Urikind K
পটাশিয়াম সাইট্রেট এবং সাইট্রিক এসিড স্থিতিশীল এবং সুগন্ধ যুক্ত ওরাল সিস্টেমিক অ্যালকালাইজার। পটাশিয়াম সাইট্রেট শোষণের পর বিপাক ক্রিয়ার ফলে পটাশিয়াম বাইকার্বনেটে রুপান্তরিত হয় যা সিস্টেমিক অ্যালকালাইজার হিসাবে কাজ করে। এই ওষুধটির নির্দেশিত মাত্রা সিস্টেমিক অ্যালকালোসিস না করে ইউরিনকে অ্যালকালাইজ করে। ইহা খুবই রুচিকর, সুগন্ধযুক্ত এবং অনেক দিন সেবন করার পরেও সহনীয়। পটাশিয়াম সাইট্রেট পাকস্থলির পাচক রসকে প্রশমন বা বিপাকে বিঘ্ন ঘটায় না।
ব্যবহার
ইউরিসেট একটি কার্যকরীঅ্যালকালিনাইযিং এজেন্ট যখন দীর্ঘ সময়ের জন্য মূত্রে ক্ষারের পরিমাণ বজায় রাখা প্রয়ােজন। যে সমস্ত রােগীদের ইউরিক এসিডের পরিমান বেশি ও মূত্রনালীর সিস্টিন ক্যালকুলাই আছে তাদের ক্ষেত্রে অধিক কার্যকরী যখন সােডিয়াম লবণের ব্যবহার নির্দেশিত নয়।
ইউরিসেট অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম এর কারণে কিডনীতে পাথর এর উপস্থিতি অথবা অনুপস্থিতিতে ইউরিক এসিড জনিত কিডনী পাথর প্রতিরােধে একটি কার্যকরী ওষুধ ইউরিসেট একটি কার্যকরী অ্যাড জুভেন্ট যখন বাতের ব্যথায় অন্যান্য ওষুধের পাশাপাশি গ্রহণ করা হয়। ইউরিসেটবিভিন্ন রকম রেনাল টিউবিউল এর অ্যাসিডােসি সংশ্লিষ্ট অসুস্থতায় কার্যকরী।
Urikind K এর দাম কত? Urikind K এর দাম
সুচিপত্র
বাণিজ্যিক নাম | Urikind K |
জেনেরিক | পটাশিয়াম সাইট্রেট + সাইট্রিক এসিড |
ধরণ | Solution |
পরিমাপ | |
দাম | |
চিকিৎসাগত শ্রেণি | Prevention of repeated kidney stone formation, Urinary Alkalinizing Agent |
উৎপাদনকারী | Mankind Pharmaceuticals Ltd |
উপলভ্য দেশ | India |
সর্বশেষ সম্পাদনা | September 19, 2023 at 7:00 am |
খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম
Urikind K খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম
ইউরিসেট ওরাল সলিউশন পানির সাথে মিশিয়ে সেবন করতে হবে। প্রয়োজন মতাে লঘুকরণ এর মাধ্যমে সেবন করলে পাকস্থলীর বিভিন্ন রকম অসুস্থতা থেকে মুক্ত থাকা যায়।
মূত্রনালীর সংক্রমণ:
- প্রাপ্ত বয়স্ক ও ৬ বছরের উপরের শিশুদের ক্ষেত্রে ১০ মি.লি. এক গ্লাস পানির সাথে মিশিয়েদিনে ৩ বার।
- শিশু (১-৬ বছর); ৫ মি.লি. আধা গ্লাসপানির সাথে মিশিয়ে দিনে ৩ বার। কিডনির পাথর প্রতি রােধে, বিভিন্ন রকম কিডনি রােগের কারণে এসিডােসিস প্রতিরােধে বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে অন্যান্য ইউরিকো সিউরিক ওষুধের সাথে:
- প্রাপ্তবয়স্ক: ১০-১৫ মি.লি. এক গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে দিনে ৪ বার।
- শিশু: ৫-১০ মি.লি. অর্ধেক গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে দিনে ৪ বার।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
ইউরিসেট ওরাল সলিউশন সাধারণত স্বাভাবিক কিডনির কার্যকারিতায় কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই সহনশীল যখন এটি নির্ধারিত মাত্রায় সেবন করা হয়।
সতর্কতা
কম ইউরিনেশন বিশিষ্ট রোগীদের ক্ষেত্রে সাবধানতার সঙ্গে সলিউশনটি ব্যবহার করতে হবে। ইহাকে পর্যাপ্ত পরিমানে পানি মিশিয়ে পাতলা করে নিতে হবে যাতে পাকস্থলীর ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা কমে যায়, যাহা পটাশিয়াম লবণ গলধঃকরণের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এবং খাওয়ার পরে সেবন যুক্তিযুক্ত। মাত্রাধিক সেবন হাইপারক্যালেমিয়া এবং অ্যালকালোসিস ঘটাতে পারে বিশেষ করে যাদের বৃক্কের রোগ আছে।
মিথস্ক্রিয়া
পটাশিয়াম থাকে এমন ওষুধ, পটাশিয়াম স্প্যায়ারিং ডাইইউরেটিক, এনজিওটেনসিন কনভারটিং এনজাইম (এসিই) ইনহিবিটরস, কার্ডিয়াক গ্লাইকোসাইড্স এগুলোর সঙ্গে একই সাথে সেবনে বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে।
গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার
গর্ভাবস্থায় এই ওষুধটি ব্যবহার করা উচিৎ নয়। তবে ভ্রুনের ক্ষতির তুলনায় সুস্থতার অধিক নিশ্চয়তা পাওয়া গেলে ব্যবহার করা যেতে পারে। ওষুধটি মাতৃ দুগ্ধে নিঃসরিত হয় কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। তাই স্তন্যদাঙ্কালে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এটি ব্যবহার করতে হবে।
বৈপরীত্য
কিডনির তীব্র সংক্রমণের পাশাপাশি যখন অলিগইউরিয়া বা অ্যাঘঘাটেমিয়া থাকে, অ্যাডিসন ডিজিজ এর চিকিৎসা গ্রহণ করা হয়নি এমন ক্ষেত্রে অ্যাডাইনেমিয়া এপিসােডিকা হেরেডিটারিয়ায়, পানি শূন্যতায়, হিট ক্র্যাম্প, অ্যানিউরিয়া, হৃদপেশীর ক্ষয় এবং হাইপার ক্যালিমিয়াতে। যেকোন উপাদানের প্রতি অতি সংবেদনশীলতা থাকলে এই ওষুধ গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
অতিরিক্ত সতর্কতা
তীব্র ওভারডোজ
Symptom: nausea, vomiting, abdominal pain and symptoms due to hyperkalaemia and metabolic acidosis. Fluid and electrolyte balance together with ECG should be closely monitored.
Management: Treatment is symptomatic and supportive. Moderate to severe hyperkalaemia is a medical emergency requiring prompt correction.
অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া
সংরক্ষণ
সংরক্ষণ আলাে থেকে দূরে, শুষ্ক ও ঠাণ্ডা স্থানে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।