জেডএফসি

এটি কার্বোনিল আয়রণ, ফলিক এসিড ও জিংক সালফেট মনোহাইড্রেট এর একটি প্রস্তুতি। এতে কার্বোনিল আয়রণ রয়েছে যার আয়রণ এর পরিমাণ ৯৮% এর বেশি। এই কার্বোনিল আয়রণের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বায়োএভেইলেবিলিটি রয়েছে যার বিষক্রিয়ার মাত্রা খুবই কম। এটি একটি নিরাপদ ও অধিক কার্যকরী আয়রণ সাপ্লিমেন্ট।

ব্যবহার

গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদাকালীন অবস্থায় আয়রণ, ফলিক এসিড এবং জিংকের ঘাটতি পূরণে ও প্রতিরােধমূলক চিকিৎসায় নির্দেশিত।

জেডএফসি এর দাম কত? জেডএফসি এর দাম

জেডএফসি in Bangla
ZFC in bangla
বাণিজ্যিক নাম জেডএফসি
জেনেরিক কার্বোনিল আয়রণ + ফলিক এসিড + জিংক সালফেট মনোহাইড্রেট
ধরণ ক্যাপসুল (পেললেট)
পরিমাপ 51 mg+0.50mg+22.50mg
দাম
চিকিৎসাগত শ্রেণি  
উৎপাদনকারী Silco Pharmaceutical Ltd
উপলভ্য দেশ Bangladesh
সর্বশেষ সম্পাদনা September 19, 2023 at 7:00 am

খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

জেডএফসি খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

  • দিনে ১ টি ক্যাপসুল।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

বমি বমি ভাব, পাকস্থলির অস্বাচ্ছন্দ্য যেমন ঃ ক্ষুধামন্দা, বমি, শারিরীক অস্বস্তি, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে। রোগী মলের রং কালোয় হওয়ার অভিযোগও করতে পারে। আয়রণ, ফলিক এসিড ও জিংক বিশেষভাবে প্রস্তুতকৃত ক্যাপসুল যা পাকস্থলির অস্বাচ্ছন্দ্যের ঝুঁকি কমিয়ে আনে। ইহার ব্যবহারে শরীরে তেমন কোন অ্যালার্জিক বিক্রিয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি।

সতর্কতা

সম্ভব হলে গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসে আয়রণ, ফলিক এসিড ও জিংক ব্যবহার বর্জন করা উচিত। আয়রণের সুস্পষ্ট ঘাটতি প্রতীয়মান হলে গর্ভধারণের প্রথম তিনমাসে সতর্কতার সাথে আয়রণ, ফলিক এসিড ও জিংক ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া যে সমস্ত রোগীদের হেমোক্রোমেটোসিস, হেমোলাইটিক এনিমিয়া, লোহিত কণিকার এপ্লাসিয়া এবং বৃক্কের সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে আয়রণ, ফলিক এসিড ও জিংক ব্যবহারে বিশেষ সতর্ক হওয়া উচিত।

মিথস্ক্রিয়া

কার্বনিল আয়রন টেট্রাসাইক্লিন অ্যান্টিবায়োটিক, কুইনোলন অ্যান্টিবায়োটিক, লেভোডোপা, লেভোথাইরক্সিন, মারথাইল্ডোপা এবং পেনিসিলামাইনের শোষণ হ্রাস করতে পারে। ফলিক অ্যাসিড অ্যান্টিপিলেপ্টিকসের সাথে মিথস্ক্রিয়া করে, তাই ফেনোবারবিটাল, ফেনিটোইন এবং প্রিমিডোনের প্লাজমা ঘনত্ব সম্ভবত হ্রাস পায়।

গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার

যদি সম্ভব হয় গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস যে কোন প্রকার ওষুধ ব্যবহার থেকে বিরত থাকা উচিত। সঠিক ভাবে আয়রণের ঘাটতি নিশ্চিত হলেই কেবলমাত্র প্রথম তিন মাসে আয়রণ গ্রহণ করা যেতে পারে।

বৈপরীত্য

এর যে কোন উপাদানের প্রতি অতি সংবেদনশীল অথবা যারা আয়রণের মাত্রাতিরিক্ততায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না।

অতিরিক্ত সতর্কতা

তীব্র ওভারডোজ

নিয়মিত অধিক মাত্রায় আয়রণ, ফলিক এসিড ও জিংক গ্রহণে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয় যেমন : বমি বমি ভাব, তলপেটে ব্যথা, দুর্বলতা, জ্বর ইত্যাদি।

অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া

আয়রণ ও জিংক টেট্রাসাইক্লিন জাতীয় ঔষধের সাথে যুক্ত হয়ে জটিল যৌগ গঠন করে। ফলশ্রুতিতে একত্রে গ্রহণ করলে টেট্রাসাইক্লিন, আয়রণ ও জিংকের শোষণের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এন্টাসিড ও পেনিসিলামিনের উপস্থিতিতে আয়রণের শোষণে ব্যঘাত ঘটতে পারে। ফলিক এসিড এন্টিইপিলেপটিক ঔষধের সঙ্গে ক্রিয়া করতে পারে। ফলে ফেনোবারবিটাল, ফেনাইটোইন এবং প্রিমিডন এর প্লাজমা কনসেনট্রেশন কমে যেতে পারে। কিডনীর সমস্যায় ভুগছেন এমন রোগীর ক্ষেত্রে জিংক দেহে সঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকি দেখা দিতে পারে।

সংরক্ষণ

২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে শুকনো জায়গায় সঞ্চয় করুন। আলো থেকে রক্ষা করুন।


*** Taking medicines without doctor's advice can cause long-term problems.
Share