জোগ্রেল এর কাজ, খাওয়ার নিয়ম, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, সতর্কতা - MedicineBangla

জোগ্রেল

ক্লোপিডোগ্রেল একটি প্রোড্রাগ। ক্লোপিডোগ্রেল এর একটিভ মেটাবোলাইট প্লাটিলেটে অবস্থিত P2Y12 শ্রেণির এডিপি রিসেপ্টরের সাথে স্থায়ী বন্ধন তৈরির মাধ্যমে প্লাটিলেটের সক্রিয় ও একত্রিত হওয়াকে বাঁধা প্রদান করে। একক মাত্রা সেবনের ২ ঘন্টা পরই প্লাটিলেটের মাত্রা ভিত্তিক একত্রিকরণ দেখা যেতে পারে। নিয়মমাফিক প্রতিনিয়ত ৭৫ মিঃগ্রাঃ হিসেবে সেবনে প্রথম দিনেই এডিপি ভিত্তিক প্লেটলেট একত্রিকরণ বন্ধ হয় যা ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে একটি স্থায়ী মাত্রায় পৌছায়।

ব্যবহার

এ্যাথেরোফ্লেরোসিস (ইসকেমিক স্ট্রোক, মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন অথবা স্থায়ী প্রান্তীয় ধমনীর রোগ) এর ইতিহাস আছে, সেসব রোগীদের এ্যাথেরোফ্লেরোটিক ইভেন্ট এর প্রতিরোধ নির্দেশিত। এটি প্রতিরোধক হিসাবে মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন এবং স্ট্রোকের মত গ্রোদো-এমবোলিক অস্বাভাবিকতায় ব্যবহৃত হয়।

জোগ্রেল এর দাম কত? জোগ্রেল এর দাম

জোগ্রেল in Bangla
Zogrell in bangla
বাণিজ্যিক নাম জোগ্রেল
জেনেরিক ক্লোপিডোগ্রেল Bisulphate
ধরণ ট্যাবলেট
পরিমাপ
দাম
চিকিৎসাগত শ্রেণি Anti-platelet drugs
উৎপাদনকারী Vhb Life Sciences Limited
উপলভ্য দেশ India
সর্বশেষ সম্পাদনা September 19, 2023 at 7:00 am

খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

জোগ্রেল খাওয়ার নিয়ম / ব্যবহারের নিয়ম

  • ৭৫ মি.গ্রা. করে দিনে একবার।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

রক্তক্ষরণ (পরিপাকতন্ত্র ও ইন্ট্রাক্রেনিয়াল), পেটে অস্বস্তিবোধ, বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, মাথা ব্যাথা, মাথা ঝিম ঝিম করা, মাথা ঘোরা, প্যারেসথেসিয়া, র্যা শ, চুলকানি, কিডনি এবং যকৃত সংক্রান্ত জটিলতা, নিউট্রোপেনিয়া।

সতর্কতা

  • যেহেতু এটি একটি প্রোড্রাগ, তাই এটির মেটাবলিজমের মাধ্যমে সক্রিয় উপাদানে পরিণত হতে CYP2C19 এর জিনগত পরিবর্তন এবং যে সকল ঔষধ যেমনঃ ওমিপ্রাজল বা ইসোমিপ্রাজল CYP2C19 কে বাঁধা প্রদান করে। তাই এ সকল ঔষধের সাথে একত্রে সেবনের ফলে অথবা CYP2C19 ক্রটিপূণ মেটাবোলাইজর ক্লোপিডোগ্রেলের এন্টি প্লাটিলেট কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে।
  • যেহেতু এটি প্লাটিলেটের জীবন কাল ব্যাপী (৭-১০দিন) প্লাটিলেট একত্রিত করনকে বাঁধা দেয়, তাই রক্ত ক্ষরণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। রক্তক্ষরণ বন্ধের লক্ষ্যে প্লাটিলেট ট্রান্সফিউশন লোডিং ডোজের ৪ ঘন্টার মধ্যে বা মেইনটেন্যান্স ডোজের ২ ঘন্টার মধ্যে কম কার্যকর হতে পারে।
  • ক্লোপিডোগ্রেল সেবন বন্ধের ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। রক্ত ক্ষরণের বড় ধরনের ঝুঁকি প্রতিরোধে ইলেক্টিভ সার্জারীর ৫ দিন পূর্বে ক্লোপিডোগ্রেল সেবন বন্ধ করতে হবে। রক্তক্ষরণের ঝুঁকি কমার সাথে সাথে ক্লোপিডোগ্রেল পুনরায় সেবন শুরু করতে হবে।
  • থ্রোম্বোটিক থ্রম্বোসাইটোপেনিক পারপিউরা পরিলক্ষিত হয় যা পরবর্তীতে প্লাজমা ফেরেসিস (প্লাজমা পরিবর্তন) এর প্রয়োজন হতে পারে।
  • ক্লোপিডোগ্রেল বা অন্যান্য থিনোপিরিডিনের প্রতি অতিসংবেদনশীলতার ইতিহাস প্রাপ্ত রোগীদের মধ্যে ত্বকে র‌্যাশ, এনজিওএডেমা বা হেমাটোলজিক প্রতিক্রিয়াসহ অতিসংবেদনশীলতা পরিলক্ষিত হয়েছে।

মিথস্ক্রিয়া

  • NSAIDs, ওয়ারফারিন, সিলেকটিভ সেরোটনিন এবং সেরোটনিন নর এপিনেফ্রিন রিআপটেক ইনহিবিটর (এসএসআরআই, এসএনআরআই): রক্ত পাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
  • CYP2C19 ইনহিবিটর (ওমিপ্রাজল ও ইসোমিপ্রাজল): ক্লোপিডোগ্রেলের সাথে ওমিপ্রাজল ও ইসোমিপ্রাজল এর একত্রে সেবন থেকে বিরত থাকুন।
  • Repaglinide (CYP2C8): ক্লোপিডোগ্রেলের সাথে Repaglinide একত্রে ব্যবহার এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি Repaglinide এর প্লাজমা মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

গর্ভাবস্থাকালীন ব্যবহার

গর্ভাবস্থায় এ ঔষধ ব্যবহার করা যায় কিনা, তা নিয়ে পর্যাপ্ত পরীক্ষা তা নিয়ে পর্যাপ্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়নি। একান্ত প্রয়োজনীয় বিবেচিত না হলে স্তন্যদানকালে এবং গর্ভাবস্থায় এই ঔষধ ব্যবহার করা উচিত নয়।

বৈপরীত্য

এই ওষুধ অথবা এর যেকোন উপাদানের প্রতি অতি সংবেদনশীলতা থাকলে, পাকস্থলি বা অন্ত্রে ঘা অথবা ইন্ট্রাক্রেনিয়াল হেমোরেজ জনিত রক্তক্ষরণে ব্যবহার করা যাবেনা।

অতিরিক্ত সতর্কতা

শিশুদের মধ্যে ক্লোপিডোগ্রেলের নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

তীব্র ওভারডোজ

লক্ষণগুলি: দীর্ঘায়িত রক্তপাতের সময় এবং পরবর্তী রক্তক্ষরণের জটিলতা।

পরিচালনা: প্লেটলেট সংক্রমণ দিয়ে জমাট বাঁধার ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করতে পারে।

অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া

ক্লোপিডোগ্রেল এন্টিকোয়াগুলেন্টের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। এটিনোলল অথবা নিফিডিপিন অথবা উভয় ঔষধের সাথে যৌথ ব্যবহারে তেমন কোনো সুনির্দিষ্ট প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। ফিনিটয়েন, ট্যামোক্সিফেন, টলবিউটামাইড, ওয়ারফেরিন এবং ফ্লুভাস্টাটিন এর সাথে যৌথ ব্যবহারে কতিপয় সম্ভাব্য জৈব উপাদানের বিপাকের পরিবর্তন হতে পারে। এ্যাসপিরিন, এনএসএআইডি

সংরক্ষণ

অনুর্ধ্ব ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় শুকনো জায়গায় ঔষধটি সংরক্ষন করুন।

*** Taking medicines without doctor's advice can cause long-term problems.
Share