ব্যবহার
Warin 2 mg Tablet এর কাজ
ওয়ারফারিন নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে নির্দেশিত:
এট্রিয়াল ফিব্রিলেশন এবং/অথবা হৃৎপিন্ডের ভালভ প্রতিস্থাপনের ফলে উদ্ভূত থ্রম্বোএম্বলিক কমপ্লিকেশন রোধ অথবা চিকিৎসায়
মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন এর পরে থ্রম্বোএম্বলিক ইভেন্ট যেমন স্ট্রোক, সিস্টেমিক এম্বোলাইজেশন এবং রিকারেন্ট মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন ও মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে
শিরার থ্রম্বোসিস এবং পালমোনারী এম্বলিজম এর চিকিৎসা ও প্রতিরোধে
ট্রানজিয়েস্ট ইস্কিমিক এ্যটাকে।
Warin 2 mg Tablet এর দাম কত? Warin 2 mg Tablet এর দাম
Warin 2 mg Tablet in bangla
বাণিজ্যিক নাম |
Warin 2 mg Tablet |
জেনেরিক |
ওয়ারফারিন সোডিয়াম |
ধরণ |
Tablet |
পরিমাপ |
2 mg |
দাম |
|
চিকিৎসাগত শ্রেণি |
|
উৎপাদনকারী |
Incepta Pharmaceuticals Ltd. |
উপলভ্য দেশ |
Bangladesh |
সর্বশেষ সম্পাদনা |
January 7, 2025 at 1:49 am |
খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম
Warin 2 mg Tablet খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম
প্রাথমিকভাবে যখনই সম্ভব তখনই বেসলাইন প্রোথ্রম্বিন টাইম নির্ধারন করা প্রয়োজন, তবে তার জন্য প্রাথমিক মাত্রা গ্রহণ বিলম্বিত করা উচিত নয়।প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে: ওয়ারফারিন-এর প্রাথমিক মাত্রা দৈনিক ১০ মিগ্রা করে দুই দিন। পরবর্তীতে মেইন্টেন্যান্স মাত্রা প্রোথ্রম্বিন টাইম যা আই.এন.আর. (ইন্টারন্যাশনাল নরমালাইজড রেশিও) হিসেবে প্রকাশ করা হয়, এর ওপর নির্ভর করে। পরবর্তীতে মেইন্টেন্যান্স যাত্রা সাধারণতঃ ৩ থেকে ৯ মি.গ্রা. দৈনিক যা প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে গ্রহন করা হয়। মেইন্টেন্যান্স মাত্রা প্রয়োগ স্থগিত রাখা হয় যখন প্রোথ্রম্বিন টাইম অত্যধিক প্রলম্বিত হয়। একবার মেইন্টেন্যান্স মাত্রা নির্ধারন হয়ে গেলে তা সাধারণতঃ পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয়না। জরুরী ক্ষেত্রে এন্টিকোয়াগুলেন্ট থেরাপী হেপারিন এবং ওয়ারফারিন একত্রে প্রয়োগের মাধ্যমে শুরু করা উচিত। যেখানে প্রয়োজনটা অতি জরুরী নয় যেমন, থ্রম্বোএম্বোলাইজম-এর সম্ভাবনা অথবা ঝুঁকি রয়েছে সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র ওয়ারফারিন এর সাহায্যে চিকিৎসা শুরু করা যেতে পারে। নিয়মিত বিরতিতে কন্ট্রোল টেস্ট করতে হবে ও ওয়ারফারিন-এর মাত্রা পুনঃনির্ধারন করতে হবে টেস্ট-এর ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে।শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: ১৮ বছরের নীচে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এর কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তথাপি শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহারের নজির রয়েছে এবং প্রাথমিক মাত্রা সাধারণতঃ ০.১ মি.গ্রা./কেজি/দিন যা পরবর্তীতে প্রাপ্ত বয়স্কদের অনুরূপ আই.এন.আর. অর্জনের লক্ষ্যে নির্ধারিত হয়ে থাকে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
মুখে খাওয়ার এন্টিকোয়াগুলেন্ট-এর ক্ষেত্রে রক্তক্ষরণই প্রধান পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, অন্যান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে বমিভাব, বমি, ডায়রিয়া, অতিসংবেদনশীলতা, র্যাশ, চুল পড়ে যাওয়া এবং ব্যাখ্যাতীত হিমাটোক্রিট-এর পতন, "পারপল টো", চামড়ার নেক্রোসিস, জন্ডিস এবং যকৃতের অসম কার্যকারিতা।
সতর্কতা
নিয়মিতভাবে প্রোথ্রম্বিন টাইম (ইন্টারন্যাশনাল নরমালাইজড রেশিও) অথবা অন্য কোন যুৎসই কোয়াগুলেশন টেস্ট করা প্রয়োজন। একত্রে অথবা এককভাবে অসংখ্য কারণে এন্টিকোয়াগুলেন্ট-এর প্রতি সংবেদশীলতা পরিবর্তিত হতে পারে যেমন, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন, ভ্রমন, পরিবেশ, শারীরিক অবস্থা ও ঔষধ। সাধারণভাবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়া, অন্য কোন ঔষধ সেবন শুরু করা অথবা বন্ধ করা অথবা অনিয়মিত গ্রহণের ঠিক পরপরই আবার প্রোথ্রম্বিন টাইম নির্ধারন করা ভাল। নিম্নলিখিত কারন সমূহ ওয়ারফারিনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে ও সেক্ষেত্রে মাত্রা কমানোর প্রয়োজন হতে পারে, যেমন- ওজন কমে যাওয়া, বয়স্ক রোগী, চরম অসুস্থতা, বৃক্কের কার্যকারিতা কমে যাওয়া, খাদ্যে ভিটামিন K কম থাকা ও কতিপয় ঔষধ সেবন। কিছু ক্ষেত্রে মেইন্টেন্যান্স মাত্রা বৃদ্ধি করতে হতে পারে, যেমন ওজন বৃদ্ধিতে, ডায়রিয়া, বমি, বর্ধিত ভিটামিন K, তেল ও চর্বি জাতীয় খাবার গ্রহণ ও কতিপয় ঔষধ সেবন। ঔষধের ফরমুলেশন পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত টেস্ট করার প্রয়োজন রয়েছে। ওয়ারফারিনের কার্যকারিতা ভিটামিন K প্রয়োগের মাধ্যমে পরিবর্তন করতে একাধিক দিন প্রয়োজন, তাই জরুরী অবস্থায় ফ্রেশ ফ্রোজেন প্লাজমা দিতে হবে।
মিথস্ক্রিয়া
মুখে সেব্য এন্টিকোয়াগুলেন্ট-এর ক্ষেত্রে ক্লিনিক্যালি গুরুত্ববহ ড্রাগ ইন্টারএ্যাকশানের সম্ভাবনা অধিক। সমস্ত রোগীদের সতর্ক করে দেয়ার প্রয়োজন রয়েছে এর ব্যবহারের ক্ষেত্রে। ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত কোন ঔষধ গ্রহণ বা বর্জন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার
গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে ওয়ারফারিন গ্রহণ নিষেধ, কারণ টেরাটোজেনিসিটির সম্ভাবনা রয়েছে। ইহা গর্ভবর্তী অথবা গর্ভধারনের সম্ভাবনা রয়েছে এমন মহিলাদের ক্ষেত্রে দেয়া যাবেনা, কারন ইহা প্লাসেন্টা অতিক্রম করতে পারে ও ফিটাসের হেমোরেজ ঘটিয়ে জীবনাশংকা ডেকে আনতে পারে। ওয়ারফারিন মাতৃদুগ্ধে অকার্যকর অবস্থায় নিঃসৃত হয় ও মাতৃদুগ্ধ পানকারী শিশুদের ক্ষেত্রে প্রোথ্রথিন টাইম-এর কোন পরিবর্তন হয়না। প্রিম্যাচিউর শিশুদের ক্ষেত্রে ওয়ারফারিনের প্রভাব পরীক্ষিত নয়।
বৈপরীত্য
ওয়ারফারিন নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে দেয়া যাবেনা-
প্রকৃত অথবা সম্ভাবনা পূর্ণ হেমোরেজিক কন্ডিশন যেমন, পেপটিক আলসার অথবা অনিয়ন্ত্রিত উচচ রক্তচাপ
যকৃত বা বৃক্কের মারাত্মক কোন রোগ
গর্ভাবস্থা
ওয়ারফারিন-এর প্রতি অতিসংবেদনশীলতা
ব্যাক্টেরিয়াল এন্ডোকার্ডাইটিস
অস্ত্রোপচার বা প্রসবের ২৪ ঘন্টার মধ্যে এর ব্যবহার অত্যন্ত সতর্কতার সাথে করতে হবে, যদি তা একান্তই করতে হয়।
অতিরিক্ত সতর্কতা
তীব্র ওভারডোজ
যদি রক্তক্ষরণ হয় অথবা সম্ভাবনা দেখা দেয় তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ওয়ারফারিন দেওয়া বন্ধ করার সাথে প্রয়োজনে ফ্রেশ ফ্রোজেন প্লাজমা অথবা হোলবাড় দেয়া যেতে পারে। ভিটামিন K ৫ মি.গ্রা. থেকে ১০ মি.গ্রা. মুখে বা শিরাপথে দেয়া যেতে পারে নির্দিষ্ট কোফ্যাক্টর কনসেনট্রেট এর সাথে।
অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া
সংরক্ষণ
৩০°সে. এর উপরে সংরক্ষণ করা হতে বিরত থাকুন। আলো থেকে দুরে এবং শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।