন হাইড্রোক্লোরাইড এর তীব্র অতিমাত্রার প্রতিবেদন করা হয়েছে। তীব্র রক্তের নিম্নচাপ (সিস্টোলিক রক্তচাপ ৭০ মিমি এইচজি), বমি এবং পাতলা পায়খানা পরিলক্ষিত হয়েছে যার চিকিৎসা করা হয় তরল প্রতিস্থাপন এর মাধ্যমে এবং একই দিনে রােগীদের ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে। অতিমাত্রার পর তীব্র নিম্নরক্তচাপ হতে পারে এবং সেক্ষেত্রে হৃদযন্ত্রের সহায়তা দেওয়া উচিত। রােগীকে শােয়ানাে হলে রক্তচাপ পুনঃস্থাপিত করা যাবে এবং হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসা যাবে। যদি ইহা সহায়তা না করে তবে ভলিউম এক্সপেনডার এবং যদি প্রয়ােজন হয় ভেসােপ্রেসর দেওয়া যেতে পারে। বৃক্ক কার্যকারিতা পর্যবেক্ষন করতে হবে এবং স্বাভাবিক সহায়ক পদক্ষেপ নিতে হবে। যেহেতু, ট্যামসুলােসিন প্লাজমা প্রােটিনের সাথে খুবই দৃঢ়ভাবে সংযুক্ত হয়, সেহেতু ডায়ালাইসিস সাহায্য নাও করতে পারে। ইমপেডি এ্যাবসরপশন-এ পদক্ষেপ নিতে হবে, যেমন বমি ঘটানাে। যখন অনেক পরিমানে অতিমাত্ৰা ঘটে তখন গ্যান্ত্রিক ল্যাভেজ দিতে হবে এবং কার্যকরী চারকোল এবং একটি অসমােটিক লেক্সেটিভ, যেমন সােডিয়াম সালফেট দেওয়া যেতে পারে।
অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া
সংরক্ষণ
আলাে থেকে দূরে, ঠান্ডা ও শুকনাে স্থানে সংরক্ষণ করুন।